ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়েই ১৮ মাস মেদিনীপুর মেডিক্যালে কাজ! প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ১
টানা ১৮ মাস মেদিনীপুর (Midnapore News) মেডিক্যাল কলেজে (Midnapore Medical College ) কাজ করেছেন ভুয়ো নিয়োগপত্রেই! এক ব্যক্তির অভিযোগে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বিষয়টি ঠিক কী? জেনে নিন বিস্তারিত…
Lipi 13 Nov 2021, 4:50 pm
হাইলাইটস
- টানা ১৮ মাস সরকারি হাসপাতালে কাজ করেছেন।
- কিন্তু, আচমকাই একদিন বেতন বন্ধ।
- খোঁজ করতে দিয়ে দেখা যায় নিয়োগপত্রই ছিল ভুয়ো।
- ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ১৮ মাস সরকারি হাসপাতালে কাজ করেছেন। কিন্তু, আচমকাই একদিন বেতন বন্ধ। খোঁজ করতে দিয়ে দেখা যায় নিয়োগপত্রই ছিল ভুয়ো। এদিকে এই চাকরির জন্য বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়েছিল এই যুবক। পুরো বিষয়টি সামনে আসার পর মাথায় হাত তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। জানা গিয়েছে, ২০১৯ এর শেষে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের Gynaecology বিভাগে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে যোগ দেন মেদিনীপুর শহরের অলিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা শেখ আজাহারউদ্দিন। প্রাথমিকভাবে সব ঠিকঠাকই চলছিল। মাস গেলে মিলছিল বেতন। তবে ২০২১ এর প্রথম থেকে হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের এই গ্রুপ সি কর্মীর বেতন। কয়েক মাস বেতন না পেয়ে তাঁর মনে দানা বাঁধে সন্দেহ। এরপর হাসপাতালের ওপরতলায় খবর নিতেই চক্ষু চড়কগাছ যুবকের। বুঝতে পারেন সম্পূর্ণ প্রতারিত হয়েছেন তিনি।
শেখ আজাহারউদ্দিনের দাবি, হাসপাতালের এই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালে ৫ লাখ টাকা দাবি করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের Gynaecology বিভাগে কর্মরত কৃষ্ণা রাউত দাস নামক এক মহিলা। টাকা দেওয়ার পর দীর্ঘদিন টালবাহানা করতে থাকে সে। অবশেষে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই যুবককে হাসপাতালে ডেকে হাতে দেওয়া হয় অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার। মেমো নম্বর যুক্ত ওই অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার নিয়ে ২০১৯ এর শেষ থেকে হাসপাতালের কাজও শুরু করে আজাহারউদ্দিন। প্রতি মাসে নিয়ম করে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পেতেন তিনি। তবে হঠাৎই চলতি বছরের শুরুতে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর বেতন। মাসকয়েক বেতন না পেয়ে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তখনই বোঝা যায় সম্পূর্ণ প্রতারিত হয়েছেন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারটিও ভুয়ো। এরপরই মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হয় প্রতারিত যুবক।
প্রাথমিকভাবে থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল বলে দাবি তাঁর। এরপর মেদিনীপুর আদালত থেকে FIR করে ওই যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে কৃষ্ণা রাউত দাস নামে ওই মহিলাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। । ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে শনিবারই তোলা হয়েছে মেদিনীপুর আদালতে। ধৃতকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ' ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
এই বিষয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে জাল নিয়োগপত্র নিয়ে একজন কর্মী কীভাবে এতদিন কাজ করে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরসঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত আছে বলে সন্দেহ হচ্ছে পুলিশের।
শেখ আজাহারউদ্দিনের দাবি, হাসপাতালের এই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালে ৫ লাখ টাকা দাবি করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের Gynaecology বিভাগে কর্মরত কৃষ্ণা রাউত দাস নামক এক মহিলা। টাকা দেওয়ার পর দীর্ঘদিন টালবাহানা করতে থাকে সে। অবশেষে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই যুবককে হাসপাতালে ডেকে হাতে দেওয়া হয় অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার। মেমো নম্বর যুক্ত ওই অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার নিয়ে ২০১৯ এর শেষ থেকে হাসপাতালের কাজও শুরু করে আজাহারউদ্দিন। প্রতি মাসে নিয়ম করে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পেতেন তিনি। তবে হঠাৎই চলতি বছরের শুরুতে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর বেতন। মাসকয়েক বেতন না পেয়ে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তখনই বোঝা যায় সম্পূর্ণ প্রতারিত হয়েছেন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারটিও ভুয়ো। এরপরই মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হয় প্রতারিত যুবক।
প্রাথমিকভাবে থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল বলে দাবি তাঁর। এরপর মেদিনীপুর আদালত থেকে FIR করে ওই যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে কৃষ্ণা রাউত দাস নামে ওই মহিলাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। । ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে শনিবারই তোলা হয়েছে মেদিনীপুর আদালতে। ধৃতকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ' ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
এই বিষয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে জাল নিয়োগপত্র নিয়ে একজন কর্মী কীভাবে এতদিন কাজ করে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরসঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত আছে বলে সন্দেহ হচ্ছে পুলিশের।