অ্যাপশহর

'দিলীপ ঘোষকেই গুলি করে মারা উচিত', বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়ায় বিতর্কে অনুব্রত

বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে নিশানা করে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, 'সরকারি সম্পত্তি নষ্টের কথা প্রথম বলেছেন দিলীপ ঘোষই। কোনও সম্পত্তি নষ্ট করা উচিত নয়। কিন্তু উনিই উস্কানিমূলক কথা বলছেন। কেন্দ্র সরকারের উচিত, ওঁকে প্রথম গুলি করে মারা উচিত।' অনুব্রতর এহেন প্রতিক্রিয়ার সমালোচনাও শুরু হয়েছে চারিদিকে। অনেকেই অবশ্য অনুব্রতর কাছে এমন কথাই প্রত্যাশিত বলে কটাক্ষও করেছেন।

EiSamay.Com 13 Jan 2020, 8:42 pm

হাইলাইটস

  • দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়ে নিজেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
  • নদিয়ার রানাঘাটে এক জনসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বিক্ষোভকারীদের উপরে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনার পক্ষে সওয়াল করেন দিলীপ ঘোষ
  • আর সেই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অনুব্রত বললেন, 'দিলীপ ঘোষকেই গুলি করে মারা উচিত!'
EiSamay.Com anubrata-mondal
দিলীপকে আক্রমণে অনুব্রত
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়ে নিজেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। নদিয়ার রানাঘাটে এক জনসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বিক্ষোভকারীদের উপরে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনার পক্ষে সওয়াল করেন দিলীপ ঘোষ। বাংলায় ক্ষমতায় এলে তাঁরাও তাই করবেন বলে ঘোষণা করেন তিনি। আর সেই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অনুব্রত বললেন, 'দিলীপ ঘোষকেই গুলি করে মারা উচিত!'
বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে নিশানা করে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, 'সরকারি সম্পত্তি নষ্টের কথা প্রথম বলেছেন দিলীপ ঘোষই। কোনও সম্পত্তি নষ্ট করা উচিত নয়। কিন্তু উনিই উস্কানিমূলক কথা বলছেন। কেন্দ্র সরকারের উচিত, ওঁকে প্রথম গুলি করে মারা উচিত।' অনুব্রতর এহেন প্রতিক্রিয়ার সমালোচনাও শুরু হয়েছে চারিদিকে। অনেকেই অবশ্য অনুব্রতর কাছে এমন কথাই প্রত্যাশিত বলে কটাক্ষও করেছেন।

এ রাজ্যে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের জন্যও দিলীপ ঘোষের ওপরই অবশ্য দায় চাপিয়েছেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, 'বাস পুড়িয়েছে, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়েছে, থানা ভাঙচুর করেছে ওঁরা। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মূলে দিলীপ ঘোষ।'

উল্লেখ্য, রানাঘাটের সভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যাঁরা হিংসা ছড়িয়েছে, সম্পত্তি নষ্ট করেছে অসম, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকে আমাদের সরকার তাদের কুকুরের মতো গুলি করে মেরেছে। তুলে নিয়ে গিয়ে কেস দিয়েছে। এখানে আসবে, খাবে, আর এখানকার সম্পত্তি নষ্ট করবে? জমিদারি পেয়েছ নাকি? গুলিও করব, লাঠি মারব, জেলে ঢুকিয়ে দেব। আর তাই করেছে আমাদের সরকার।' সিএএ বিরোধী আন্দোলনে রাজ্যে ৫০০-৬০০ কোটি টাকা নষ্ট হলেও রাজ্য প্রশাসন আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এই মন্তব্যের পর বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনায় চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় বিজেপিকে। তাঁর মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে ট্যুইট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। যার জন্য বাবুলকেও আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, 'যে যেমন বোঝে, তেমনই বলে।'

অনুব্রত মণ্ডল অবশ্য নরেন্দ্র মোদীর বেলুড় সফরকেও কটাক্ষ করেছেন এদিন। তাঁর কথায়, 'বেলুড় মঠে পাপ খণ্ডন করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিবেকানন্দ বিভাজনের ভারতবর্ষ চাননি। ভারতবর্ষে বিবেকানন্দ এই রকম প্রধানমন্ত্রীও চাননি। যিনি জাতি, ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করেন। বিবেকানন্দ চেয়েছিলেন সব ধর্মের মানুষের বাসযোগ্য হোক ভারতবর্ষ।'

পরের খবর