অ্যাপশহর

গার্ডওয়াল টপকে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ ঢুকল ফাঁকা দিঘায়

কোটালের সময় ঝোড়ো বাতাস বইলে সমুদ্রের জল বাঁধ টপকে গ্রামে ঢুকে পড়ে। সেচ দপ্তর বাঁধ মেরামতির কাজ করলেও বাসিন্দাদের দাবি, পাথরের নয়, কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করা হোক অবিলম্বে।

Ei Samay 6 Aug 2020, 9:52 am
এই সময়, দিঘা: বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের কারণে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস মতো মঙ্গলবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল উপকূল এলাকা জুড়ে। কিন্তু ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাসের সতর্কতা জারি করা হলেও বুধবার কোনও ঝড় হয়নি এলাকায়। তবে নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র ছিল উত্তাল। মঙ্গলবার থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিঘা উপকূলে জারি করা হয়েছিল হলুদ সতর্কতা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার নির্দেশের পাশাপাশি মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছিল উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের। অন্য দিকে, লকডাউনের কারণে দিঘা-সহ তাজপুর-মন্দারমণি একপ্রকার পর্যটক শূন্য। তবু কোনও ভাবে যাতে পর্যটক বা স্থানীয় বাসিন্দারা সমুদ্রে না নামেন, তার জন্য নুলিয়া ও পুলিশের নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো।
EiSamay.Com high tide at digha
দিঘায় উত্তাল ঢেউ


বুধবার সকাল থেকে সমুদ্র ছিল উত্তাল। সকালে জোয়ারের সময় উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ ওল্ড দিঘার গার্ডওয়ালে ধাক্কা মেরে পর্যটক শূন্য রাস্তায় ঢুকে পড়ে। একই ভাবে শঙ্করপুর-তাজপুর সংলগ্ন অঞ্চলেও উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ বাঁধ টপকে এলাকায় ঢুকে পড়ে। তবে সমুদ্রের জল বাঁধ টপকে ঢুকে পড়লেও সমুদ্র বাঁধের ক্ষতি ছাড়া বড় ধরনের আর কোনও ক্ষতি হয়নি উপকূল এলাকায়। রামনগর ১ ব্লকের চাঁদপুর, তাজপুর, লছিমপুর, জলধা গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকার সমুদ্র বাঁধের অবস্থা ভালো নয়।

কাঁথি সেচ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার স্বপন পন্ডিত বলেন, 'দিঘা ও শঙ্করপুর থেকে তাজপুর এলাকায় কিছু জায়গায় বাঁধ টপকে জল ঢুকে পড়েছিল জোয়ারের সময়। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এই সময় জোয়ারের জলের উচ্চতা এমনিতে একটু বেশি হয়। তার উপর নিম্নচাপের কারণে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ গার্ডওয়াল ও বাঁধ টপকে কিছু কিছু জায়গায় ঢুকে পড়ে।'

পরের খবর