ফেসবুকের বন্ধুত্ব থেকে শ্রীঘরে কলেজ পড়ুয়া যুবক

এই সময়, ঝাড়গ্রাম: ফেসবুকে প্রথমে বন্ধুত্ব পাতানো। তারপর বিয়ের জন্য 'চাপ' দেওয়া। কলেজ পড়ুয়া যুবক তাতে রাজি না হওয়ায় বেঁকে বসে বান্ধবী। ফলস্বরূপ শ্রীঘরে ঢুকতে হল যুবককে। এমনই ঘটনা ঘটেছে ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া বিট এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুড়ি বছরের যুবক মানিকপাড়া বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের কলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রাম ব্লকের ধানশোলা গ্রামে। কিন্তু সে মামাবাড়ি মানিকপাড়ায় থেকে পড়াশুনা করত। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম আদালত চত্বরে অভিযুক্ত বলেন,'গত ফেব্রুয়ারি মাসে সাপধরা এলাকার উনিশ বছরের এক তরুণী আমাকে ফেসবুকে প্রথম ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। আমি তা গ্রহণ করি এবং বন্ধুত্ব স্থাপন হয়। হঠাৎ ৩ মাস পর মেয়েটি আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। আমি বলেছিলাম, কোনও কাজ করিনা কিভাবে বিয়ে করব? তারপরই আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা কেস দিয়েছে।'

গত দু'মাস আগে মেয়েটি ঝাড়গ্রামের মহিলা থানায় যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর পুলিশের খাতায় 'ফেরার' হয় যুবকটি। আদালতে মেয়েটি গোপন জবানবন্দিও দেয়। মঙ্গলবার ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে মানিকপাড়া বিটের পুলিশ ঝাড়গ্রামের বিচারক এডুইন লেপচার এজলাসে তোলে। পুলিশ যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি গত ১২ দিন আগে অন্য একটি ছেলের সঙ্গে বিয়েও করেছে।