সমীর মণ্ডল ■ মেদিনীপুর
অনেক হয়েছে। অনেক রক্ত, অনেক লাশ, অনেক কান্না। দেশের স্বার্থে সরকার এ বার কড়া মনোভাব দেখাক। পুলওয়ামার ঘটনার পরে এটাই চান রিক্তা মাইতি। বছর দেড়েক আগে কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন তাঁর স্বামী দীপক।
দীপকের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের মনসাগ্রামে। ২০১৭-র ৩ জুন কাশ্মীরের অনন্তনাগে হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীর জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছিলেন তিনি। ঘটনার দু’দিন আগে, ১ জুন নায়েক থেকে হাবিলদার পদে উন্নতি হয়েছিল তাঁর। রিক্তার কথায়, ‘কনভয়ে জঙ্গি হামলার দিনকয়েক আগে ফোনে জানিয়েছিলেন, ১০ জুন বাড়ি ফিরবেন। তার পাঁচদিন আগে ফিরেছিলেন ঠিকই। কিন্তু জীবিত নয়, কফিনবন্দি অবস্থায়।’
দম্পতির এক মেয়ে, রিয়া। নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্বামীর মৃত্যুর আগে তার লেখাপড়ার জন্য পিংলায় বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন রিক্তা। কিন্তু আচমকা যে এ ভাবে স্বামীকে হারাবেন, সেটা হয়তো ভাবেননি কখনও। রিক্তা বলেন, ‘আমার স্বামী দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। অন্য কারও ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটলে আমরাও সান্ত্বনা দিতাম। কিন্তু যে পরিবারের সঙ্গে এ রকম ঘটনা ঘটে, তারাই বোঝে এর যন্ত্রণা। এই বাস্তব মেনে নেওয়া যে কত কঠিন!’ মেয়ের মুখ চেয়ে বুক বেঁধেছেন তিনি। বলেন, ‘যিনি গিয়েছেন, তাঁকে আর কখনও ফিরে পাব না। কিন্তু মেয়ে আছে, ওকে তো মানুষ করতে হবে।’
সেই সঙ্গেই সরকারের কড়া মনোভাব গ্রহণের কথা বলেন রিক্তা। তাঁর কথায়, ‘পরিবারের কেউ সেনাবাহিনীতে কাজ করতে গিয়েছেন মানে আমরা জানি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন। কিন্তু দিনে দিনে জঙ্গিরা হামলা চালাচ্ছে এবং ভারতীয় সেনা জওয়ানদের খতম করছে। একজন নিহত জওয়ানের স্ত্রী হিসেবে এটাই বলব, দেশের স্বার্থে সরকার জঙ্গি দমনে কড়া মনোভাব দেখাক।’
রিয়াকে ভালো ভাবে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করার স্বপ্ন ছিল দীপকের। স্বামীর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চান রিক্তা। তাঁর কথায়, ‘কোথাও জঙ্গি হানা হলে মেয়ের ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায়। আমাদেরও খারাপ লাগে। যিনিই মারা যান, তিনি তো কারও বাবা, কারাও স্বামী, কারও সন্তান, কারও ভাই।’ দীপকের মৃত্যুর পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রিক্তাকে। কিন্তু মেয়েকে ছেড়ে চাকরিতে যোগদানে রাজি হননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘সরকার যত টাকাই দিক, কোনও কিছুর বিনিময়ে স্বামী হারানোর ক্ষতিপূরণ হয় না।’ দীপকের মা কনকলতা মাইতি বলেন, ‘জঙ্গিরা আমার কোল খালি করে দিয়েছে অনেক আগে। আবার কত মায়ের কোল খালি করে দিল। আর কত ঘটনা ঘটবে? সরকার কিছু একটা করুক।’
অনেক হয়েছে। অনেক রক্ত, অনেক লাশ, অনেক কান্না। দেশের স্বার্থে সরকার এ বার কড়া মনোভাব দেখাক। পুলওয়ামার ঘটনার পরে এটাই চান রিক্তা মাইতি। বছর দেড়েক আগে কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন তাঁর স্বামী দীপক।
দীপকের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের মনসাগ্রামে। ২০১৭-র ৩ জুন কাশ্মীরের অনন্তনাগে হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীর জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছিলেন তিনি। ঘটনার দু’দিন আগে, ১ জুন নায়েক থেকে হাবিলদার পদে উন্নতি হয়েছিল তাঁর। রিক্তার কথায়, ‘কনভয়ে জঙ্গি হামলার দিনকয়েক আগে ফোনে জানিয়েছিলেন, ১০ জুন বাড়ি ফিরবেন। তার পাঁচদিন আগে ফিরেছিলেন ঠিকই। কিন্তু জীবিত নয়, কফিনবন্দি অবস্থায়।’
দম্পতির এক মেয়ে, রিয়া। নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্বামীর মৃত্যুর আগে তার লেখাপড়ার জন্য পিংলায় বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন রিক্তা। কিন্তু আচমকা যে এ ভাবে স্বামীকে হারাবেন, সেটা হয়তো ভাবেননি কখনও। রিক্তা বলেন, ‘আমার স্বামী দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। অন্য কারও ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটলে আমরাও সান্ত্বনা দিতাম। কিন্তু যে পরিবারের সঙ্গে এ রকম ঘটনা ঘটে, তারাই বোঝে এর যন্ত্রণা। এই বাস্তব মেনে নেওয়া যে কত কঠিন!’ মেয়ের মুখ চেয়ে বুক বেঁধেছেন তিনি। বলেন, ‘যিনি গিয়েছেন, তাঁকে আর কখনও ফিরে পাব না। কিন্তু মেয়ে আছে, ওকে তো মানুষ করতে হবে।’
সেই সঙ্গেই সরকারের কড়া মনোভাব গ্রহণের কথা বলেন রিক্তা। তাঁর কথায়, ‘পরিবারের কেউ সেনাবাহিনীতে কাজ করতে গিয়েছেন মানে আমরা জানি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন। কিন্তু দিনে দিনে জঙ্গিরা হামলা চালাচ্ছে এবং ভারতীয় সেনা জওয়ানদের খতম করছে। একজন নিহত জওয়ানের স্ত্রী হিসেবে এটাই বলব, দেশের স্বার্থে সরকার জঙ্গি দমনে কড়া মনোভাব দেখাক।’
রিয়াকে ভালো ভাবে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করার স্বপ্ন ছিল দীপকের। স্বামীর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চান রিক্তা। তাঁর কথায়, ‘কোথাও জঙ্গি হানা হলে মেয়ের ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায়। আমাদেরও খারাপ লাগে। যিনিই মারা যান, তিনি তো কারও বাবা, কারাও স্বামী, কারও সন্তান, কারও ভাই।’ দীপকের মৃত্যুর পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রিক্তাকে। কিন্তু মেয়েকে ছেড়ে চাকরিতে যোগদানে রাজি হননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘সরকার যত টাকাই দিক, কোনও কিছুর বিনিময়ে স্বামী হারানোর ক্ষতিপূরণ হয় না।’ দীপকের মা কনকলতা মাইতি বলেন, ‘জঙ্গিরা আমার কোল খালি করে দিয়েছে অনেক আগে। আবার কত মায়ের কোল খালি করে দিল। আর কত ঘটনা ঘটবে? সরকার কিছু একটা করুক।’