এই সময়, মেদিনীপুর: 'আমার বাঁচার ইচ্ছে নেই। আমি চললাম'। এর আগেও দরজা বন্ধ করে এরকম কথা বলে স্ত্রীর সঙ্গে 'দাম্পত্য-ঠাট্টা' করেছেন স্বামী। কিন্তু বুধবার রাতে মজা করতে গিয়ে দড়ির ফাঁস গলায় এঁটে মর্মান্তিক মৃত্যু হল মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থানার কুমারহাটি গ্রামের রঞ্জিত পাতরের। মজার পরিণতি যে এত ভয়ঙ্কর হতে পারে, ভেবে পাচ্ছেন না প্রতিবেশীরাও। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, 'নিছক দুর্ঘটনা বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।' মৃতের স্ত্রী দীপালি বলেন, 'এর আগে দরজা বন্ধ করে একাধিক বার এমন মজা করেছেন। আমি রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ার হুমকি দিলে দরজা খুলে দিতেন। কিন্তু এবার যে ওরকম ফাঁস লেগে যাবে, বুঝতে পারিনি। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে স্বামীর মৃত্যু দেখতে হল আমাকে।'
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলে চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিকের কাজ করতেন রঞ্জিত। তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। বুধবার রাতে দীপালির সঙ্গে ঠাট্টা করতে করতে রঞ্জিত বলেন, 'দেখবে, আমি গলায় ফাঁস দেব।' এ কথা বলতে বলতে হঠাৎ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন রঞ্জিত। তারপর ভেতর থেকে ডাকতে থাকেন স্ত্রীকে। কিন্তু দরজা বন্ধ থাকায় ঘরের ভেতরে ঢুকতে পারেননি তিনি। পিছনের জানালা দিয়ে দীপালি দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে দড়ি বাঁধছেন স্বামী। কী করছ, কী করছ, বলে চিৎকার করলেও স্বামী আর দরজা খোলেননি। প্রতিবেশীদের ডেকে দরজা ভেঙে স্বামীকে উদ্ধার করেন দীপালি। নিয়ে যাওয়া হয় কেশিয়াড়ি হাসপাতালে। ততক্ষণে অবশ্য মৃত্যু হয়েছে রঞ্জিতের।
মৃতের স্ত্রী বলেন, 'কোনও গোলমাল বা কথা কাটাকাটি হয়নি। এর আগেও একাধিকবার এরকম ইয়ার্কি করে দরজা লাগিয়েছে। আমি রাগ দেখালে আবার দরজা খুলেও দিত।'
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলে চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিকের কাজ করতেন রঞ্জিত। তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। বুধবার রাতে দীপালির সঙ্গে ঠাট্টা করতে করতে রঞ্জিত বলেন, 'দেখবে, আমি গলায় ফাঁস দেব।' এ কথা বলতে বলতে হঠাৎ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন রঞ্জিত। তারপর ভেতর থেকে ডাকতে থাকেন স্ত্রীকে। কিন্তু দরজা বন্ধ থাকায় ঘরের ভেতরে ঢুকতে পারেননি তিনি। পিছনের জানালা দিয়ে দীপালি দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে দড়ি বাঁধছেন স্বামী। কী করছ, কী করছ, বলে চিৎকার করলেও স্বামী আর দরজা খোলেননি। প্রতিবেশীদের ডেকে দরজা ভেঙে স্বামীকে উদ্ধার করেন দীপালি। নিয়ে যাওয়া হয় কেশিয়াড়ি হাসপাতালে। ততক্ষণে অবশ্য মৃত্যু হয়েছে রঞ্জিতের।
মৃতের স্ত্রী বলেন, 'কোনও গোলমাল বা কথা কাটাকাটি হয়নি। এর আগেও একাধিকবার এরকম ইয়ার্কি করে দরজা লাগিয়েছে। আমি রাগ দেখালে আবার দরজা খুলেও দিত।'