অ্যাপশহর

রাজ্য স্তরের যাত্রা উৎসবে প্রথম ডাক বাঁকুড়ার যাত্রাদলকে

পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা আকাদেমি, রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে এবং পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা সম্মেলন, সংগ্রামী যাত্রা প্রহরী ও কলকাতা যাত্রাকর্মী ইউনিয়নের সহযোগিতায় এই যাত্রা উৎসবের আয়োজন হয় ফি বছর।

EiSamay.Com 2 Feb 2020, 9:01 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সরাসরি রাজ্য স্তরের যাত্রা উৎসবে এবার প্রথম ডাক পেল বাঁকুড়ার একটি যাত্রাদল। সেই ‘নবনাট্যায়ন যাত্রা সংস্থা’র শিল্পীরা আজই তাঁদের সামাজিক যাত্রাপালা পরিবেশন করবেন কলকাতার বাগবাজার ফণিভূষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রামঞ্চে। লালমাটির জেলা থেকে এই প্রথম রাজ্য স্তরে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে স্বাভাবিক ভাবে খুশি সংস্থার শিল্পীরা।
EiSamay.Com ৫৫
.


পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা আকাদেমি, রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে এবং পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা সম্মেলন, সংগ্রামী যাত্রা প্রহরী ও কলকাতা যাত্রাকর্মী ইউনিয়নের সহযোগিতায় এই যাত্রা উৎসবের আয়োজন হয় ফি বছর। এবার ২৪তম বর্ষে সেই উৎসবে সামিল হওয়ার সুযোগ পেয়েছে বাঁকুড়ার নবনাট্যায়ন যাত্রা সংস্থা। আজ রবিবার, বেলা ১২টায় কলকাতার মঞ্চে তাঁরা পরিবেশন করবেন রোমিও চৌধুরী নির্দেশিত, উৎপল রায় রচিত সামাজিক যাত্রাপালা ‘মেনকা মাথায় দেলো ঘোমটা’। পালার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন গুরুপদ পাল, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী, বরুণ ঘোষ, নবাব চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ চট্টরাজ, রত্না রায়, পল্লবী গুপ্ত, ঝুমা ঘোষদের মতো একঝাঁক শিল্পী।

বাঁকুড়ার এই যাত্রাদলটি একেবারে নবীন। যদিও দু’টি যাত্রাপালার উপর তিন বছরে প্রায় ৩০টি নাইট করে তাঁরা প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিভিন্ন মহলে। দলে রয়েছেন ২০ জন কলাকুশলী। এর মধ্যে অভিনয় করেন ১৫ জন। কলাকুশলীরা বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার বাসিন্দা। সারা বছর নিয়ম করে মহড়া চলে বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের ছোট্ট কুড়ারিয়া গ্রামের একটি কমিউনিটি হলে। ২০১৮ সালে প্রাক-বিষ্ণুপুর মেলা যাত্রা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিল এই সংস্থা। পরবর্তীতে বাঁকুড়ার রাইপুরে অনুষ্ঠিত জেলা লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি এবং যাত্রা উৎসবেও সেই পুরস্কৃত যাত্রাপালাটি অভিনয়ের জন্য মনোনীত হয়। আর এবার আবেদন জানিয়ে সরাসরি রাজ্যস্তরের যাত্রা উৎসবে ডাক পেল সংস্থাটি। যাত্রা সংস্থার ম্যানেজার সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ও মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজ্যস্তরে এই সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত। চেষ্টা করব বাঁকুড়ার সাংস্কৃতিক গৌরব যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে।’

বাঁকুড়া জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অরুণাভ মিত্র বলেন, ‘জেলার কাছে এটা অবশ্যই একটা গৌরবের ব্যাপার। এই সুযোগের ফলে সংস্থাটি আগামী দিনে আরও ভালো কাজ করতে পারবে। সেই সঙ্গে অন্য দলগুলিও উৎসাহিত হবে।’

পরের খবর