অ্যাপশহর

মৃত্যুর ৫ বছর পরেও জীবিত! রেশন তুলতে দেন হাজিরা

রেশনে ব্যাপক অনিয়ম... সামনে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ...​‘এক দেশ এক রেশন’ ব্যবস্থায় রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের সময়ই প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি...

Lipi 29 Jun 2021, 9:41 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : মৃত্যুর পরেও পাঁচ বছর ধরে রেশন কার্ডে জীবিত ব্যক্তি। আর তাঁর রেশন ভোগ করেন খোদ রেশন ডিলার। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার অজবনগর গ্রামের এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, অজবনগর গ্রামের বাসিন্দা গৌড় মান্না ২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর ৬৪ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কিন্তু গৌরবাবুর মৃত্যু হওয়ার পরেও বছরের পর বছর ধরে তাঁর নামে রেশন ব্যবস্থা চালু ছিল।
EiSamay.Com food-distribution


‘এক দেশ এক রেশন’ ব্যবস্থায় রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের সময়ই প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি। যা নিয়ে জেলাজুড়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।এদিকে, গৌরবাবু অবিবাহিত হওয়ায় তাঁর স্ত্রী বা সন্তান নেই। ফলে তাঁর নামে রেশন ব্যবস্থা কীভাবে চালু ছিল, কে তাঁর রেশন ভোগ করত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।গৌর মান্নার ভাইপো সুদীপ মান্নার দাবি, তাঁর জ্যেঠুর মৃত্যুর ডেথ সার্টিফিকেট নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে গ্রাম পঞ্চায়েত সহ রেশন ডিলারকেও জমা দেওয়া হয়েছিল। তবু গৌরবাবুর রেশন ব্যবস্থা বন্ধ না হওয়ায় স্থানীয় রেশন ডিলার মনোরঞ্জন সাহুর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সুদীপবাবু। তাঁর অভিযোগ, রেশন ডিলার মনোরঞ্জন সাহু বছরের পর বছর ধরে তাঁর জ্যেঠুর রেশন ভোগ করেছেন।

পরনে ব্যবহৃত PPE কিট, রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি!

সোমবার ঘাটাল মহকুমা খাদ্য সরবরাহ দফতরে গোটা বিষয়টি জানিয়ে রেশন ডিলার মনোরঞ্জন সাহুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।যদিও মৃত গৌর মান্নার নামে রেশন ভোগ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রেশন ডিলার মনোরঞ্জন সাহু। তাঁর দাবি, ‘নিয়ম মেনেই সমস্ত কাজ করেছি। কারা রেশন তুলত জানি না।’ তবে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ঘাটাল মহকুমা খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিক।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল