অ্যাপশহর

নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হোম কোয়ারানটিনে থাকা বাবার

সুতির ঔরঙ্গাবাদের বরজপাড়ায় বাড়ি আক্রাম শেখের। ওডিশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। লকডাউনের জেরে গত ২৭ মার্চ বাড়ি ফিরে আসেন। এর পর স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে তাঁকে হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা হয়।

EiSamay.Com 11 Apr 2020, 1:59 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনরাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করে ফিরেছেন বলে হোম কোয়ারান্টিনে থাকার পোস্টার ঘরে সাঁটিয়ে গিয়েছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। লকডাউন চলাকালীন তারই মধ্যে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন বাবা। গাড়ি ভাড়া করে সঙ্গীসাথী নিয়ে বিয়ে করতে চলে এসেছিল পাত্র। পুলিশের বাধায় বিয়ে ভেস্তে যায়। মুচলেকা দিয়ে কোনও রকমে হাজতবাস থেকে বাঁচলেন আক্রম শেখ। শুক্রবার সুতি থানা এলাকার ঘটনা।
EiSamay.Com child marriage
বাল্য বিবাহ


আক্রাম শেখ বলেন, ‘এখন কাজ নেই। তাই ভেবেছিলাম মেয়ের বিয়েটা দিয়ে দিতে পারলে ভালো হয়। তবে ১৮ বছর বয়স না হলে আর বিয়ে দেব না।’

কিন্তু এত প্রচার সত্ত্বেও বিন্দু মাত্র সাবধানতা না দেখিয়ে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন আক্রম। তাও সেই মেয়ে নাবালিকা। শুক্রবার নিজের বাড়িতেই ছোট মেয়ে মহিমা খাতুনের বিয়ের ব্যবস্থা করেন আক্রম। পাত্র কাবুল শেখ ফরাক্কার জোড়পুকুরের বাসিন্দা। পেশায় রাজমিস্ত্রি।

শুক্রবার সকালে একটি গাড়ি করে কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ে করতে চলে আসেন পাত্র কাবুল। দুপুরের রান্নাবান্নাও চলছিল জোরকদমে। পুলিশের কাছে খবর যেতেই বিডিও অফিসের কর্মীদের নিয়ে সোজা বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। তাদের দেখেই ছুট দেয় পাত্রের সঙ্গে আসা লোকজন। মেয়ের বাবাকে দিয়ে মুচলেকা দেওয়ার পরে বিয়ে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। নাবালিকা দশম শ্রেণির ছাত্রী বলে, ‘বিয়ে করতে চাইনি। পরিবারের লোকেরা জোর করে বিয়ে দিচ্ছিল। আমি এখনও পড়াশোনা করতে চাই।’ পাত্র কাবুল শেখ বলেন, ‘সরকারি নিয়মের কথা আমি জানতাম না। এই সময় বিয়ে করাটাও ঠিক হয়নি।’

সুতির ব্লক আধিকারিক সৌরভ ঘোষ বলেন, ‘বিয়ের কথা জানতে পারি। এরপরে বন্ধ করার ব্যবস্থা করি। মুচলেকা দেওয়ায় আইনগত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল