West Bengal News ২৫ শতাংশের কম উপস্থিতি (Attendance) থাকায় পরীক্ষায় বসতে পারেননি বলে দাবি ৷ প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাঁকুড়া ক্রিশ্চান কলেজের (Bankura Christian College) ফিফথ সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীদের। গত সোমবার থেকে প্রতিদিন তাঁরা সকাল ১০টা থেকে সাতটা পর্যন্ত এভাবে বসে থাকলেও, সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। শনিবার সন্ধ্যায়ও এভাবে তাঁরা বসে থাকলে, কলেজ ক্যাম্পাসে আসে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ (Bankura Sadar Police Station)। পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে অধ্যক্ষ কলেজ ছাড়েন বলে খবর। এমনকি কলেজের সম্মানের খাতিরে কোনওভাবেই ছাত্রছাত্রীদের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলেই কড়া ভাষায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ (Principal)৷
অবস্থানকারী ছাত্র ছাত্রীদের দাবি, নানান কারণে তাঁরা কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন ৷ তবে এখন পরীক্ষায় বসতে না দিলে একবছর সময় নষ্ট হয়ে যাবে তাঁদের। ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন বলেও দাবি জানান তাঁরা। কলেজ ছাত্রী গায়ত্রী দত্ত বলেন, ‘‘আমার মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছি৷ তবে দেরিতে৷ আমাদের সবার কিছু না কিছু সমস্যা আছে৷ সেটা দেখার আবেদন জানাচ্ছি বারবার৷ কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও কথাই শুনতে নারাজ৷’’ সোশিওলজির ছাত্রী অঙ্কিতা আঢ্য বলেন, ‘‘আমরা নিজেদের ভুল স্বীকার করছি যে, আমাদের উপস্থিতির হার নেই৷ আর এমন হবে না সেটাও বলছি৷ কিন্তু তাও কর্তৃপক্ষ শুনছে না৷ কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হচ্ছে, তাদের হাতে এই ক্ষমতা নেই৷ একবছর পড়াশোনা করে ফের পরীক্ষায় বসার কথা বলছে৷ কিন্তু আমাদের একটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে৷’’
অবশ্য অধ্যক্ষ ফটিকবরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘এর আগেও ছাত্রছাত্রীরা আমাকে একই পরিস্থিতিতে ফেলেছিল৷ শিক্ষকদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তিও হয় সেদিন৷ তাদের দাবি, একদিনও ক্লাস না করা ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে৷ আমি এটা খুব সহজেই করতে পারি৷ কিন্তু এই কলেজের পাশে এক্সিলেন্স শব্দটা জোড়া এত সহজ হয়নি৷’’ তাঁর দাবি, যে কোনও জিনিসকে নামাতে এক মিনিট লাগে৷ সম্মান পেতে অনেক সময় লাগে৷ নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনও কাজ তিনি করবেন না বলেও পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি। এমনকি এই বিক্ষোভকারীদের ‘অবাধ্য’ ছাত্রছাত্রী বলেও অ্যাখ্যা দেন তিনি৷
পরে কলেজে আসেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি তীর্থঙ্কর কুণ্ডু৷ তিনি বলেন, ‘‘কলেজ কর্তৃপক্ষের আরও মানবিক হওয়া প্রয়োজন। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের সন্তানতুল্য। তাঁদের সঙ্গে এতটা রূঢ় হওয়া ঠিক হচ্ছে না৷’’ তবে তাঁরা কলেজে আসার আগেই পুলিশি সহায়তায় অধ্যক্ষ বেরিয়ে গিয়েছেন বলে তিনি জানান। ক্লাস না করাকে সমর্থন না করলেও, কলেজ কর্তৃপক্ষের আরও মানবিক হওয়ার দরকার বলেই দাবি করেন তিনি৷
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।
অবস্থানকারী ছাত্র ছাত্রীদের দাবি, নানান কারণে তাঁরা কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন ৷ তবে এখন পরীক্ষায় বসতে না দিলে একবছর সময় নষ্ট হয়ে যাবে তাঁদের। ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন বলেও দাবি জানান তাঁরা। কলেজ ছাত্রী গায়ত্রী দত্ত বলেন, ‘‘আমার মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছি৷ তবে দেরিতে৷ আমাদের সবার কিছু না কিছু সমস্যা আছে৷ সেটা দেখার আবেদন জানাচ্ছি বারবার৷ কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও কথাই শুনতে নারাজ৷’’ সোশিওলজির ছাত্রী অঙ্কিতা আঢ্য বলেন, ‘‘আমরা নিজেদের ভুল স্বীকার করছি যে, আমাদের উপস্থিতির হার নেই৷ আর এমন হবে না সেটাও বলছি৷ কিন্তু তাও কর্তৃপক্ষ শুনছে না৷ কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হচ্ছে, তাদের হাতে এই ক্ষমতা নেই৷ একবছর পড়াশোনা করে ফের পরীক্ষায় বসার কথা বলছে৷ কিন্তু আমাদের একটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে৷’’
অবশ্য অধ্যক্ষ ফটিকবরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘এর আগেও ছাত্রছাত্রীরা আমাকে একই পরিস্থিতিতে ফেলেছিল৷ শিক্ষকদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তিও হয় সেদিন৷ তাদের দাবি, একদিনও ক্লাস না করা ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে৷ আমি এটা খুব সহজেই করতে পারি৷ কিন্তু এই কলেজের পাশে এক্সিলেন্স শব্দটা জোড়া এত সহজ হয়নি৷’’ তাঁর দাবি, যে কোনও জিনিসকে নামাতে এক মিনিট লাগে৷ সম্মান পেতে অনেক সময় লাগে৷ নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনও কাজ তিনি করবেন না বলেও পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি। এমনকি এই বিক্ষোভকারীদের ‘অবাধ্য’ ছাত্রছাত্রী বলেও অ্যাখ্যা দেন তিনি৷
পরে কলেজে আসেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি তীর্থঙ্কর কুণ্ডু৷ তিনি বলেন, ‘‘কলেজ কর্তৃপক্ষের আরও মানবিক হওয়া প্রয়োজন। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের সন্তানতুল্য। তাঁদের সঙ্গে এতটা রূঢ় হওয়া ঠিক হচ্ছে না৷’’ তবে তাঁরা কলেজে আসার আগেই পুলিশি সহায়তায় অধ্যক্ষ বেরিয়ে গিয়েছেন বলে তিনি জানান। ক্লাস না করাকে সমর্থন না করলেও, কলেজ কর্তৃপক্ষের আরও মানবিক হওয়ার দরকার বলেই দাবি করেন তিনি৷
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।