অ্যাপশহর

মাঠে পড়ে মায়ের দেহ, রহস্য মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বয়ানে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বধূর দেহ মিলল মুর্শিদাবাদে৷ শনিবার সকালে নওদার দুধসর এলাকার একটি মাঠ থেকে সুমিত্রা গায়েন (৩৫) নামে ওই বধূর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷

EiSamay.Com 5 Mar 2017, 11:40 am
এই সময়, বহরমপুর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বধূর দেহ মিলল মুর্শিদাবাদে৷ শনিবার সকালে নওদার দুধসর এলাকার একটি মাঠ থেকে সুমিত্রা গায়েন (৩৫) নামে ওই বধূর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ সঙ্গে থাকা ছেলে মৃত্যুঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোস্টাল থানার হেমনগরে তাদের বাড়ি বলে জানতে পেরেছে পুলিশ৷ আসিক শেখ নামে এক রাজমিস্ত্রির সঙ্গে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসার পথে এই ঘটনা ঘটে বলে ছেলেটির দাবি৷ তবে দুষ্কৃতীরা মা-কে খুন করলেও ছেলেকে কেন খুন করল না, তা পরিষ্কার নয়৷ আসিকের সঙ্গে তারা কোন পথে, কী ভাবে এল, মৃত্যুঞ্জয়ের দেওয়া সেই বয়ান নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷ তার দেওয়া তথ্যে অনেক অসঙ্গতি থাকার কারণে, তাকে জেরা করার পাশাপাশি মৃতার স্বামীকেও ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ৷
EiSamay.Com mothers deadbody lying in the field madhyamik examiner
মাঠে পড়ে মায়ের দেহ, রহস্য মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বয়ানে


খুনের রহস্য উন্মোচনে মৃতার মোবাইল থেকে পাওয়া ফোন নম্বর এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টই এখন ভরসা পুলিশের৷ দেহ যাঁরা প্রথম পড়ে থাকতে দেখেছিলেন , তাঁদের অন্যতম আনিকুল শেখ বলেন, ‘শনিবার সকালে মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় কান্নার আওয়াজ শুনে থমকে দাঁড়াই৷ ছেলেটি ওই মহিলার দেহের পাশে বসে ছিল৷ দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন বাইরে থেকে দেখা যায়নি৷ পুলিশকে এর পর খবর দেওয়া হয়৷ পুলিশ এখন রহস্য উদ্ধার করুক৷’

নওদা ব্লকের তৃণমূল নেতা ভুট্টু শেখ বলেন, ‘ব্যপারটা প্রথম থেকেই গোলমেলে ঠেকছে৷ মা মারা গেলেও ছেলেটিকে সেভাবে ভেঙে পড়তে দেখিনি আমরা৷ তাছাড়া মহিলাটি যথেষ্ট স্বাস্থ্যবান হওয়ায় সহজে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা সম্ভব নয় বলে মনে হচ্ছে৷ সত্যিই কী ঘটেছিল, তা খুঁজে বের করা উচিত পুলিশের৷’ সদ্য মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া মৃত্যুঞ্জয় পুলিশকে যা জানিয়েছে, তার বাবা কাজের সূত্রে বিহারে থাকেন৷ মায়ের সঙ্গে থাকে সে৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার হেমনগরে যেখানে সেতু নির্মাণের কাজ চলছে, তার পাশেই তাদের বাড়ি৷ ওখানে সেতু নির্মাণের কাজে যাওয়া বেলডাঙার মিস্ত্রি আসিক শেখের সেই সূত্রে পরিচয় হয় মৃতার৷ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় আশিকের সঙ্গে ছেলেটিকে নিয়ে আসিকের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন সুমিত্রা৷ ছেলেটি জানিয়েছে, শিয়ালদহ থেকে আপ লালগোলা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে রেজিনগর স্টেশনে একটি টোটোয় চেপে আশিকের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয় তারা৷ সেই টোটোতে আরও একজন যুবক ছিল৷ দুধসর এলাকায় তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে যায় ওই দুই যুবক৷

সেই সময় তার কোনও হুঁশ ছিল না বলে ছেলেটি পুলিশের কাছে দাবি করে৷ সে জানিয়েছে যে পরে সে দেখে, তার মা-কে খুন করে চম্পট দিয়েছে আসিক ও তার সঙ্গী৷ তবে আসিকের সঙ্গে মায়ের পরিচয় বেশি দিনের নয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে মৃত্যুঞ্জয়৷ নওদা থানার পুলিশ এই নিয়ে মুখ না-খুললেও কয়েকটি বিষয় পুলিশকে ভাবাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ প্রথমত, কয়েক দিনের পরিচয়ে আসিকের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পিছনে অন্য সম্পর্ক ছিল কিনা৷ দ্বিতীয়ত, সোনা বা টাকাকড়ি হাতিয়েই খুন করা হয়েছে কি না৷ তৃতীয়ত, মায়ের সঙ্গে থাকা ছেলের মৃত্যু নিশ্চিত না -করে কেন চলে গেল দুষ্কৃতীরা ?বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ৷ শীর্ষেন্দু গোস্বামীর তোলা ছবিনওদায় তদন্তে পুলিশ৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল