অ্যাপশহর

চেনা ছন্দে ফিরছে ডুয়ার্স, ঢল নেমেছে পর্যটকদের

দীর্ঘ ৯ মাস পর ফের চেনা ছন্দে উত্তরবঙ্গ। দুর্গাপুজোর পর থেকেই স্থানীয় ও বহিরাগত পর্যটকরা ভিড় করছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভেতর অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র জয়ন্তী ও বক্সা পাহাড়ের পাহাড়ি গাঁও লেপচাখাতে। কোভিড পরিস্থিতির জন্য পর্যটন ব্যবসা লাটে উঠলেও, শীতের মরসুমের আগে পর্যটকদের আনাগোনায় আশা দেখছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

EiSamay 4 Nov 2020, 10:40 am
এই সময়: গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে আচমকাই যেন খুলে গিয়েছে লকগেট। প্রায় ৯ মাস পর চেনা ছন্দে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভেতর অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র জয়ন্তী ও বক্সা পাহাড়ের পাহাড়ি গাঁও লেপচাখা। কোভিড পরিস্থিতি পার করে আনলক পর্বে প্রায় স্বাভাবিক হবার পথে জয়ন্তী বনবস্তি। লজ, হোম-স্টে, রিসর্টগুলির সিংহভাগ পর্যটকদের দখলে। দুর্গাপুজোর ঠিক আগে শুরু হয়েছিল পর্যটকদের আনাগোনা। পুজোর মধ্যে এবং পুজোর পরে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, প্রায় প্রতিদিন স্থানীয় ও বহিরাগত পর্যটকরা আসছেন পালা করে। কালীপুজো পর্যন্ত যথেষ্ট বুকিং রয়েছে। কোথাও কোথাও আবার বুকিং হয়েছে ডিসেম্বর ছাড়িয়ে জানুয়ারি পর্যন্ত। ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পুরোনো ছন্দে থাকতে পারলে ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করছেন লজ, হোম-স্টে ও রিসর্টের মালিকরা। গাইড ও জিপ সাফারির সঙ্গে জড়িতরাও অনেকটা স্বস্তিতে।
EiSamay.Com dooars
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া ছবি। ফাইল ছবি


আপাতত আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি থেকেই বেশি পর্যটকরা আসছেন। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ থেকেও ছুটি উপভোগ করতে ছুটে আসছেন অনেকে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সবকটি ট্রেন চালু হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। জয়ন্তীর স্থানীয় গাইড অজয় শর্মা বলেন, 'প্রতিদিন জিপ সাফারি চলছে। নির্দিষ্ট রুটে নির্দিষ্ট সংখ্যায় পর্যটকদের নিয়ে জঙ্গলে গাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছে। পর্যটকদের কাছে জিপ সাফারির যথেষ্ট আকর্ষণ রয়েছে।' জয়ন্তী ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শুভজ্যোতি বসু জানিয়েছেন, 'কোভিড পরিস্থিতি পার করে প্রায় ৭ মাস পর জঙ্গলে মানুষ আসতে শুরু করেছেন যা একটি সদর্থক লক্ষণ। বন্য প্রাণীদের বিশেষ করে হাতি,বাইসন, ইন্ডিয়ান ঢোল, সম্বর সহ বিভিন্ন ধরনের হরিণ দেখা যাচ্ছে। যেহেতু শীত প্রায় চলেই এসেছে, বিভিন্ন ধরনের পাখির দেখা মিলছে।' তিনি বলেন, 'পর্যটকদের থার্মাল স্ক্রিনিং থেকে শুরু করে গাড়ি স্যানিটাইজ করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই পর্যটকরা নির্ভয়ে জয়ন্তীতে আসুন। তাঁদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের।'

লেপচাখার একটি হোম-স্টের কর্ণধার অমিত চন্দ বলেন, 'এটা খুবই ভাল লক্ষণ যে ভয় কাটিয়ে মানুষ বেড়াতে আসছেন। আমরা সকল পর্যটকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আলিপুরদুয়ারে। আশা করছি যেভাবে মানুষ আসছেন তাতে বড়দিনের ছুটিতে আরও বেশি মানুষ আসবেন এখানে।' তবে হাইকোর্টের নির্দেশে জয়ন্তীতে বনদপ্তরের বাংলোতে বুকিং বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ছোট ছোট প্রায় ৩৫টি লজ, হোম-স্টেতে কোন ঘরই ফাঁকা নেই। খাবারের যে হোটেলগুলি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল তাঁরাও যথেষ্ট সক্রিয় ভাবে ফের মানুষের রসনা তৃপ্তি করছেন। কলকাতা থেকে আসা এক পর্যটক অজয় চক্রবর্তী বলেন, 'সুয়োগ পেলেই জয়ন্তীতে ছুটে আসি। বন্যপ্রাণী দেখতে নয়, প্রকৃতিকে দেখতে।' উত্তরবঙ্গের হেল্প ট্যুরিজমের মুখপাত্র রাজ বসু বলেন, 'আমরা যথেষ্ট আশাবাদী। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব দ্রুত উত্তরবঙ্গের পর্যটন ঘুরে দাঁড়াবে। তবে ট্রেন চলাচল সবার আগে স্বাভাবিক হতে হবে।'


এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-


পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল