অ্যাপশহর

বধূকে বিষ খাইয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন! পলাতক স্বামী

বাড়ি তৈরির জন্য চাওয়া হয়েছিল টাকা। আনতে না পারায় হল মর্মান্তিক পরিণতি। আবারও পণের দাবিতে নৃশংসভাবে গৃহবধূকে খুনের অভিয়োগ উঠল তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে।

Lipi 5 Nov 2021, 6:34 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আজও পণপ্রথার বলি মেয়েরা! বাড়ি তৈরির টাকা না দেওয়ায় গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে মালদার ভূতনি থানার গোমানিটোলা গ্রামে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা।
EiSamay.Com murder 22


পুলিশ জানায়, মৃত গৃহবধূর নাম বাবলি খাতুন (২২)। বাবলির স্বামী সিন্টু মিঞা সহ শ্বাশুড়ি, ভাশুর, এবং মামাশ্বশুর মিলে তাঁকে বিষ খাইয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাবলির বাবা ইলিয়াস মিঞা তাঁর জামাই ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভূতনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

নিত্যযাত্রীদের চা চাখিয়ে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করছেন এমএ পাশ 'চা-ওয়ালি'

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় শ্রমিক সিন্টু মিঞার সঙ্গে বছর দুয়েক আগে বাবলি খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথম কয়েক মাস ভালোই কাটে। মাস ছয়েক পর থেকেই সিন্টু বাবলিকে বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিচ্ছিল। বাবলি সেই টাকা নিয়ে আসতে অস্বীকার করলেই বেধড়ক মারধর চলত বলে অভিযোগ ইলিয়াস মিঞার। তিনি বলেন, ‘পণের দাবি মোতাবেক TV, আলমারি, আসবাব সব দিয়েছি। কয়েকদিন আগেও বাড়ি করার জন্য ৩৯ হাজার টাকা জামাইকে দিয়েছি। পরশুও ৪ হাজার টাকা নিয়ে যায় জামাই। আবার গতকাল (শুক্রবার) টাকা নিয়ে আসার জন্য বারবার মেয়েকে চাপ দিচ্ছিল। মেয়ে টাকা নিয়ে আসতে অস্বীকার করে। তখন জামাই ও সহ তার পরিবারের লোকেরা মেয়েকে জোর করে বিষ খাইয়ে দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে।’ এরপর রাতে বাবলির গোঙানি শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসতেই সিন্টু সহ তার পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরাই বাবলিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে বাবলির মৃত্যু হয়েছে। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় ভূতনি থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মেয়ের বিয়েতে কন্যা সম্প্রদানের বদলে রক্তদান! আড়াআড়ি বিভক্ত নেটপাড়া

ভূতনি থানার ওসি কুনাল দাস জানান, ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়ে গৃহবধূর পরিবারের লোকেরা তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পণপ্রথার আইন অমান্য করা মামলায় অভিযুক্তদের নামে আমরা কেস করেছি। যদিও ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত সিন্টু মিঞা ও তার পরিবারের লোকেরা। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল