Gitanjali Express: হাতে কনফার্ম টিকিট, তাও আসন নেই ট্রেনে! গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে জোড়া হল অতিরিক্ত কোচ
Howrah Station-এ গিয়ে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস (Gitanjali Express) ধরার অপেক্ষায় ছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু স্টেশনে পৌঁছতেই হতভম্ব হয়ে যান যাত্রীরা। কারণ, ট্রেনের শুরু থেকে শেষ ঘেঁটেও মিলল না কোনও আসন। এমনটাই হয়েছে হাওড়া (Howrah Station)থেকে দুপুর ২.০৫ এ গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস ট্রেনে ((Gitanjali Express Howrah to Mumbai)। শেষমেষ ট্রেনে জোড়া হল আলাদা কামরা।
হাইলাইটস
- ৩২ জন রেলযাত্রী।
- গন্তব্য মুম্বাই।
- স্টেশনের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটেও মিলল না নির্দিষ্ট কামরার আসন।
৩২ জন রেলযাত্রী। গন্তব্য মুম্বাই। থ্রি টায়ার কনফার্ম এসি টিকিট রেডি। হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) গিয়ে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস (Gitanjali express) কেবল তা ধরার অপেক্ষায়। কিন্তু স্টেশনে পৌঁছতেই চক্ষু চড়ক গাছ যাত্রীদের। গোটা ট্রেন ঘেঁটেও মিলল না কোনও আসন। এমনটাই হয়েছে হাওড়া থেকে দুপুর ২.০৫ এ গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস ট্রেনে (Gitanjali Express Howrah to Mumbai)। শেষমেষ ট্রেনে জোড়া হল আলাদা কামরা। রবিবার হাওড়া (Howrah) থেকে দুপুর ২.০৫ এ মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল ১২৮৬০ আপ গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসের। হাতে কনফার্ম টিকিট নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশনে পৌঁছেও গিয়েছিলেন যাত্রীরা। তবে স্টেশনের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটেও মিলল না নির্দিষ্ট কামরার আসন। আর যার জেরেই চরম বিপাকে পড়তে হল গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসের (Gitanjali Express) এসি থ্রি টায়ারের যাত্রীদের। অগত্যা হাতে কনফার্ম টিকিট থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কামরায় উঠে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন ৩২ জন রেলযাত্রী। তবে চরম বিপাকে পড়ে কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছিলেন যাত্রীরা। নির্ধারিত সময় দুপুর ৩.৪০ এর ২০ মিনিট পর খড়গপুর (Kharagpur) স্টেশনে ট্রেন ঢোকামাত্রই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তাঁরা। খবর পেয়ে সেখানে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
কিন্তু বিপত্তি কোথায়? হাতে কনফার্ম টিকিট থাকা সত্বেও কোনও আসন তাঁদের জন্য কেন সংরক্ষিত নয়? ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন যাত্রীরা। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে কোনোক্রমে তাঁদের ক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অবশেষে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসের শেষে থাকা পার্সেল ভ্যানকে আলাদা করে ট্রেনে জোড়া হয় নতুন থ্রি টায়ার কোচ। আর সেই কোচেই যাত্রীদের নির্দিষ্ট আসনে বসিয়ে রওনা করিয়ে দেওয়া হয় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এই গোটা ঘটনার জেরে খড়গপুর স্টেশনেই (Kharagpur Station) প্রায় দু ঘন্টার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস।
গোটা ঘটনায় রেলের ত্রুটির কথা কার্যত স্বীকার করে নেন দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের (South eastern railway) খড়গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম রাজেশ কুমার। তাঁর দাবি, রেলওয়ের সার্ভারে কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে কনফার্ম হওয়া টিকিট হঠাৎই চলে যায় ওয়েটিং লিস্টে। আর এর ফলেই সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। রেলের টেকনিক্যাল টিমের কাছ থেকে পুরো বিষয় নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রেল আধিকারিকরা যে সাফাই দিক না কেন এ রকম হয়রানির জন্য রেলের চরম উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন রেল যাত্রীরা। রেল সূত্রে খবর, ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি মিটিয়ে ফেলা হয়েছে সার্ভারের সমস্যা। বর্তমানে সেভাবে আর কোনও সমস্যা নেই বলেই দাবি করছেন রেলকর্তারা।
কিন্তু বিপত্তি কোথায়? হাতে কনফার্ম টিকিট থাকা সত্বেও কোনও আসন তাঁদের জন্য কেন সংরক্ষিত নয়? ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন যাত্রীরা। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে কোনোক্রমে তাঁদের ক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অবশেষে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসের শেষে থাকা পার্সেল ভ্যানকে আলাদা করে ট্রেনে জোড়া হয় নতুন থ্রি টায়ার কোচ। আর সেই কোচেই যাত্রীদের নির্দিষ্ট আসনে বসিয়ে রওনা করিয়ে দেওয়া হয় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এই গোটা ঘটনার জেরে খড়গপুর স্টেশনেই (Kharagpur Station) প্রায় দু ঘন্টার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস।
গোটা ঘটনায় রেলের ত্রুটির কথা কার্যত স্বীকার করে নেন দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের (South eastern railway) খড়গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম রাজেশ কুমার। তাঁর দাবি, রেলওয়ের সার্ভারে কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে কনফার্ম হওয়া টিকিট হঠাৎই চলে যায় ওয়েটিং লিস্টে। আর এর ফলেই সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। রেলের টেকনিক্যাল টিমের কাছ থেকে পুরো বিষয় নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রেল আধিকারিকরা যে সাফাই দিক না কেন এ রকম হয়রানির জন্য রেলের চরম উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন রেল যাত্রীরা। রেল সূত্রে খবর, ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি মিটিয়ে ফেলা হয়েছে সার্ভারের সমস্যা। বর্তমানে সেভাবে আর কোনও সমস্যা নেই বলেই দাবি করছেন রেলকর্তারা।