জাতীয় হস্তশিল্প প্রতিযোগিতায় শঙ্খের উপর 'কুরুক্ষেত্রে কৃষ্ণে'র দৃশ্যপট খোদাই করে জাতীয় পুরস্কার (National Award on Art) পেলেন বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দপুরের হাটগ্রামের বাবলু নন্দী। গত ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। সোমবার দিল্লীর বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল শঙ্খ শিল্পী বাবলু নন্দীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। অতীতে নানান শিল্প কর্মের জন্য একাধিকবার জাতীয় স্তরের পুরস্কার এসেছে লাল মাটির জেলা বাঁকুড়ায়। এবার শিল্পী বাবলু নন্দীর হাত ধরে সেই তালিকায় যুক্ত হল শঙ্খ শিল্পের নামও। যে শিল্প কর্মের জন্য বাবলু নন্দী জাতীয় পুরস্কার পেলেন সেই শঙ্খে রয়েছে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের যুদ্ধ যাত্রা, বিশ্বরূপ দর্শন, কর্ণের রথের চাকা মেদিনী গ্রাস করা ও প্রতিজ্ঞাভঙ্গ করে কৃষ্ণের অস্ত্র ধারণ দৃশ্য।
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী বাবলু নন্দী এই মুহূর্তে দিল্লীতে রয়েছেন। টেলিফোনে তিনি বলেন, "প্রায় তিন মাসের চেষ্টায় শঙ্খের উপর কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৃষ্ণের ভূমিকার বিভিন্ন দৃশ্যপট খোদাই করি। ২০১৮ সালে এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। তাঁর সাফল্যে স্ত্রী মঞ্জু নন্দীর সব থেকে বড় 'সাপোর্ট' রয়েছে বলে জানান তিনি। কৃতজ্ঞ চিত্তে বাবা ও মায়ের ভূমিকার কথাও স্বীকার করেন বাবলু। একই সঙ্গে এই শিল্প কর্মের হাত ধরে 'শিল্প গুরু' সম্মানে সম্মানিত হওয়াই তাঁর অন্যতম মূল লক্ষ্য বলে তিনি জানান।
ছোটবেলা থেকেই এই শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বাবলু। বাবা সত্য নন্দীও এই পেশায় যুক্ত ছিলেন। তাই ছোটবেলা থেকে বাবার কাছেই এই কাজে তাঁর হাতেখড়ি। বাবার কাছে থেকেই এই কাজে হাত পাকিয়েছেন বাবলু। তারপর এটিকেই নিজের পেশা হিসাবে বেছে নেন। চিরাচরিত শিল্প কর্মের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন নতুন আঙ্গিকে শিল্পকলা ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস। আদিমকাল থেকে বর্তমান মানব সভ্যতা, পুরাণের বিভিন্ন রূপ ফুটে উঠেছে তাঁর কাজে। মহাভারতের চিত্র ফুটিয়ে তোলার কাজ এবার তাঁকে জাতীয় পুরস্কার এনে দিল।
ইন্দপুরের হাটগ্রামে একসময় ২৫০ টির বেশি পরিবার এই শঙ্খ বানানোর কাজে যুক্ত ছিল। হাটগ্রামে বর্তমানে চারজন শিল্পী খোদাইয়ের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বাবলুর আশা, তাঁর এই কৃতিত্ব আগামী দিনে অন্যান্য শিল্পীদেরও আরও অনুপ্রেরণা জোগাবে। আগামী দিনে এই শঙ্খ খোদাই শিল্প আরও উন্নতি হোক এমনটাই চান জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী।
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী বাবলু নন্দী এই মুহূর্তে দিল্লীতে রয়েছেন। টেলিফোনে তিনি বলেন, "প্রায় তিন মাসের চেষ্টায় শঙ্খের উপর কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৃষ্ণের ভূমিকার বিভিন্ন দৃশ্যপট খোদাই করি। ২০১৮ সালে এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। তাঁর সাফল্যে স্ত্রী মঞ্জু নন্দীর সব থেকে বড় 'সাপোর্ট' রয়েছে বলে জানান তিনি। কৃতজ্ঞ চিত্তে বাবা ও মায়ের ভূমিকার কথাও স্বীকার করেন বাবলু। একই সঙ্গে এই শিল্প কর্মের হাত ধরে 'শিল্প গুরু' সম্মানে সম্মানিত হওয়াই তাঁর অন্যতম মূল লক্ষ্য বলে তিনি জানান।
ছোটবেলা থেকেই এই শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বাবলু। বাবা সত্য নন্দীও এই পেশায় যুক্ত ছিলেন। তাই ছোটবেলা থেকে বাবার কাছেই এই কাজে তাঁর হাতেখড়ি। বাবার কাছে থেকেই এই কাজে হাত পাকিয়েছেন বাবলু। তারপর এটিকেই নিজের পেশা হিসাবে বেছে নেন। চিরাচরিত শিল্প কর্মের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন নতুন আঙ্গিকে শিল্পকলা ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস। আদিমকাল থেকে বর্তমান মানব সভ্যতা, পুরাণের বিভিন্ন রূপ ফুটে উঠেছে তাঁর কাজে। মহাভারতের চিত্র ফুটিয়ে তোলার কাজ এবার তাঁকে জাতীয় পুরস্কার এনে দিল।
ইন্দপুরের হাটগ্রামে একসময় ২৫০ টির বেশি পরিবার এই শঙ্খ বানানোর কাজে যুক্ত ছিল। হাটগ্রামে বর্তমানে চারজন শিল্পী খোদাইয়ের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বাবলুর আশা, তাঁর এই কৃতিত্ব আগামী দিনে অন্যান্য শিল্পীদেরও আরও অনুপ্রেরণা জোগাবে। আগামী দিনে এই শঙ্খ খোদাই শিল্প আরও উন্নতি হোক এমনটাই চান জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী।