কিছুদিন আগেই নুপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। আর সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল দেশ সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও। সেই সময় বেজায় সমস্যায় পড়েছিল বহু মানুষ। আর এই রকম পরিস্থিতির পরেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির গড়ল বাঁকুড়া (Bankura)। শিবভক্তদের আপ্যায়নের দায়িত্ব নিলেন মুসলিম (Muslim) সম্প্রদায়ের মানুষ। শ্রাবণ মাস উপলক্ষে এখন বিভিন্ন শিবের মন্দিরে ভিড় করছেন ভক্তরা। রাজ্যের বিভিন্ন শিবের মন্দিরেই ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক জায়গায় দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে পৌঁছছেন মন্দিরে। বাদ যায়নি বাঁকুড়াও। আর এবার শুশুনিয়ার পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে পায়ে হেঁটে জল নিয়ে আসা শিবভক্তদের আপ্যায়নের দায়িত্ব নিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। রবিবার বিকেলে এমন ছবিই ধরা পড়ল বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা স্টেট ব্যাঙ্কের সামনে।
শ্রাবণ মাসের তৃতীয় সোমবার নিজের নিজের এলাকার মন্দিরে শিবের (Shiv) মাথায় জল ঢালার উদ্দেশ্যে শুশুনিয়ার পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে জল নিয়ে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন অনেকেই। দীর্ঘ পথ হাঁটতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন বহু মানুষ। তাঁদের অনেকের আবার পায়ে ব্যথাও হয়ে যায়। আর সেই সময় তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। পায়ে ব্যথানাশক স্প্রে করার পাশাপাশি শিবভক্তদের বিশ্রামের ব্যবস্থা ও জলখাবারের ব্যবস্থা করেন তাঁরাই। এমনকী, ভ্রাতৃত্বের বন্ধন হিসেবে রাখি পরানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
পাশাপাশি হাওড়াতেও এই ধরনের ঘটনা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। অর্থের অভাবে এক প্রবীণের সৎকারের জন্য দিশা খুঁজে পাচ্ছিল না পরিবার। সেই সময় এগিয়ে যান সংখ্যালঘু প্রতিবেশীরা। তাঁদের সাহায্যেই সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য। ঘটনাটি হাওড়ার সাকরাইলের সর্দার পাড়ায়। এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ কর্মকার (৭৫) দীর্ঘদিন ধরেই হার্টের অসুখে ভুগছিলেন। একইসঙ্গে তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও ছিল।এরপর তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় পাড়ার সোহরাব এবং মোস্তাক আলির সাহায্যে তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন ছেলে মাধব কর্মকার। তাঁর জীবন বাঁচাতে রক্তদানও করেছিলেন পাড়ার ছেলে মোস্তাক। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় সন্তোষবাবুর। তাঁর এক ছেলে মাধব কর্মকার পেশায় গৃহশিক্ষক। বাবার চিকিৎসায় বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করার পর সৎকারের জন্য কোনও অর্থ ছিল না তাঁর হাতে। সেই সময় তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন পাড়ার মুসলিম ভাইরা।
শ্রাবণ মাসের তৃতীয় সোমবার নিজের নিজের এলাকার মন্দিরে শিবের (Shiv) মাথায় জল ঢালার উদ্দেশ্যে শুশুনিয়ার পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে জল নিয়ে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন অনেকেই। দীর্ঘ পথ হাঁটতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন বহু মানুষ। তাঁদের অনেকের আবার পায়ে ব্যথাও হয়ে যায়। আর সেই সময় তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। পায়ে ব্যথানাশক স্প্রে করার পাশাপাশি শিবভক্তদের বিশ্রামের ব্যবস্থা ও জলখাবারের ব্যবস্থা করেন তাঁরাই। এমনকী, ভ্রাতৃত্বের বন্ধন হিসেবে রাখি পরানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
পাশাপাশি হাওড়াতেও এই ধরনের ঘটনা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। অর্থের অভাবে এক প্রবীণের সৎকারের জন্য দিশা খুঁজে পাচ্ছিল না পরিবার। সেই সময় এগিয়ে যান সংখ্যালঘু প্রতিবেশীরা। তাঁদের সাহায্যেই সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য। ঘটনাটি হাওড়ার সাকরাইলের সর্দার পাড়ায়। এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ কর্মকার (৭৫) দীর্ঘদিন ধরেই হার্টের অসুখে ভুগছিলেন। একইসঙ্গে তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও ছিল।এরপর তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় পাড়ার সোহরাব এবং মোস্তাক আলির সাহায্যে তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন ছেলে মাধব কর্মকার। তাঁর জীবন বাঁচাতে রক্তদানও করেছিলেন পাড়ার ছেলে মোস্তাক। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় সন্তোষবাবুর। তাঁর এক ছেলে মাধব কর্মকার পেশায় গৃহশিক্ষক। বাবার চিকিৎসায় বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করার পর সৎকারের জন্য কোনও অর্থ ছিল না তাঁর হাতে। সেই সময় তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন পাড়ার মুসলিম ভাইরা।