অ্যাপশহর

লালগড় থানার ১৭টি বন্দুক কিনে নিয়েছে মাওবাদীরা

বেঙ্গল এসটিএফ জানাচ্ছে, বুধবার রাতে ধৃত ওই অস্ত্র কারবারির নাম চিরঞ্জীবী ওঝা। লালগড় থানার ওই সব অস্ত্র চোরাবাজার থেকে কেনার পর সে সব সে ঝাড়খণ্ড ও বিহারের মাওবাদীদের কাছে সরবরাহ করেছে।

Ei Samay 17 Jul 2020, 10:22 am
EiSamay.Com maoists
মাওবাদী
এই সময়: গায়েব হয়েছিল মোট ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র। তার মধ্যে একটি উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু লালগড় থানার মালখানা থেকে পর্যায়ক্রমে পাচার হওয়া বিভিন্ন ধরনের বাকি ১৭টি বন্দুক কোথায় গেল? জানুয়ারি মাসে ওই অস্ত্র-পাচার কাণ্ড সামনে আসা ইস্তক সন্দেহটা গোড়া থেকেই হয়েছিল গোয়েন্দাদের। আর বুধবার রাতে এক আন্তঃরাজ্য অস্ত্র কারবারিকে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে গ্রেপ্তার করার পর নিশ্চিত হলেন রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) গোয়েন্দারা। জানা গেল, লালগড় থানার মালখানা থেকে এক সাব-ইনস্পেক্টরের মাধ্যমে সরানো ওই ১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছেছে মাওবাবীদের হাতে!

পুরুলিয়ার কেন্দা এলাকায় এ বছর ১২ জানুয়ারি বেআইনি অস্ত্রের কারবারি চণ্ডী কর্মকার গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই এই কেলেঙ্কারি সামনে আসে। একটি গাড়িতে চণ্ডী একটি দোনলা বন্দুক নিয়ে যাচ্ছিলেন পাচার করতে। ওই গাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পর দেখা যায়, সেটি লালগড় থানার সেফ কাস্টডির বন্দুক। এবং বাঁকুড়ায় চণ্ডীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় একটি ট্রানজিট লাইসেন্স, চণ্ডীকে যে নথি দিয়েছিলেন লালগড় থানার এক সময়কার এসআই, মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তারাপদ টুডু। তারাপদকেও এসটিএফ গ্রেপ্তার করে।

সম্প্রতি তদন্তকারীরা জানতে পারেন, চণ্ডীর কাছ থেকে লালগড় থানার মালখানায় রাখা অস্ত্রগুলো কিনেছিলেন ঝাড়খণ্ডের অস্ত্র কারবারি চিরঞ্জীবী। যে দিন চণ্ডী বমাল ধরা পড়ে, সেই ১২ জানুয়ারিও চিরঞ্জীবীকে দোনলা বন্দুকটি তাঁর পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। অস্ত্র কেনার পর চিরঞ্জীবী সেগুলো আরও চড়া দামে বিক্রি করে মাওবাদীদের কাছে।

পরের খবর