এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: চপ ভাজছেন BJP বিধায়ক। সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন তেলেভাজা। এই নিয়ে এলাকায় রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে। শনিবার সকালেই কানকাটার বাড়ির সামনে চপ ভাজতে বসেন বাঁকুড়ার BJP বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা। একেবারে টেবিল পেতে বসে, কাঠের জ্বালানিতে উনুন জ্বালিয়ে চপ ভাজতে দেখা যায় তাঁকে। 'মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা'-তেই চপ ভাজছেন বলে জানান তিনি। এরপরই বিধায়কের নতুন দোকানের সামনে স্থানীয়দের ভিড় দেখা যায়। হঠাৎ করে BJP বিধায়কের মুখ্যমন্ত্রীর চপ ভাজার মন্তব্যকে মান্যতা দিয়ে চপ ভাজতে বসার ঘটনাতেই জেলার রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। নীলাদ্রি শেখর দানাও কি এবার পদ্ম শিবির ছেড়ে ঘাস ফুল শিবিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন? তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এক সময়ের বহু চর্চিত বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে এভাবেই প্রকাশ্যে নিজের দলের বিরোধিতা করে শাসক-ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছেন? এমন সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন নীলাদ্রি শেখর দানা। বরং বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি দিতে না পারার জন্য তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার চাকরি দিতে পারছে না। অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে সরকারি দফতরগুলি চলছে।’ তাহলে তিনি কেন চপ ভাজছেন? জবাবে BJP বিধায়ক বলেন, এটা 'প্রতীকী প্রতিবাদ'। তাঁর কথায়, ‘আমরা BJP নেতা-কর্মীরা কাটমানি তোলাবাজি করতে পারব না। তাই অসহায় বেকার যুবক-যুবতীদের বলব, এইভাবে চপ ভেজেই রোজগার করুন।’
প্রসঙ্গত, BJP-র রাজ্য কমিটিতে রদবদলের পর থেকেই দলীয় বিধায়কদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। এর উপর বাঁকুড়ায় BJP-র দুই সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে 'নতুন মুখ' আনার পর থেকেই জেলায় একের পর এক বিধায়ক প্রকাশ্যে 'বিদ্রোহ' করেছেন। দলের বিধায়কদের WhatsApp গ্রুপ ত্যাগ, সর্বভারতীয় সভাপতিকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী ত্যাগ করতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছেন। বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার অবশ্য দলের সঙ্গে বিরোধের এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই।
অন্যদিকে, BJP বিধায়কের এই কর্মকাণ্ডে কটাক্ষ করে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘তিনি (নীলাদ্রি শেখর দানা) মিডিয়ার সামনে আসার জন্য কাতর হয়ে রয়েছেন।’ একইসঙ্গে সরকারের চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে বিধায়কের অভিযোগের পাল্টা তাঁর তোপ, ‘BJP-র কেন্দ্রীয় সরকার বছরে দু'কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পুরোপুরি ব্যর্থ।’
প্রসঙ্গত, BJP-র রাজ্য কমিটিতে রদবদলের পর থেকেই দলীয় বিধায়কদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। এর উপর বাঁকুড়ায় BJP-র দুই সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে 'নতুন মুখ' আনার পর থেকেই জেলায় একের পর এক বিধায়ক প্রকাশ্যে 'বিদ্রোহ' করেছেন। দলের বিধায়কদের WhatsApp গ্রুপ ত্যাগ, সর্বভারতীয় সভাপতিকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী ত্যাগ করতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছেন। বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার অবশ্য দলের সঙ্গে বিরোধের এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই।
অন্যদিকে, BJP বিধায়কের এই কর্মকাণ্ডে কটাক্ষ করে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘তিনি (নীলাদ্রি শেখর দানা) মিডিয়ার সামনে আসার জন্য কাতর হয়ে রয়েছেন।’ একইসঙ্গে সরকারের চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে বিধায়কের অভিযোগের পাল্টা তাঁর তোপ, ‘BJP-র কেন্দ্রীয় সরকার বছরে দু'কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পুরোপুরি ব্যর্থ।’