৬ মাস ধরে ওষুধ-ইনজেকশন, USG রিপোর্ট জানাল মহিলা আদৌ গর্ভবতী নন!
ছয় মাস ধরে আশায় বুক বেঁধেছিলেন মহিলা। খুশির হাওয়া ছিল গোটা পরিবারে। অথচ চিকিৎসার পর জানা গেল মহিলা আদৌ গর্ভবতী নন। অবাক কাণ্ড মেদিনীপুরে (Midnapore)। জানুন বিস্তারিত...
হাইলাইটস
- গর্ভস্থ সন্তানকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছিলেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দিনমজুর দম্পতি
- তাল কাটল প্রসবের মাসেই।
- জানা গেল, আদৌ গর্ভবতী হননি ওই মহিলা।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িতে আসছে নতুন অতিথি! গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী থেকে আশাকর্মী, এমনকী চিকিৎসকেরাও এই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। গর্ভস্থ সন্তানকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছিলেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দিনমজুর দম্পতিও। দুই মেয়ের পর এবার হয়ত ছেলে হবে। কিন্তু, তাল কাটল প্রসবের মাসেই। জানা গেল, আদৌ গর্ভবতী হননি ওই মহিলা। খবর শুনে তাজ্জব মহিলা থেকে শুরু করে তাঁর পরিবার। অস্বাভাবিক এই ঘটনায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা এখন প্রশ্নের মুখে। জানা গিয়েছে, ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাঁইপুর গ্রামের গৃহবধূ গৌরী নায়েক। চলতি বছর মে মাসের শেষে পেটের যন্ত্রণা নিয়ে তিনি মালকুড়ি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। মাস কয়েক আগেই তাঁর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে রোগী মা হতে চলেছেন, এমনই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মী থেকে আশা দিদিরা। প্রথমবার প্রেগন্যান্সি টেস্ট নেগেটিভ আসায় দ্বিতীয়বার মহিলাকে বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানোর পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। দ্বিতীয় টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভও বেরোয়। এরপরই রাজ্য সরকারের 'মা ও শিশু সুরক্ষা যোজনা'-য় নাম অন্তর্ভুক্ত করেন বছর ৪০-এর গৌরীদেবী। প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন থেকে পথ্য সবই চলে নিয়মমতো। চিকিৎসকরা জানান, অক্টোবর মাসেই তাঁর প্রসব হবে। মে মাস থেকেই নিয়মিত মালকুড়ি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও চাঁদড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়মিত চেকআপও করাতেন গৌরী নায়েক। শেষ চেকআপের আগেই তাঁকে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু, অভাবী গৌরীদেবী তা করাননি। এরপর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও (Midnapore Medical College Hospital) চেকআপ করাতে গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরাও USG সহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় টেস্ট করার কথা লিখে দেন। বাধ্য হয়ে চলতি মাসের শুরুতে ঝাড়গ্রামের একটি কেন্দ্র থেকে USG করান গৌরীদেবী। তারপর রিপোর্ট দেখেই চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদের!
রিপোর্টে দেখা যায়, গর্ভবতী নন ওই গৃহবধূ। প্রসবের ঠিক আগে অক্টোবরের ৯ তারিখ দেপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা একথা জানান গৌরীদেবীকে। যা শুনে রীতিমতো আকাশ থেকে পড়েন গৃহবধূ। দিন-আনা, দিন-খাওয়া পরিবারেও মাতৃত্বকালীন যত্নের অভাব ছিল না ওই গৃহবধূর। গর্ভের সন্তানের কথা মাথায় রেখে সংসারে অভাব চরমে ওঠা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন নিজের কাজ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। এখন তাঁর প্রশ্ন, ‘পেটে বাচ্চা নেই তো এতদিন ওষুধ ইনজেকশন কেন দেওয়া হল? এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে?’যদিও নিজেদের দায় এড়িয়ে মহিলার ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন মালকুড়ি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনচার্জ অঞ্জলি সেনাপতি। তাঁর দাবি, ‘একাধিকবার বলার পরেও সময়মতো আলট্রাসনোগ্রাফি করেননি গৌরীদেবী।’ একই দাবি এলাকার আশাকর্মী স্নেহলতা মুর্মুর।
ঘটনায় গাফিলতি কার? ক্যামেরার সামনে প্রতিক্রিয়া না দিতে চাইলেও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবন হাঁসদা বলেন, ‘বিভিন্ন কারণেই ঘটে এই ধরনের ভুল। তবে কর্তব্যে কারও গাফিলতি আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।’ তবে গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা।
রিপোর্টে দেখা যায়, গর্ভবতী নন ওই গৃহবধূ। প্রসবের ঠিক আগে অক্টোবরের ৯ তারিখ দেপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা একথা জানান গৌরীদেবীকে। যা শুনে রীতিমতো আকাশ থেকে পড়েন গৃহবধূ। দিন-আনা, দিন-খাওয়া পরিবারেও মাতৃত্বকালীন যত্নের অভাব ছিল না ওই গৃহবধূর। গর্ভের সন্তানের কথা মাথায় রেখে সংসারে অভাব চরমে ওঠা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন নিজের কাজ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। এখন তাঁর প্রশ্ন, ‘পেটে বাচ্চা নেই তো এতদিন ওষুধ ইনজেকশন কেন দেওয়া হল? এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে?’যদিও নিজেদের দায় এড়িয়ে মহিলার ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন মালকুড়ি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনচার্জ অঞ্জলি সেনাপতি। তাঁর দাবি, ‘একাধিকবার বলার পরেও সময়মতো আলট্রাসনোগ্রাফি করেননি গৌরীদেবী।’ একই দাবি এলাকার আশাকর্মী স্নেহলতা মুর্মুর।
ঘটনায় গাফিলতি কার? ক্যামেরার সামনে প্রতিক্রিয়া না দিতে চাইলেও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবন হাঁসদা বলেন, ‘বিভিন্ন কারণেই ঘটে এই ধরনের ভুল। তবে কর্তব্যে কারও গাফিলতি আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।’ তবে গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা।