এই সময়, বাঁকুড়া: করোনার জেরে এবার বন্ধ করে দেওয়া হলো বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির হাট। শনিবারই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মহকুমা প্রশাসন। মহকুমাশাসক অনুপকুমার দত্ত বলেন, 'ভিড় এড়াতে আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পোড়ামাটির হাট বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপর সরকারি নির্দেশ দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।' শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির আদলেই ঐতিহাসিক শহর বিষ্ণুপুরে পোড়ামাটির হাট শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের অক্টোবরে। শহরের জোড়শ্রেণি মন্দির প্রাঙ্গণে নিয়ম করে বসা সপ্তাহান্তের সেই হাট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অল্পদিনেই। সেখানে মিলেমিশে একাকার হয় আদিবাসী নৃত্য, রণপা, ছৌ, রাবণকাটা নৃত্য, টুসু গান থেকে শুরু করে বাউল, কীর্তন। প্রকৃতির কোলে এক টুকরো হাটে মনোরঞ্জনের পাশাপাশি বিনোদনের জন্যও থাকে একাধিক আইটেম।
হাট চত্বরে পসরা সাজিয়ে বসেন জেলার হস্তশিল্পীরা। শঙ্খ, লণ্ঠন, দশাবতার তাস, চুড়ি-মালা, টেরাকোটা, ডোকরা থেকে শুরু করে বেল মালা সমেত হরেক হস্তশিল্প সামগ্রীর দেখা মেলে এক ছাতার তলায়। বেচাকেনাও হয় বেশ ভালো। হাটে বসে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবারের দোকানও। স্থানীয়দের কাছে তো বটেই, পর্যটকদের কাছেও রীতিমতো আকর্ষণীয় এই পোড়ামাটির হাট। ঘুরে গিয়েছেন বিদেশি পর্যটকরাও।
করোনাকালে গত বছরও বেশ কয়েক মাস বন্ধ রাখা হয়েছিল হাট। জেলায় ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমতে আবার চালু হয়েছিল দুর্গাপুজোর মুখে। এবার সপ্তাহান্তে হাট বসছিল শনি ও রবিবার। এরপর মাস তিনেকের মধ্যে আবারও করোনায় কাঁপছে গোটা দেশ। রাজ্যেও ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। Omicron নিয়েও রয়েছে চরম উদ্বেগ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩ জানুয়ারি থেকে ফের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার। বন্ধ হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলির দরজা। নির্দেশিকা জারি হতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা বিষ্ণুপুরের বিভিন্ন মন্দির ও সৌধের গেটেও তালা পড়েছে ওই দিন থেকে। সংক্রমণে রাশ টানতে এবার বন্ধ করে দেওয়া হল পোড়ামাটির হাটও।
করোনার জেরে এই মুহুর্তে কার্যত পর্যটক শূন্য মন্দির নগরী। এই নিয়ে তৃতীয় বার ধাক্কায় দিশেহারা স্থানীয় হোটেল ও অন্য ব্যবসায়ীরা। সিঁদুরে মেঘ দেখছেন হস্তশিল্পীরাও।
হাট চত্বরে পসরা সাজিয়ে বসেন জেলার হস্তশিল্পীরা। শঙ্খ, লণ্ঠন, দশাবতার তাস, চুড়ি-মালা, টেরাকোটা, ডোকরা থেকে শুরু করে বেল মালা সমেত হরেক হস্তশিল্প সামগ্রীর দেখা মেলে এক ছাতার তলায়। বেচাকেনাও হয় বেশ ভালো। হাটে বসে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবারের দোকানও। স্থানীয়দের কাছে তো বটেই, পর্যটকদের কাছেও রীতিমতো আকর্ষণীয় এই পোড়ামাটির হাট। ঘুরে গিয়েছেন বিদেশি পর্যটকরাও।
করোনাকালে গত বছরও বেশ কয়েক মাস বন্ধ রাখা হয়েছিল হাট। জেলায় ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমতে আবার চালু হয়েছিল দুর্গাপুজোর মুখে। এবার সপ্তাহান্তে হাট বসছিল শনি ও রবিবার। এরপর মাস তিনেকের মধ্যে আবারও করোনায় কাঁপছে গোটা দেশ। রাজ্যেও ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। Omicron নিয়েও রয়েছে চরম উদ্বেগ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩ জানুয়ারি থেকে ফের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার। বন্ধ হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলির দরজা। নির্দেশিকা জারি হতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা বিষ্ণুপুরের বিভিন্ন মন্দির ও সৌধের গেটেও তালা পড়েছে ওই দিন থেকে। সংক্রমণে রাশ টানতে এবার বন্ধ করে দেওয়া হল পোড়ামাটির হাটও।
করোনার জেরে এই মুহুর্তে কার্যত পর্যটক শূন্য মন্দির নগরী। এই নিয়ে তৃতীয় বার ধাক্কায় দিশেহারা স্থানীয় হোটেল ও অন্য ব্যবসায়ীরা। সিঁদুরে মেঘ দেখছেন হস্তশিল্পীরাও।