এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গোটা দক্ষিণবঙ্গ। বানভাসী হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ইতিমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। এবার মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরে। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল বছর তিনেকের এক শিশুকন্যার। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিশুর নাম তিয়াসা (৩)। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর বুড়িশোল গ্রামের বাসিন্দা তিয়াসার সোমবার রাতে বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুটির বাবা সোনা ভুঁইয়া এবং মা সোমা ভুঁইয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরেও গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে। শালবনীর বুড়িশোল গ্রামের বাসিন্দা ছোট্ট তিয়াসা রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিল। ভোররাতে হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে তাদের মাটির বাড়ির দেওয়াল। ওই দেওয়ালে চাপা পড়ে যায় ছোট্ট তিয়াসা এবং তারা বাবা, মা। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাই দ্রুত তিনজনকে উদ্ধার করে এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে প্রাণবায়ু বেরিয়ে গিয়েছে ছোট্ট তিয়াসার। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে তার বাবা, মায়ের অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই তাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। ছোট্ট শিশুকন্যার মর্মান্তিক মৃত্যুতে তার পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, রবিবার রাতের ভারী বৃষ্টিতে নতুন করে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কেশপুর থানার অন্তর্গত গঙ্গাসিনী গ্রাম। জলে ডুবে গিয়েছে কেশপুর থানার কালিকাপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকাও। একাধিক রাজ্য সড়কও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিতে রাজ্যে সোমবার পর্যন্ত মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। যার মধ্যে কেবল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে জলে ডুবে। এছাড়া দেওয়াল ভেঙে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জলবন্দি রয়েছেন রাজ্যের ১৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। লক্ষাধিক বাড়ি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে ৫৭৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে এবং জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে বলে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে খবর। নবান্নে ২৪টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জেলাশাসকদের তহবিলও মঞ্জুর করেছে নবান্ন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরেও গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে। শালবনীর বুড়িশোল গ্রামের বাসিন্দা ছোট্ট তিয়াসা রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিল। ভোররাতে হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে তাদের মাটির বাড়ির দেওয়াল। ওই দেওয়ালে চাপা পড়ে যায় ছোট্ট তিয়াসা এবং তারা বাবা, মা। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাই দ্রুত তিনজনকে উদ্ধার করে এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে প্রাণবায়ু বেরিয়ে গিয়েছে ছোট্ট তিয়াসার। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে তার বাবা, মায়ের অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই তাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। ছোট্ট শিশুকন্যার মর্মান্তিক মৃত্যুতে তার পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, রবিবার রাতের ভারী বৃষ্টিতে নতুন করে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কেশপুর থানার অন্তর্গত গঙ্গাসিনী গ্রাম। জলে ডুবে গিয়েছে কেশপুর থানার কালিকাপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকাও। একাধিক রাজ্য সড়কও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিতে রাজ্যে সোমবার পর্যন্ত মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। যার মধ্যে কেবল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে জলে ডুবে। এছাড়া দেওয়াল ভেঙে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জলবন্দি রয়েছেন রাজ্যের ১৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। লক্ষাধিক বাড়ি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে ৫৭৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে এবং জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে বলে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে খবর। নবান্নে ২৪টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জেলাশাসকদের তহবিলও মঞ্জুর করেছে নবান্ন।