অ্যাপশহর

‘বারবার ডায়মন্ডহারবার যাব’, অভিষেককে চ্যালেঞ্জ নাড্ডার

তোষণ তোলাবাজির রাজনীতি চলছে বাংলায়। মঙ্গলবার সভার শুরু থেকেই ফের আক্রমণাত্মক জে পি নাড্ডা। প্রশ্ন তোলেন, ডায়মন্ডহারবারে যাওয়া কি ভুল ছিল? আর কী কী বললেন তিনি, জানতে পড়ুন...

EiSamay.Com 9 Feb 2021, 4:04 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে এসে ফের তৃণমূলকে একহাত নিলেন BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। মঙ্গলবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বাংলায় ‘নমস্কার’ জানিয়ে সভার শুরু করেন তিনি। তবে শুরুর দিকে মাইক বিভ্রাটে সভার তাল কাটে। হাসি মুখেই এক পোডিয়াম থেকে অন্য় পোডিয়ামে চলে যান BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি। এরপর মাইক হাতে তাঁর বার্তা, ‘মঞ্চ বদলাতে পারে, উদ্দেশ্য় নয়। যতই চেষ্টা করো আটকাতে পারবে না।’
EiSamay.Com J P NADDA AT TARAPITH MANDIR
তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন জে পি নাড্ডা। সৌজন্য়ে টুইটার।

এদিন তারাপীঠের চিলার মাঠে সভায় যোগ দিয়েছিলেন জেপি নাড্ডা। সেখানে তিনি বলেন, ‘মমতা দিদির রাজ্যে বাংলার সংস্কৃতি সঙ্কটে পড়েছে। এই সরকারের পরিবর্তন চাই। পরিবর্তন যাত্রা আমাদের উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ বাংলায় বলেছেন, ‘অনেক হয়েছে মমতা দিদি, পরিবর্তন চাইছে বাংলা। মোদীর নেতৃত্বে বাংলায় বদল হচ্ছে, তিনি বার বার বাংলায় আসবেন।’ সরাসরি বলেছেন, ‘আমার ডায়মন্ডহারবার যাওয়া কি ভুল ছিল? ভবানীপুর যাওয়া ভুল ছিল? ভাইপো একবার না বার বার ডায়মন্ডহারবার যাব। আর তোমাকেও দেখাব, মানুষ কী ভাবে পাশে দাঁড়ায়।’



মুখ্যমন্ত্রীর নাড্ডা-গাড্ডা কটাক্ষের জবাবে তিনি বলেন, ‘দিদি আমার নামের সঙ্গে বিশেষণ জুড়ে দিয়েছিলেন। এটা বাংলার সংস্কৃতি? এটা পিসির অবস্থা।‘ পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণ ইস্যুতেও মুখ খুলেছেন BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি। বলেন, ‘হিম্মত থাকলে শুভেন্দুকে বলতেন, ওঁর বাবাকে কেন বলতে গেল! যা বলেছিলেন সেই শব্দ আমি এখানে বলতেও পারব না। বাংলাকে ভাইপো কলঙ্কিত করছে।’ পাশাপাশি কাটমানি ইস্য়ু নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘আপনাকে মানুষ কাট করে দেবে।’ কেন্দ্রীয় প্রকল্প ইস্যুতে মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সব নকল করেন। সব প্রকল্পের নাম তিনি বদলে দিয়েছেন। এ ভাবে মোদীকে মন থেকে মোছা যাবে না।‘
দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তারাপীঠ মন্দিরে পৌঁছন BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি। মা তারার মন্দিরে পুজো দেন। পাশেই ছিলেন BJP-র রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জনসভার পর পরিবর্তন যাত্রার সূচনাও করেন। তারাপীঠ থেকে ওই রথ রামপুরহাট, কুরুমগ্রাম, চাতরা হয়ে রাতে নলহাটিতে গিয়ে পৌঁছবে। উল্লেখ্য, দু’দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন নাড্ডা।

অন্যদিকে, সভা থেকে রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ওয়াশিং মেশিন তৃণমূল। দলে থাকলে ভালো, নইলে কালো। একুশের পর আর তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে না।’ কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘এই চাল চোর সরকার আর দরকার নেই।’ ২০০ আসন নিয়ে BJP-কে ক্ষমতায় আনার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

'মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে পালিয়েছ', রাজীব-শুভেন্দুকে নাম না করে আক্রমণ মমতার
২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে প্রবল মোদী হাওয়ার মধ্যেও জেলার দু’টি লোকসভা আসনই দখল করেছিল তৃণমূল। তবে BJP জিততে না পারলেও লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে জেলার ১১টি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতে এগিয়ে রয়েছে। সেই হাওয়াকে কাজে লাগাতে গেরুয়া শিবির বীরভূম জেলায় এবার ভালো ফলের আশায় জোরাল প্রচারে নেমেছে।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল