অ্যাপশহর

আবহাওয়া অনুকূল, ইলিশের আশায় মোহনায় মৎস্যজীবীরা

দিঘা, কোলাঘাট থেকে ডায়মন্ড হারবার, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ- সর্বত্রই মাছ ধরার ট্রলার পাড়ি দিতে শুরু করেছে মোহনায়। সময়ে বর্ষার আগমন, মেঘলা আবহাওয়া এবং পুবালি হাওয়া রুপোলি শস্যের জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন বলে মনে করেন মৎস্যজীবীরা।

EiSamay 17 Jun 2020, 8:16 am
এই সময়: গতবার ছিল তুলনামূলক ভাবে ‘শুখা’ মরসুম। জালে তেমন ধরা পড়েনি রুপোলি শস্য। বাজারেও দাম ছিল চড়া। তবে এ বার সময়ে ঢুকে পড়া বর্ষার স্পর্শে ইলিশ মিলবে ভালোই, এমনই আশা মৎস্যজীবী থেকে বিশেষজ্ঞদের। সরকারি নির্দেশিকা মেনে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরা। ফলে দিঘা, কোলাঘাট থেকে ডায়মন্ড হারবার, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ- সর্বত্রই মাছ ধরার ট্রলার পাড়ি দিতে শুরু করেছে মোহনায়।
EiSamay.Com hilsha fish
ইলিশ মাছ


দিঘা উপকূলের মৎস্যজীবী শ্যামসুন্দর দাস মঙ্গলবার বলেন, ‘আমাদের পূর্ব মেদিনীপুর থেকে সব মিলিয়ে শ’খানেক ট্রলার এখনও পর্যন্ত রওনা দিয়েছে। তাদের ফিরতে আরও সময় লাগবে। তবে এ বার পরিস্থিতি সব দিক থেকেই ভালো।’ জলের এই রুপোলি শস্যের জন্য সবচেয়ে বড় যেটা প্রয়োজন বলে মনে করেন মৎস্যজীবীরা, তা হল, সময়ে বর্ষার আগমন, মেঘলা আবহাওয়া এবং পুবালি হাওয়া। উম্পুনের প্রভাবে এ বার সময়েই রাজ্যে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। ঝিরঝিরে বৃষ্টিও চলেছে প্রায় প্রতিদিন। সঙ্গে হাওয়াও রয়েছে। এটাই আশার আলো দেখাচ্ছে মৎস্যজীবীদের। শ্যামসুন্দরের বক্তব্য, ‘গত অন্তত সাত-আট বছরের মধ্যে গত বার ইলিশ খুবই কম উঠেছিল। অন্যান্য বার গড়ে মোটামুটি ৪০-৪৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ এলেও গত বার ৮-১০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি হয়নি। ফলে দামও ছিল বেশ চড়া। এ বার আবহাওয়া ভালো। তবে বাস্তবে কতটা তা কাজে লাগল, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই অনেকটা বোঝা যাবে।’ ফ্রেজারগঞ্জের মৎস্যজীবী বিভাস কোলের বক্তব্য, ‘পরিস্থিতি ভালো ঠিকই। তবে আবহাওয়া কিছুটা খারাপ থাকায় এখনও তুলনায় কম সংখ্যক ট্রলার বেরিয়েছে। ধাপে ধাপে বাড়বে।’

রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, এ বার এখনও আবহাওয়া অনুকূল। তার থেকেও বড় কথা, করোনা ও একটানা লকডাউনে দূষণের মাত্রা অনেক কম। ফলে জলের গুণগত মান ভালো। ইলিশ ডিম পাড়ার জন্য মোহনার কাছাকাছি এ বার ঝাঁক বেঁধে আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে। সব জায়গাতেই মৎস্যজীবীরা মোহনায় পাড়ি দিচ্ছেন। তবে প্রকৃতির খানিক বিরূপ প্রভাবই আবার চিন্তা মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকদের। এক আধিকারিক জানান, উম্পুনে বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকায় নিদারুণ ক্ষতি হয়েছে। ট্রলার, জাল নষ্ট হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার মৎস্যজীবীদের কিছু কিছু ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছে। ফলে জাল, ট্রলার সারিয়ে মৎস্যজীবীরা সামান্য দেরি হলেও নামবেন বলেই ধারণা।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল