এই সময়: অতিরিক্ত বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারির আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই ত্রাহি রব উঠেছে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে। অতিবৃষ্টির জেরে ধস নামা, বাড়ি ধসে পড়া, রাস্তা ভেসে যাওয়া থেকে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, দার্জিলিং ও সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ধসের জেরে গ্যাংটক থেকে উত্তর সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বেহাল হয়ে গিয়েছে। আটকে পড়েছেন প্রায় আড়াই হাজার পর্যটক। গাড়ি খাদে পড়ে যাওয়া ছাড়াও গাড়ির উপরে পাথর পড়ে সব মিলিয়ে মোট সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে সিকিমের বাসিন্দা পাঁচ জন। তার মধ্যে তিন জন পুলিশ কর্মী বলে সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। জোড়থাঙের কাছে মাঝিটারে গাড়ির উপরে পাথর পড়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, কোচবিহারের বালাভূতে চাষের জমিতে কাজ করার সময়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে বাবা দেবেন মণ্ডল (৭০) ও ছেলে দুলাল মণ্ডলের (২০)। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় চরতোর্সা, বুড়ি তোর্সা ও সঞ্জয় নদীর ডাইভারশন জলের তোড়ে উড়ে গিয়েছে। বীরপাড়া-ফালাকাটা এবং ফালাকাটা-কোচবিহার ছাড়া অন্য সমস্ত সড়ক কার্যত জলমগ্ন হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে টোটোপাড়াও। তরিবাড়ি এলাকায় ভুটানের সীমানার পাঁচিল ভেঙে গিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তা অনুসারে অতিবৃষ্টি চলবে অন্তত ১৯ জুন পর্যন্ত। অতিবৃষ্টির জেরে শিলিগুড়িতেও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বালাসন নদীর উপরে তৈরি ফেয়ারওয়েদার সেতু বেহাল হয়ে পড়ায় সকালে প্রায় ঘণ্টা চারেক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে কোচবিহারেও। শহরের কেশব রোড, রাজ রাজেন্দ্রনারায়ণ রোডে হাঁটু জল জমেছে। জেলার নিচু এলাকাগুলিতেও বেশ কিছু গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বলে খবর।
গ্যাংটকের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, জুন মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে এ বার রেকর্ড পরিমাণ ৬৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত এক দশকে এমন অতিবৃষ্টির নজির নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গের তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, কালজানি নদীর উপরে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। অতিবৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জারির পাশাপাশি গজলডোবায় তিস্তা ব্যারাজের বেশ কয়েকটি গেট খুলে দেওয়া হয়। জলপাইগুড়ির সেচ দপ্তরের আধিকারিক দেবব্রত দত্ত বলেন, ''দুপুরের দিকে পাহাড়ে বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণে আসায় তিস্তা ও জলঢাকায় জলের উচ্চতা বৃদ্ধি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ফের বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি কোনদিকে গড়াবে সেটা অনুমান করা কঠিন।'' উত্তর সিকিমের বেহাল দশায় বিপাকে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। এখনও উত্তরবঙ্গে পর্যটন মরসুম চলছে। অথচ অতিবৃষ্টির জেরে সিকিমের লাচুং, ইয়ুমথাঙ ও চুঙথাঙের পরিস্থিতি বেহাল। ধস নেমে বেশ কিছু এলাকায় রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিকিম পর্যটন দপ্তর এদিন উত্তর সিকিমে কোনও পর্যটককে ঢুকতে দেয়নি। আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করার জন্য পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল। তিনি বলেন, ''লাচুং যাওয়ার পথে এত ধস পড়েছে যে আগামী তিন দিনেও রাস্তা খোলা সম্ভব কি না তা বলা সম্ভব নয়।''
অন্যদিকে, কোচবিহারের বালাভূতে চাষের জমিতে কাজ করার সময়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে বাবা দেবেন মণ্ডল (৭০) ও ছেলে দুলাল মণ্ডলের (২০)। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় চরতোর্সা, বুড়ি তোর্সা ও সঞ্জয় নদীর ডাইভারশন জলের তোড়ে উড়ে গিয়েছে। বীরপাড়া-ফালাকাটা এবং ফালাকাটা-কোচবিহার ছাড়া অন্য সমস্ত সড়ক কার্যত জলমগ্ন হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে টোটোপাড়াও। তরিবাড়ি এলাকায় ভুটানের সীমানার পাঁচিল ভেঙে গিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তা অনুসারে অতিবৃষ্টি চলবে অন্তত ১৯ জুন পর্যন্ত। অতিবৃষ্টির জেরে শিলিগুড়িতেও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বালাসন নদীর উপরে তৈরি ফেয়ারওয়েদার সেতু বেহাল হয়ে পড়ায় সকালে প্রায় ঘণ্টা চারেক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে কোচবিহারেও। শহরের কেশব রোড, রাজ রাজেন্দ্রনারায়ণ রোডে হাঁটু জল জমেছে। জেলার নিচু এলাকাগুলিতেও বেশ কিছু গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বলে খবর।
গ্যাংটকের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, জুন মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে এ বার রেকর্ড পরিমাণ ৬৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত এক দশকে এমন অতিবৃষ্টির নজির নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গের তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, কালজানি নদীর উপরে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। অতিবৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জারির পাশাপাশি গজলডোবায় তিস্তা ব্যারাজের বেশ কয়েকটি গেট খুলে দেওয়া হয়। জলপাইগুড়ির সেচ দপ্তরের আধিকারিক দেবব্রত দত্ত বলেন, ''দুপুরের দিকে পাহাড়ে বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণে আসায় তিস্তা ও জলঢাকায় জলের উচ্চতা বৃদ্ধি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ফের বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি কোনদিকে গড়াবে সেটা অনুমান করা কঠিন।'' উত্তর সিকিমের বেহাল দশায় বিপাকে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। এখনও উত্তরবঙ্গে পর্যটন মরসুম চলছে। অথচ অতিবৃষ্টির জেরে সিকিমের লাচুং, ইয়ুমথাঙ ও চুঙথাঙের পরিস্থিতি বেহাল। ধস নেমে বেশ কিছু এলাকায় রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিকিম পর্যটন দপ্তর এদিন উত্তর সিকিমে কোনও পর্যটককে ঢুকতে দেয়নি। আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করার জন্য পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল। তিনি বলেন, ''লাচুং যাওয়ার পথে এত ধস পড়েছে যে আগামী তিন দিনেও রাস্তা খোলা সম্ভব কি না তা বলা সম্ভব নয়।''