পুজোয় জঙ্গলেই হাতিদের আটকে প্রশংসিত বন দফতর
Durga Puja- শুরুর মুখে দলমার দামালদের উৎপাত ঘিরে উৎকণ্ঠায় ভুগছিলেন উত্তর Bankura-র গ্রামবাসীরা। যদিও শেষপর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস! বনদফতরের উদ্যোগে পুজোর চারদিনের আনন্দে ভাটা পড়েনি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
Ei Samay 17 Oct 2021, 12:07 pm
হাইলাইটস
- হাতি সামলানোর চ্যালেঞ্জে উৎরে গেল বন দফতর।
- নিজেদের মতো করে পুজো উপভোগ করতে পেরেছেন উত্তর বাঁকুড়ার গ্রামবাসী।
- পুজোর মুখে আশঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মানুষের আনন্দ মাটি হয়নি।
এই সময়, বাঁকুড়া: হাতি সামলানোর চ্যালেঞ্জে উৎরে গেল বন দফতর। তাদের পাহারার কড়াকড়িতে চার দিন জঙ্গলের বাইরে পা রাখার সাহস দেখায়নি দলমার দামালেরা। ফলে পুজোর মুখে আশঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মানুষের আনন্দ মাটি হয়নি। নিজেদের মতো করে পুজো উপভোগ করতে পেরেছেন উত্তর বাঁকুড়ার গ্রামবাসী। বন দফতরের সক্রিয়তায় অন্তত দিনে সপরিবার এলাকায় প্রতিমা দর্শন করতে পেরেছেন তাঁরা। গ্রামগুলোকে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বন দফতরের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন সকলে।
বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের ডিএফও কল্যাণ রাই বলেন, 'পুজোর দিনগুলোতে হাতিরা যাতে লোকালয়ে ঢুকে ঝামেলা পাকাতে না পারে তার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এলাকায় সর্বক্ষণ কড়া পাহারা তো ছিলই, হাতিদের জন্য কিছু খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে আমাদের চেষ্টা সার্থক হয়েছে। চার দিন হাতিরা জঙ্গলের মধ্যেই ছিল। ফলে গ্রামবাসী পুজো উপভোগ করতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হয়নি।'
একইসঙ্গে ডিএফও বলেন, 'আমাদের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাঁরা কেউ ছুটি নেননি। নিজেরা আনন্দ করেননি। তাঁদের একটাই লক্ষ্য ছিল, পুজোয় গ্রামবাসী যাতে আনন্দ করতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করে সেই লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছেন তাঁরা। গ্রামবাসীও সহযোগিতা করেছেন।'
পুজোর মুখে বড়জোড়ার পাবয়ার জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছিল ৮০টি হাতি। আতঙ্ক তো বটেই। জঙ্গল লাগোয়া আশপাশের গ্রামগুলোতে শারদোৎসব কেমন কাটবে তা নিয়েও উৎকন্ঠা ছিল চরমে। পুজোয় গ্রামবাসীকে স্বস্তি দিতে ছুটি বাতিল করা হয়েছিল কর্মী, অফিসারদের। এলাকায় নজরদারিতে গঠন করা হয়েছিল তিনটি বিশেষ টিম। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে কড়া পাহারার জন্য ছিলেন এলিফ্যান্ট ম্যানেজমেন্ট টিমের শতাধিক সদস্য। একাধিক গ্রামেও রাখা হয়েছিল লোকজন। বড়জোড়ার জামবেদিয়া, ভুসতড়া, সংগ্রামপুর গ্রামে পুজো হয়েছে নির্বিঘ্নে।
জামবেদিয়ার বাসিন্দা বিশ্বরূপ নায়ক, মনসা মণ্ডল বলেন, 'হাতিরা চার দিন জঙ্গলের বাইরে বেরতে পারেনি। তাই পুজো আনন্দেই কেটেছে। কোনও সমস্যা হয়নি।' হাতি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য গঠিত সংগ্রামী গণমঞ্চের সম্পাদক শুভ্রাংশু মুখোপাধ্যায় বলেন, 'পুজোয় মানুষকে স্বস্তি দিতে বন দফতর যে ভূমিকা নিয়েছিল তা প্রশংসনীয়। তবে হাতি সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরি। যে দাবিতে আমাদের আন্দোলন জারি রয়েছে। সেই সমাধানের রাস্তা ভাবতে হবে। তবেই মানুষের মঙ্গল হবে।'
বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের ডিএফও কল্যাণ রাই বলেন, 'পুজোর দিনগুলোতে হাতিরা যাতে লোকালয়ে ঢুকে ঝামেলা পাকাতে না পারে তার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এলাকায় সর্বক্ষণ কড়া পাহারা তো ছিলই, হাতিদের জন্য কিছু খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে আমাদের চেষ্টা সার্থক হয়েছে। চার দিন হাতিরা জঙ্গলের মধ্যেই ছিল। ফলে গ্রামবাসী পুজো উপভোগ করতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হয়নি।'
একইসঙ্গে ডিএফও বলেন, 'আমাদের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাঁরা কেউ ছুটি নেননি। নিজেরা আনন্দ করেননি। তাঁদের একটাই লক্ষ্য ছিল, পুজোয় গ্রামবাসী যাতে আনন্দ করতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করে সেই লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছেন তাঁরা। গ্রামবাসীও সহযোগিতা করেছেন।'
পুজোর মুখে বড়জোড়ার পাবয়ার জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছিল ৮০টি হাতি। আতঙ্ক তো বটেই। জঙ্গল লাগোয়া আশপাশের গ্রামগুলোতে শারদোৎসব কেমন কাটবে তা নিয়েও উৎকন্ঠা ছিল চরমে। পুজোয় গ্রামবাসীকে স্বস্তি দিতে ছুটি বাতিল করা হয়েছিল কর্মী, অফিসারদের। এলাকায় নজরদারিতে গঠন করা হয়েছিল তিনটি বিশেষ টিম। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে কড়া পাহারার জন্য ছিলেন এলিফ্যান্ট ম্যানেজমেন্ট টিমের শতাধিক সদস্য। একাধিক গ্রামেও রাখা হয়েছিল লোকজন। বড়জোড়ার জামবেদিয়া, ভুসতড়া, সংগ্রামপুর গ্রামে পুজো হয়েছে নির্বিঘ্নে।
জামবেদিয়ার বাসিন্দা বিশ্বরূপ নায়ক, মনসা মণ্ডল বলেন, 'হাতিরা চার দিন জঙ্গলের বাইরে বেরতে পারেনি। তাই পুজো আনন্দেই কেটেছে। কোনও সমস্যা হয়নি।' হাতি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য গঠিত সংগ্রামী গণমঞ্চের সম্পাদক শুভ্রাংশু মুখোপাধ্যায় বলেন, 'পুজোয় মানুষকে স্বস্তি দিতে বন দফতর যে ভূমিকা নিয়েছিল তা প্রশংসনীয়। তবে হাতি সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরি। যে দাবিতে আমাদের আন্দোলন জারি রয়েছে। সেই সমাধানের রাস্তা ভাবতে হবে। তবেই মানুষের মঙ্গল হবে।'