অ্যাপশহর

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে ব্ল্যাক প্যান্থারের আনাগোনা

জিনগত কারনে এদের দেহের রং কালো হলেও আরও নিকষ কালো ছোপ থাকে সারা দেহে। তবে অবয়ব কালো হওয়ার দরুন প্রাকৃতিক কারণে দিনের আলোতে এরা কিছুতেই প্রকাশ্যে আসতে চায় না। এ দিন বক্সায় ব্ল্যাক প্যান্থারটিকে জঙ্গলের ঠিক কোথায় দেখা গিয়েছে, তা খোলসা করতে চাননি বনকর্তারা।

Ei Samay 2 Jan 2021, 12:07 pm
এই সময়: শীত নামতেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে দেখা মিলল ব্ল্যাক প্যান্থারের। শীতকাতুরে এই অতিথিরা প্রতিবছর নেমে আসে ভুটান লাগোয়া বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে। বন দপ্তরের রেকর্ড বলছে, বছরের এই সময় ডুয়ার্সের জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার অথবা ব্ল্যাক প্যান্থারদের দেখা মেলে আকছার। তবে রাজ্যের বনকর্তাদের দাবি, বন্যপ্রাণিদের তো দেশকালের গন্ডিতে বাঁধা যায় না। ফলে উপযুক্ত পরিবেশ ও সহজলভ্য খাবার সংগ্রহের জন্যই নানা বন্যপ্রাণি হিমালয়ান রেঞ্জের ভুটান লাগোয়া বনভূমি থেকে ডুয়ার্সে নেমে আসে। তা সে নেওড়াভ্যালিই হোক বা বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প। ফলে সবার অগোচরে উন্মুক্ত সীমান্তের সুযোগ নিয়ে ভুটান ও ভারতের বন্যপ্রাণিরা অবাধে দুই দেশের বনাঞ্চল অথবা লোকালয়ে ঢুঁ মারে। ইতিপূর্বে নেওড়াভ্যালি অথবা বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বাঘ, ব্ল্যাক প্যান্থার অথবা ইন্ডিয়ান ঢোল অর্থাৎ জংলি কুকুরের দেখা মিলেছে বছরের এই সময়ে। এ বছরেও তার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। ইংরেজি নববর্ষের শুরুতে ফের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে ধরা পড়েছে ব্ল্যাক প্যান্থারের ছবি। বন দপ্তরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্ল্যাক প্যান্থারের ছবি, বক্সার জীববৈচিত্রে নতুন মাইলস্টোন বলে দাবি বনকর্তাদের।
EiSamay.Com black panther
ব্ল্যাক প্যান্থার> ফাইল ছবি।


আদতে এরা চিতাবাঘ পরিবারের সদস্য। জিনগত কারনে এদের দেহের রং কালো হলেও আরও নিকষ কালো ছোপ থাকে সারা দেহে। তবে অবয়ব কালো হওয়ার দরুন প্রাকৃতিক কারণে দিনের আলোতে এরা কিছুতেই প্রকাশ্যে আসতে চায় না। এ দিন বক্সায় ব্ল্যাক প্যান্থারটিকে জঙ্গলের ঠিক কোথায় দেখা গিয়েছে, তা খোলসা করতে চাননি বনকর্তারা। কারণ, তাতে চোরাশিকারিরা যে কোনও সময় সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, 'এটা খুবই খুশির খবর। কারণ ব্ল্যাক প্যান্থাররা খুবই বিরল। বক্সার জঙ্গলে নিয়মিত ভাবে তাদের দেখা মেলায় একটা বিষয় প্রমাণিত হয় যে, অবশ্যই বক্সার জঙ্গলে তাদের উপযুক্ত ও আদর্শ পরিবেশ রয়েছে। না হলে তো ওরা আসত না। বক্সার জঙ্গলে ব্ল্যাক প্যান্থারদের অস্তিত্ব এখানকার জীব বৈচিত্র্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে।'

বর্ষার পর থেকেই ক্যামেরা পাতা হয় জঙ্গলে। নভেম্বর মাসের শেষের দিকে সেই সব ভিডিয়ো দেখার কাজ শুরু করে বনদপ্তর। ফরেস্টের একাধিক জায়গার পাতা ক্যামেরা থেকে ব্ল্যাক প্যান্থারের ছবি দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন বনকর্তারা।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-

পরের খবর