অ্যাপশহর

বিশিষ্টদের আবেদনে গাছ কাটা বন্ধ করল স্কুল কর্তৃপক্ষ

গাছ বাঁচলে, বাঁচবে বিশ্ব। এহেন প্রচার চালাচ্ছে বিশ্ব। পরিবেশ বাঁচানোর ডাক উঠছে সর্বত্র। সে সময় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নদিয়ার এক স্কুল। অবশেষে কীভাবে বাঁচল সবুজ? জানতে পড়ুন...

EiSamay 13 Jun 2021, 12:43 pm

হাইলাইটস

  • বিশিষ্টজনেদের আবেদনে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল স্কুল।
  • শনিবার গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয় নদিয়া জেলার চাকদহের বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের তরফে।
  • স্কুল কতৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের গাছ কাটার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।
মুকুল বিশ্বাস

বিশিষ্টজনেদের আবেদনে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল স্কুল। শনিবার গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয় নদিয়া জেলার চাকদহের বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের তরফে। স্কুল কতৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের গাছ কাটার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তারা সেই ভুল বুঝতে পেরেছেন। তারা আর গাছ কাটবেন না। বরং আরও ১০০ গাছ লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। পরিবেশপ্রেমী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলের এই সিদ্ধান্তে খুশি। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে আচমকা স্কুল প্রাঙ্গনের বড় বড় দেবদারু, শিরীষ, মেহগনি, চটকা গাছ কাটতে শুরু করে কর্তৃপক্ষ। মহামারী আবহে এবং লক ডাউনে কেন এই গাছ কাটার প্রয়োজন পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়। বন দপ্তরের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হচ্ছে বলে, স্কুলের তরফে জানানো হয়। গাছ লাগানো হয়েছে বলে স্কুল কমিটি জানায়। তবু, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে যান এলাকার বাসিন্দারা। ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপে গাছ কাটার ছবি সহ সরব হন এলাকার মানুষজন। সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খবর যায় পরিবেশ প্রেমীদের কাছে। খবর যায় স্থানীয় পরিবেশ নিয়ে আন্দোলনরত সংস্থা ‘সবুজ যোদ্ধা’র কাছে। এরপর সবুজ যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক শশীতাভ ভট্টাচার্যের সঙ্গে।

স্কুলের শিক্ষকরা জানান, এই গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ছাত্র সহ একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বিপজ্জনক বলেই গাছগুলি কেটে ফেলা হচ্ছে। পরিবর্তে ৩০ টি গাছ লাগানো হবে। স্থানীয়রা এবং পরিবেশপ্রেমীরা প্রশ্ন তোলেন, লক ডাউনে যখন স্কুল বন্ধ তখন ডাল ভেঙে কিভাবে পড়ুয়ারা আহত হলেন!

গৃহবন্দি সময়ে গাছই হয়ে উঠছে ভালোবাসার আস্তানা
এরপর একে একে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে ফোন করেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার সহ সম্পাদক বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী বিবর্তন ভট্টাচার্য, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী প্রদীপ রক্ষিত সহ আরও অনেকে। এরপরই নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

তবলার ডায়ায় গাছ লাগিয়ে সবুজের চাষ করেন বাদক
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শশীতাভ ভট্টাচার্য বলেন, গাছের ডাল পড়ে ছাত্র আহত হয়েছে। গাছগুলি বিপজ্জনক বলে কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বন দপ্তরের অনুমতিও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সকলের অনুরোধে আমরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছি। গাছের ডাল কাটা হবে শুধু, গাছ কাটা হবে না। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা, পরিবেশ কর্মী এবং বিশিষ্ট জনেরা।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল