অ্যাপশহর

'শিক্ষারত্ন’ সম্মান পাচ্ছেন পুরুলিয়ার শিক্ষক ও গবেষক দয়াময় রায়

'শিক্ষারত্ন’ সম্মান পাচ্ছেন পুরুলিয়ার শিক্ষক ও গবেষক দয়াময় রায়... তাঁর এই সম্মান পাওয়ার ঘোষণায় খুশির হাওয়া গোটা জেলায়

Lipi 3 Sep 2021, 1:16 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : ‘সত্যিকারের শিক্ষক তাঁরাই, যাঁরা আমাদের ভাবতে সাহায্য করেন।’ এমনই এক শিক্ষক হলেন পুরুলিয়ার দয়াময় রায়। যিনি দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে সমাজের ভবিষ্যৎ তৈরির পাশাপাশি হারিয়ে যেতে বসা জেলার লোকসংস্কৃতি, ইতিহাস তুলে ধরতে কলমও ধরেছেন। যা স্কুলের পাঠ্যসূচিতেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেই বিশিষ্ট শিক্ষককে এবার ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মানে ভূষিত করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সামগ্রিকভাবে শিক্ষকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১-এর ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার পাচ্ছেন দয়াময় রায়।
EiSamay.Com teacher2


পুরুলিয়ার বলরামপুর থানার রাঙ্গাডি শ্রী ভজনাশ্রম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক দয়াময় রায়। সম্প্রতি শিক্ষা দফতরের তরফে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মেইল করে দয়াময় রায়কে ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মানে ভূষিত করার বিষয়টি জানানো হয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবসের দিন তাঁর হাতে শিক্ষকতার এই সর্বোচ্চ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। দয়াময় রায়ের এই সম্মান পাওয়ার খবরে শিক্ষা জগতের পাশাপাশি পুরুলিয়ার সর্বস্তরের মানুষ আনন্দিত ও গর্বিত।

পুরুলিয়ার আমডিহার বাসিন্দা দয়াময় রায় ১৯৯৪ সালে রাঙ্গাডি শ্রী ভজনাশ্রম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন। তারপর থেকে টানা ২৯ বছর ধরে ওই স্কুলে থেকে সমাজ তৈরির বহু কারিগর তৈরি করেছেন দয়াময়বাবু। তবে কেবল শিক্ষক বললে তাঁকে খাটো করা হবে। একাধারে পুরুলিয়ার লোকসংস্কৃতির গবেষক ও লেখক দয়াময় রায়। ‘পদ্মশ্রী’ গম্ভীর সিং মুড়ার জীবনী নিয়ে যেমন বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন, তেমনই পুরুলিয়ার সংস্কৃতি ঝুমুর নাচ, ছৌ নাচ নিয়েও প্রচুর গ্রন্থ লিখেছেন দয়াময়বাবু। তাঁর লেখা বই স্কুলের পাঠ্যসূচিতেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আবার তাঁরই তত্ত্বাবধানে পুরুলিয়ার সিধু-কানু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু ছাত্র এখন গবেষণারত। সবমিলিয়ে, ‘প্রকৃত শিক্ষক’ দয়াময় রায়। আর এই অবদানের জন্যই এবছর তাঁকে ‘শিক্ষারত্ন’ পুস্পরা সম্মানিত করছে রাজ্য সরকার। এপ্রসঙ্গে রাঙ্গাডি শ্রী ভজনাশ্রম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফাক হায়দার খান বলেন, ‘এই খবর আমাদের স্কুলের ক্ষেত্রে যেমন খুবই আনন্দের, তেমনই সমগ্র জেলাবাসীর কাছে আনন্দদায়ক। আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে আগামী ৭ তারিখ দয়াময়বাবুকে সম্বর্ধনা জানাব।’

সমাজে বিশেষ অবদান রাখার পাশাপাশি স্ত্রী, দুই ছেলে, মেয়ে, ও মায়ের প্রতিও কর্তব্যে অবিচল দয়াময় রায়। তাই তাঁর বিশেষ সম্মানে গর্বিত পরিবারের সদস্যরাও। যদিও ইতিমধ্যে অনেক সম্মান পেয়েছেন দয়াময়বাবু। তবে শিক্ষক হিসাবে সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘শিক্ষারত্ন’ পাওয়া এক আলাদা অনুভূতি বলে জানিয়েছেন দয়াময় রায়। এই পুস্পরা ভূষিত করার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল