অ্যাপশহর

স্বস্তির আশা নেহাতই দূর অস্ত, ভাদ্রের ভ্যাপসা গরমে নাকাল রাজ্যবাসী!

তাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতার কারণে গুমোট আবহাওয়া। আগামী দিনকয়েকেও গরম ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। যা অবস্থান করছে অন্ধ্র উপকূলে।

EiSamay.Com 14 Sep 2020, 9:55 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। যা অবস্থান করছে অন্ধ্র উপকূলে। সঙ্গে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যার সরাসরি প্রভাব বাংলায় এখনই পড়ছে না। নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে বটে, কিন্তু তা অন্ধ্রপ্রদেশ লাগোয়া পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। তাই দক্ষিণবঙ্গে বরাদ্দ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির বদলে চলছে ভাদ্রের অসহ্য গরম। আগামী দিনকয়েকেও গরম ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। বঙ্গোপসাগরের পরবর্তী নিম্নচাপটি সৃষ্টি হতে পারে অন্ধ্র ঘেঁষে।
EiSamay.Com rain may occur in north bengal
ভ্যাপসা গরম


বর্ষার প্রবাহ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমের দাপট বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গে। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই। বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতার কারণে গুমোট আবহাওয়া। ফলে রাতেও অস্বস্তি ছিল ভালোই। উত্তরবঙ্গে অবশ্য অন্য চিত্র। টানা বৃষ্টিতে বহু জায়গা বিপর্যস্ত। দখিনা বাতাসের সরবরাহ থাকায় আগামী ৭২ ঘণ্টাতেও কোনও কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বর নাগাদ ফের একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। তবে অন্ধ্র লাগোয়া সাগরে। তার হাত ধরে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা তো বটেই, মধ্য ভারতও প্রবল বৃষ্টি পেতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের অপেক্ষা দীর্ঘ হবে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি জেলায় দু-এক পশলা বৃষ্টি হবে। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বেশি হবে। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে কোনও ভারী বৃষ্টির সর্তকতা নেই। তবে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। আগামী কয়েকদিন আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি আরও বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।

চলতি মরসুমে ভালোই বর্ষা পেয়েছে। বর্ষায় দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে ৭% বেশি। উত্তরবঙ্গে ২৬% উদ্বৃত্ত বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গে মাত্র ৭ শতাংশের ঘাটতি রয়েছে, তবে তার অনেকটাই সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে কম বৃষ্টির কারণে। অগস্টে পাঁচটি নিম্নচাপের হাত ধরে দেশে ২৭% বেশি বৃষ্টি হয়েছে। যদিও সেপ্টেম্বরের শুরুতে মৌসুমি অক্ষরেখা হিমালয়ের পাদদেশে সরে যাওয়ায় বৃষ্টি হচ্ছে মূলত উত্তর ঘেঁষা রাজ্যগুলিতে। ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহে দেশে সার্বিক ভাবে ৩০% কম বৃষ্টি হয়েছে। এই পর্বে স্বাভাবিকের অর্ধেক বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। চলতি মরসুমের শুরু থেকেই ভালো বৃষ্টি হওয়ায় এখন টান পড়লেও, বেশি দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে না কৃষকদের। নদী-খাল-বিলে জল রয়েছে। তাছাড়া বাঁধ, জলাধারেও মজুত রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ জল। প্রয়োজনে সেই জল ছেড়ে রাখলে কৃষকের সুবিধা যেমন হবে, তেমনই বর্ষার বাকি সময়ের জল ধরে রাখার জায়গাও মিলবে জলাধারে। এড়ানো সম্ভব হবে বন্যা।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল