অ্যাপশহর

রাজধানীর নাম মুখস্থ বলে রেকর্ড খুদে সংস্থিতার

বয়স মাত্র তিনবছর এগারো মাস! আর এই খুদে বয়সেই মাত্র ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে একশোটি দেশের ও রাজধানীর নাম বলে India Book of Records-এ নাম তুললো ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির সংস্থিতা মাহাতো।

Ei Samay 24 Oct 2021, 12:18 pm

হাইলাইটস

  • 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'-এ নাম উঠল বেলপাহাড়ির খুদে কন্যা সংস্থিতা মাহাতোর।
  • মাত্র ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে একশোটি দেশের ও রাজধানীর নাম বলে এই রেকর্ড করেছে সে।
  • খুদে কন্যার এমন কর্মকাণ্ডে খুশি তার বাবা-মা ও পরিজনেরা।
EiSamay.Com Winner
শংসাপত্র হাতে সংস্থিতা মাহাতো
এই সময়, ঝাড়গ্রাম: 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'-এ নাম উঠল বেলপাহাড়ির খুদে কন্যা সংস্থিতা মাহাতোর!
মাত্র ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে একশোটি দেশের ও রাজধানীর নাম বলে এই রেকর্ড করেছে তিন বছর এগারো মাসের সংস্থিতা। বৃহস্পতিবার ক্যুরিয়ার মারফত 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস' থেকে বাড়িতে এসে পৌঁছেছে শংসাপত্র ও মেডেল। খুদে কন্যার এমন কর্মকাণ্ডে খুশি তার বাবা-মা ও পরিজনেরা।

ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়িতে বাড়ি সংস্থিতা মাহাতোর। সংস্থিতার বাবা সত্যজিৎ মাহাতো গোপীবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী এবং মা ঝুমা পাইন মাহাতো বেলপাহাড়ির ডাইনমারি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী। বর্তমানে সত্যজিৎ কর্মসূত্রে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরে থাকেন।

বাঁকুড়া শহরে চাঞ্চল্য, মারাত্মক ডায়েরিয়ার প্রকোপে হাসপাতালে ভর্তি বহু
চলতি বছরে সংস্থিতাকে তার বাবা-মা শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের নার্সারি ক্লাসে ভর্তি করেছেন। কী ভাবে খুদে কন্যা কম সময়ে একশোটি দেশের ও রাজধানীর নাম মুখস্থ করল? উত্তরে তার মা ঝুমা পাইন মাহাতো বলেন, 'স্বামী স্বাস্থ্যকর্মী। তাই সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে প্রতিদিন বেরিয়ে যান এবং সন্ধ্যা হয় বাড়ি ফিরতে। আর লকডাউনের জেরে বাড়ির মধ্যেই আমি ও মেয়ে সর্বক্ষণ আবদ্ধ। বাড়ির কাজকর্ম করার সময়ে আমি ছড়া এবং আর নানা জিনিস মুখে মুখে বলতাম। মেয়ে শুনত। এ ভাবেই ও শুনে শুনে ও সব রপ্ত করেছে। অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজার পদে পরীক্ষার জন্য আমি এ বছরের প্রথম দিকে বিভিন্ন দেশ ও রাজধানীর নাম খাতায় লিখে মুখস্থ করছিলাম। ওই সময় মেয়ে পাশে বসে থাকত। একদিন দেখি ও দেশের ও রাজধানীর নাম নিজে নিজে বলছে। ওই ঘটনা দেখার পর তিন দিনে একশোটি দেশের ও রাজধানীর নাম মুখস্থ বলতে পেরেছিল মেয়ে।'

সংস্থিতার বাবা সত্যজিৎ মাহাতো বলেন, 'মেয়ে নিজের থেকে একশো দেশ ও রাজধানীর নাম বলতে পারায় আমি একদিন ওর মুখস্থ বলার সময়ে মোবাইলে ভিডিও করি। তাতে ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে সব বলতে পারে। আর ওই ভিডিও ই-মেল মারফত ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে পাঠিয়েছিলাম গত ৩১ অগাস্ট। তারপর ১১ সেপ্টেম্বর একটি ই-মেল আসে। গতকাল বাড়িতে ক্যুরিয়ার মারফত ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে মেডেল, শংসাপত্র, পেন, কার্ড পাঠিয়েছে। খুবই ভালো লাগছে মেয়ে এভাবে শিখতে পেরেছে বলে।'

এক রাতে কয়েক হাজার ছাগল-মোষ বলি মৌতড়ের কালীপুজোয়, মানত পূরণে লক্ষ মানুষের ভিড়
শুধুমাত্র পড়াশোনাই নয়, চলতি বছরের ২৮ জুলাই 'ম্যাজিক বুক অফ রেকর্ডস' থেকে বেস্ট কিড্ ড্যান্সার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছ সংস্থিতা। স্কুলে না গেলেও বাড়িতেই মায়ের কাছে একের পর এক শিক্ষায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে খুদে কন্যা। খুশি তাঁর প্রিয়জনরা।

পরের খবর