অ্যাপশহর

অক্সিজেন ও ওষুধের বরাদ্দে অকৃপণ রাজ্য

কোভিড পরিস্থিতিতে এর আগেই নানা ক্ষেত্রে ব্যয়সঙ্কোচের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার, সে দিকেও নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন অর্থকর্তা। করোনা চিকিৎসায় মস্ত গুরুত্ব জীবনদায়ী অক্সিজেনের। স্বাস্থ্য পরিষেবায় এই জীবনদায়ী উপাদানের যাতে কোনও টান না পড়ে, সে দিকে নজর দিয়েই চলতি অর্থবর্ষে অক্সিজেন খাতে একশো শতাংশ ব্যয়বরাদ্দই মঞ্জুর করল রাজ্য সরকার।

EiSamay 11 Jul 2020, 8:28 am
এই সময়: করোনা চিকিৎসায় মস্ত গুরুত্ব জীবনদায়ী অক্সিজেনের। স্বাস্থ্য পরিষেবায় এই জীবনদায়ী উপাদানের যাতে কোনও টান না পড়ে, সে দিকে নজর দিয়েই চলতি অর্থবর্ষে অক্সিজেন খাতে একশো শতাংশ ব্যয়বরাদ্দই মঞ্জুর করল রাজ্য সরকার। সারা বিশ্বে এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও স্বাস্থ্য পরিষেবায় অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েই চলেছে বর্তমান পরিস্থিতিতে। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গেও এর চাহিদা দু' থেকে তিনগুন বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তাই উদার ভাবে আর্থিক বরাদ্দের মাধ্যমে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এই মর্মে গত ৩০ জুন অর্থসচিব একটি নির্দেশনামা জারি করেছেন।
EiSamay.Com oxygen
অক্সিজেন


একই ভাবে হাসপাতালগুলিতে ওষুধপত্র-সহ বিভিন্ন উপাদান, ডায়েট, বিদ্যুৎ বা টেলিফোন খাতে খরচখরচা মেটাতেও প্রশাসনিক ব্যয়বরাদ্দের একশো শতাংশই অনুমোদন করেছে অর্থ দপ্তর। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে এর আগেই নানা ক্ষেত্রে ব্যয়সঙ্কোচের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার, সে দিকেও নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন অর্থকর্তা। যেমন, নয়া পদ সৃষ্টি, নতুন গাড়ি কেনা বা গাড়ি ভাড়া করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। তবে মানবসম্পদের দিকে নজর রেখে বেতন, পেনশন ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যয়বরাদ্দ একশা শতাংশই মঞ্জুর করা হয়েছে। পরিবহণ নিগমগুলির কর্মীদের বেতন, পেনশন ইত্যাদির ক্ষেত্রেও একই হারে বরাদ্দ করেছে সরকার।

লকডাউন শুরুর পর গত ৩০ মার্চ অর্থসচিব একটি নির্দেশ জারি করে বেতন ইত্যাদির ক্ষেত্রে চলতি অর্থবর্ষে বরাদ্দের ত্রিশ শতাংশ মঞ্জুর করার কথা বলেছিলেন। ওই নির্দেশনামায় রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দের ২৫ শতাংশ মঞ্জুর করা হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত চলতি নির্দেশনামাতেও বহাল রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য দপ্তরের সুপারিশ হল, একটি মেডিক্যাল কলেজ বা জেলা হাসপাতালকে ‘হাব’ করে তাদের ‘স্পোক’ হিসেবে কিংবা ‘অ্যানেক্স’ হিসেবে যেমন কাজ করে ছোট হাসপাতালগুলি, ঠিক তেমনই বড় বেসরকারি হাসপাতালের স্পোক বা অ্যানেক্স হিসেবে করোনা রোগী ভর্তি করবে ছোট হাসপাতাল-নার্সিংহোম। এতে সহজেই একটি বড় হাসপাতাল তার উন্নততর মানবসম্পদ ও চিকিৎসা পরিকাঠামো ব্যবহার করে অনেক বেশি সংখ্যায় রোগী ভর্তি নিশ্চিত করতে পারবে ছোট হাসপাতালের বেডেও। আমরি কতৃর্পক্ষ জানান, ৫০টি বেড বাড়ানোর ফলে এখন তাঁদের তিনটি ক্যাম্পাস (ঢাকুরিয়া, সল্টলেক ও মুকুন্দপুর) মিলিয়ে ১৫৫টি আইসোলেশন বেড হল। ঢাকুরিয়ার একটি ভবনও তাঁরা কোভেড চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করেন।

ওই হাসপাতাল গোষ্ঠীর সিইও তথা অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি রূপক বরুয়া বলেন, ‘বেড বৃদ্ধির পাশাপাশি তাড়াতাড়ি বেড খালির বিষয়েও নজর দিতে বলেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। শারীরিক ভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেও এখন অনেক রোগীকে ছাড়া হয় না, যত দিন না তাঁরা কোভিড নেগেটিভ হচ্ছেন। এখন আমাদের নেগেটিভ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে নিষেধ করছে সরকার।’

পরের খবর