অ্যাপশহর

Ram Mandir : 'পুলিশ মাইক খুলতে এলে প্যান্ট খুলে নিন,' রামভক্তদের বার্তা দিলীপের

রাত পোহালেই উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। সেই উপলক্ষে উৎসবের মেজাজে মেতে উঠেছে সারা দেশ। বাংলাতেও বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করেছেন রামভক্তরা। কিন্তু অনেক জায়গাতেই পুলিশ উৎসব আয়োজনে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ উৎসব আয়োজনে বাধা দিলে 'প্যান্ট খুলে নেওয়া'র বার্তা দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

হাইলাইটস

  • আগামীকাল অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন
  • এই রাজ্যে উৎসব আয়োজনে পুলিশ বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ
  • 'পুলিশের প্যান্ট খুলে নেওয়া'র বার্তা দিলীপ ঘোষের
EiSamay.Com Dilip Ghosh
দিলীপ ঘোষ (ফাইল ছবি)
রাত পোহালেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন। সেই উপলক্ষে উৎসবের মেজাজে গোটা দেশ। এরাজ্যেও বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করেছেন রামভক্তরা। কিন্তু অনেক জায়গাতেই পুলিশ উৎসব আয়োজনে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ উৎসব আয়োজনে বাধা দিলে 'প্যান্ট খুলে নেওয়া'র বার্তা দিলেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
রবিবার সাতসকালে খড়গপুরে এক চা চক্রে যোগ দিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ, 'হিন্দু সমাজের কোনও উৎসবে কোনও ঝামেলা হয় না, দাঙ্গা হয় না, এটা ইতিহাস। যারা এটাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করছে, উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, দাঙ্গা করার চেষ্টা করছে, তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। হিন্দু সমাজ শান্তিপূর্ণভাবে সমস্ত উৎসব করবে। বিরোধিতা করতে এলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।'

এর পরেই দিলীপ ঘোষ বলেন, 'খড়গপুরে এসে শুনলাম, 'যেখানে যেখানে উৎসবের আয়োজন হবে পুলিশ ধমকাচ্ছে। মাইক লাগাতে দিচ্ছে না, মাইক নামিয়ে নিতে বলছে, ডেকরেটরদের ধমকাচ্ছে, যাতে মাইক না দেয়। আমি হিন্দু সমাজকে আবেদন করব, আপনারা জোরদার উৎসব করুন। ৫০০ বছর পরে রাম তাঁর বাড়িতে আসছেন, আমরা একদিনের উৎসব করছি, তাতে যদি কেউ বাধা দেয়, পুলিশ যদি মাইক নামাতে আসে, মাইক খুলতে আসে, পুলিশকে ঘুরে তার প্যান্ট খুলে নিন, বাকি আমি দেখব, বিজেপি দেখবে।'

অন্যদিকে তৃণমূলের সংহতি মিছিলকেও এদিন তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সাংসদ বলেন, 'এই সংহতির নামে, পশ্চিমবঙ্গে সব জয়াগায় দাঙ্গা হয়েছে। সেই দেশভাগের পর থেকে সংহতির আয়োজন চলছে, আগেও ছিল। কেন সংহতি হয়নি? যাঁরা সংহতি মিছিলের নামে, সংহতি নষ্ট করেন, তাঁরা আবার রাস্তায় নেমেছেন। আর রামের বিরুদ্ধে নেমেছেন! হিন্দু সমাজ এই ধরণের চালাকি, এই ধরণের বদমায়েশি আর সহ্য করবে না। যদি সত্যি সত্যি হিন্দুর বাচ্চা হয়, তাহলে কেউ এই সব সংহতি মিছিলে যাবে না, যেখানে জেহাদিরা হাঁটবে, রোহিঙ্গারা হাঁটবে, অনুপ্রবেশকারীরা হেঁটে হিন্দু মন্দির ভাঙবে, দাঙ্গা করবে, সেই সংহতি মিছিলে কোনও হিন্দু সমাজের লোক যাবে না। কেবল যারা তৃণমূলের উচ্ছিষ্টভোগী, তাদের আমলে করে খাচ্ছে, তেমন কিছু লোক যাবে।' প্রসঙ্গত, আগামীকাল শহর কলকাতায় সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি জেলায় জেলায় সম্প্রীতি মিছিল করার জন্যও দলকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
প্রীতম বন্দ্যোপাধ্যায়
গত কয়েক বছর যাবত সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত প্রীতম। টেলিভিশন হোক বা ডিজিটাল মিডিয়া, সমস্ত মাধ্যমেই তিনি সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ফিল্ড রিপোর্টিং এবং ক্যামেরার সামনে ও পিছনে কাজের বিচিত্র অভিজ্ঞতা। বর্তমানে যুক্ত এই সময় ডিজিটাল-এর আঞ্চলিক সংবাদ ডেস্কে। রাজনীতি ছাড়াও খবরের বিভিন্ন আঙ্গিকে তাঁর যাতায়াত রয়েছে। অবসরে বাংলা লোক সংগীত পরিবেশনা, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো, বাইক রাইডিং, জঙ্গল সাফারি ও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস-এর প্রতি রয়েছে প্রীতমের বিশেষ আগ্রহ।... আরও পড়ুন

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল