অ্যাপশহর

হাতির হামলায় কোনও রকমে প্রাণে বাঁচলেন সাত জন

প্রতিবেশী পঞ্চায়েত সদস্য সুজিত দাসের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বাঁচেন ওই সাত জন। টানা আধ ঘণ্টা ভাঙচুর চালিয়ে ভোরের আলো ফুটতেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের দিকে চলে যায় দলটি। আক্রান্ত সুজিত সরকার বলেন, ‘কী ভাবে যে প্রাণে বেঁচে আছি, তা এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।’

EiSamay 22 Jun 2020, 12:35 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার ভোরে রিমঝিম বৃষ্টিতে তখন নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন একই পরিবারের সাত সদস্য। আচমকাই মড়মড় শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। বুনো হাতির দল তখন পাকা রান্না ঘরের দরজা ভেঙে তছনছ করছে সব কিছু। হঠাৎ ওই রান্নাঘর ছেড়ে তারা হামলে পড়ে শোয়ার ঘরের দিকে। ঘরের টিনের বেড়া তখন ভাঙতে মত্ত ওই হাতির দল।
EiSamay.Com d4
ফাইল ছবি


বিপদের গন্ধ পেতে দেরি করেননি আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের মেঘনাদ সাহা নগরের সরকার পরিবারের সাত সদস্য। আবছা আলোয় তাঁরা স্পষ্ট দেখেছিলেন বাড়ির উঠোনে হাতিদের মেলা। তড়িঘড়ি প্রাণভয়ে ঘরের একটি জানালা দিয়ে বৃদ্ধা মা ও মামা-সহ তিন বোনকে পার করে দেন সুজিত সরকার। প্রতিবেশী পঞ্চায়েত সদস্য সুজিত দাসের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বাঁচেন ওই সাত জন। টানা আধ ঘণ্টা ভাঙচুর চালিয়ে ভোরের আলো ফুটতেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের দিকে চলে যায় দলটি। আক্রান্ত সুজিত সরকার বলেন, ‘কী ভাবে যে প্রাণে বেঁচে আছি, তা এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।’ জলদাপাড়ার সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষক দেবদর্শন রায় বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনে হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল