গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য়ে আরও ৪১৪ জনের শরীরে ধরা পড়ল করোনাভাইরাস। এর ফলে বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩,৯৪৫ জন। একদিনে রাজ্যে করোনায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৫৫।
রবিবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখনও চিকিত্সাধীন রয়েছেন ৫,০৯৩ জন। সেরে উঠেছেন ৮,২৯৭ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার এখনও পর্যন্ত ৫৯.৪৯%।
কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই সরকারের অনুমোদন থাকলেও চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কালীঘাট মন্দির (Kalighat)। ১ জুলাই থেকে খুলছে মন্দির। ফলে রথযাত্রার পরে বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মন্দির খোলার কোনও সুযোগ নেই। কালীঘাট মন্দির কমিটির তরফে বক্তব্য, ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন থাকায় তার আগে মন্দির না খোলার ব্যাপারে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোভিডকে হারিয়ে কাজে ফিরেছেন খড়দহ থানার এসআই রাজেশ মিদ্যা। রাজেশের মানসিক দৃঢ়তাকে কুর্নিশ জানিয়ে তাঁকে নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। উদ্দেশ্য, করোনায় আক্রান্তদের মনোবল বাড়ানো।
রাজ্যে করোনা-মুক্তির হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছিলই। আর শনিবার এ পর্যন্ত সর্বাধিক কোভিড আক্রান্তকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হল রাজ্যে। স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এ দিন ৫৬২ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই প্রশাসনিক কর্তার করোনা-আক্রান্ত হওয়ার খবরে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্য-প্রশাসনে। জ্বর ও গলা ব্যথার উপসর্গ থাকায় হাসপাতালের তিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের নমুনা প্রথমে হাসপাতালের ট্রু-ন্যাট মেশিনে পরীক্ষা করা হয়। শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় নিশ্চিতকরণে শনিবারই তাঁদের সোয়াব নমুনা সংগ্রহ করে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় পাঠানো হয়। স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে দু’জনেরই।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এ দিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ৫৬২ জনকে নতুন করে হাসপাতাল থেকে ছাড়া ধরে এ যাবৎ রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত ১৩,৫৩১ জনের (গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পজিটিভ ৪৪১) মধ্যে রোগমুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন ৭৮৬৫ জন।
হাবরা এবং অশোকনগর থেকে নতুন করে আরও তিন জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এল। হাবরার শ্রীনগরের আক্রান্ত বাসিন্দা কলকাতার কোলে মার্কেটে ফল বিক্রি করতেন। দ্বিতীয় আক্রান্ত বাণীপুরের এক গৃহবধূ। তিনি মুম্বইতে দিনমজুরের কাজ করতেন। অন্যদিকে বারাসতের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একই পরিবারের দুই ভাইয়ের করোনা ধরা পড়েছে। দেগঙ্গায় এক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরেই শনিবার বিশ্বনাথপুরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্যানিটাইজ করা হয়েছে। অশোকনগর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৪ বছরের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সল্টলেকের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। দিন চারেক আগে বাড়িতে আসার পরেই জ্বরের উপসর্গ নিয়ে অশোকনগর হাসপাতাল থেকে তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
৯৩ দিন পর ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে তারাপীঠ মন্দির। আগামী মঙ্গলবার রথযাত্রার দিন মন্দির খোলার কথা ঘোষণা করেছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি। তবে আগের মতো গর্ভগৃহে প্রবেশ করে পুজো বা অঞ্জলির ব্যবস্থা থাকছে না। ভক্তরা পুজো দিতে এলে সেবাইতরা গর্ভগৃহে ঢুকে পুজো করে সেই প্রসাদের ডালা ফেরত দেবেন ভক্তদের। মায়ের সিঁদুর বা চরণামৃত দেওয়ারে ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মন্দির কমিটি। করোনা সংক্রমণ রুখতে শুধু মন্দির নয় পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল চালানোর সিদ্ধান্তে নিয়েছেন হোটেল মালিকরা। হোটেলের ঘর স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি বড় বড় হোটেলে স্যানিটাইজ টানেল লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। ছোট লজ বা হোটেলে থার্মাল গান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কোভিড হানায় জর্জরিত রাজ্যে এ বার বড় ধরনের আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ। কারণ স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যে করোনায় যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে কো-মর্বিডিটি সবচেয়ে বেশি এই উচ্চ রক্তচাপে। আবার অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের রোগীর ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ প্রথম সারিতে।
রবিবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখনও চিকিত্সাধীন রয়েছেন ৫,০৯৩ জন। সেরে উঠেছেন ৮,২৯৭ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার এখনও পর্যন্ত ৫৯.৪৯%।
কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই সরকারের অনুমোদন থাকলেও চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কালীঘাট মন্দির (Kalighat)। ১ জুলাই থেকে খুলছে মন্দির। ফলে রথযাত্রার পরে বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মন্দির খোলার কোনও সুযোগ নেই। কালীঘাট মন্দির কমিটির তরফে বক্তব্য, ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন থাকায় তার আগে মন্দির না খোলার ব্যাপারে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোভিডকে হারিয়ে কাজে ফিরেছেন খড়দহ থানার এসআই রাজেশ মিদ্যা। রাজেশের মানসিক দৃঢ়তাকে কুর্নিশ জানিয়ে তাঁকে নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। উদ্দেশ্য, করোনায় আক্রান্তদের মনোবল বাড়ানো।
রাজ্যে করোনা-মুক্তির হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছিলই। আর শনিবার এ পর্যন্ত সর্বাধিক কোভিড আক্রান্তকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হল রাজ্যে। স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এ দিন ৫৬২ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই প্রশাসনিক কর্তার করোনা-আক্রান্ত হওয়ার খবরে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্য-প্রশাসনে। জ্বর ও গলা ব্যথার উপসর্গ থাকায় হাসপাতালের তিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের নমুনা প্রথমে হাসপাতালের ট্রু-ন্যাট মেশিনে পরীক্ষা করা হয়। শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় নিশ্চিতকরণে শনিবারই তাঁদের সোয়াব নমুনা সংগ্রহ করে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় পাঠানো হয়। স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে দু’জনেরই।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এ দিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ৫৬২ জনকে নতুন করে হাসপাতাল থেকে ছাড়া ধরে এ যাবৎ রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত ১৩,৫৩১ জনের (গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পজিটিভ ৪৪১) মধ্যে রোগমুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন ৭৮৬৫ জন।
হাবরা এবং অশোকনগর থেকে নতুন করে আরও তিন জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এল। হাবরার শ্রীনগরের আক্রান্ত বাসিন্দা কলকাতার কোলে মার্কেটে ফল বিক্রি করতেন। দ্বিতীয় আক্রান্ত বাণীপুরের এক গৃহবধূ। তিনি মুম্বইতে দিনমজুরের কাজ করতেন। অন্যদিকে বারাসতের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একই পরিবারের দুই ভাইয়ের করোনা ধরা পড়েছে। দেগঙ্গায় এক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরেই শনিবার বিশ্বনাথপুরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্যানিটাইজ করা হয়েছে। অশোকনগর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৪ বছরের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সল্টলেকের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। দিন চারেক আগে বাড়িতে আসার পরেই জ্বরের উপসর্গ নিয়ে অশোকনগর হাসপাতাল থেকে তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
৯৩ দিন পর ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে তারাপীঠ মন্দির। আগামী মঙ্গলবার রথযাত্রার দিন মন্দির খোলার কথা ঘোষণা করেছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি। তবে আগের মতো গর্ভগৃহে প্রবেশ করে পুজো বা অঞ্জলির ব্যবস্থা থাকছে না। ভক্তরা পুজো দিতে এলে সেবাইতরা গর্ভগৃহে ঢুকে পুজো করে সেই প্রসাদের ডালা ফেরত দেবেন ভক্তদের। মায়ের সিঁদুর বা চরণামৃত দেওয়ারে ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মন্দির কমিটি। করোনা সংক্রমণ রুখতে শুধু মন্দির নয় পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল চালানোর সিদ্ধান্তে নিয়েছেন হোটেল মালিকরা। হোটেলের ঘর স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি বড় বড় হোটেলে স্যানিটাইজ টানেল লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। ছোট লজ বা হোটেলে থার্মাল গান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কোভিড হানায় জর্জরিত রাজ্যে এ বার বড় ধরনের আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ। কারণ স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যে করোনায় যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে কো-মর্বিডিটি সবচেয়ে বেশি এই উচ্চ রক্তচাপে। আবার অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের রোগীর ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ প্রথম সারিতে।