স্কুলে না গিয়ে দল বেঁধে গঙ্গার পাড়ে আড্ডা, তলিয়ে মৃত্যু দশম শ্রেণির ছাত্রের

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় বছর পর স্কুল খুলেছিল। কিন্তু স্কুলে না গিয়ে দল বেঁধে গঙ্গার পাড়ে গিয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্ররা। সেখানেই দুর্ঘটনা। তলিয়ে মৃত্যু হল এক দশম শ্রেণির ছাত্রের। মঙ্গলবার সকালে নদিয়ার শান্তিপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বিপ্রজিৎ সরকার (১৭) শান্তিপুরের ফুলিয়া শিক্ষানিকেতন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। এ দিন সকালে স্কুলে যাবে বলেই তৈরি হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বিপ্রজিৎ। কিন্তু, আর বাড়ি ফেরা হল না তার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদই স্নানের জন্য বয়রা ঘাটে নেমেছিল ছেলেরা। দলে তারা সাত-আট জন ছিল বলে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি। এরই মধ্যে কখন বিপ্রজিৎ তলিয়ে গিয়েছে কেউ খেয়াল করেনি। এমনকী বিপ্রজিৎকে পাওয়া যাচ্ছে না দেখে বিপদ বুঝে এলাকা থেকে সরে পড়ে তার বন্ধুরা।

পরে ঘটনার কথা জানাজানি হতে তিন ছাত্রকে ধরে ফেলেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তিন ছাত্রকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।জলের ভিতর খোঁজাখুঁজি শুরু করেন এলাকার বাসিন্দা ও পরিবারের লোকজন। কিন্তু সারা দুপুর খোঁজাখুঁজির পরও বিপ্রজিতের সন্ধান মেলেনি। বিকেল ৪ টে নাগাদ বয়রা ঘাটের কাছে তারে দেহ ভাসতে দেখা যায়। চার জন মাঝি তার দেহ উদ্ধার করেন। ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি করেন উদ্ধারকারী মাঝিদের একজন। তিনি বলেন, ‘অনেকক্ষণ হয়ে গিয়েছিল। স্রোত তেমন বেশি না থাকায় দেহ বেশিদূর ভেসে যেতে পারেনি। কিন্তু আমরা যখন ওকে উদ্ধার করি দেহ শক্ত হয়ে গিয়েছিল।’

কলকাতার ব্যবসায়ী খুনে আদালতে আত্মসমর্পণ খুড়তুতো ভাইয়ের

পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় শান্তিপুর ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানেচিকিৎসকেরা বিপ্রজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন।ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। বারবার তিনি বলতে থাকেন, ‘এত দিন পর স্কুল খুলল। ছেলেটা কেন স্কুলে না গিয়ে নদীতে গেল?’ কেন ছেলে স্কুলে গেল না তা বলতে পারছেন না পরিবারের কেউই।

এলাকাতেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অন্য বন্ধুরা কেন ঘটনার কথা পরিবারের লোকেদের না জানিয়ে পালিয়ে গেল, তা নিয়েও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিপ্রজিতের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘আগে খবর দিলে হয়তো ছেলেটাকে বাঁচান যেত। ওর বন্ধুরাও তো চিৎকার চেঁচামেচি করে তখনই লোক জড়ো করতে পারত।’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।জমান বিদেশি নাগরিকেরা। সে ক্ষেত্রে এই সতর্কতা জারি হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

একই সঙ্গে পাকিস্তানের বালোচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশ-সহ উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতেFederally Administered Tribal Areas (FATA) যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ সেখানে অপহরণের ভয় রয়েছে। যে কোনও সীমান্তবর্তী এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানে এর আগে একাধিকবার আমেরিকান কূটনীতিকদের উপর হামলা হয়েছে, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে আমেরিকার নাগরিকদের। ২০১৪ সালের পর পাকিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হলেও জঙ্গি হামলার ভয় থেকেই যাচ্ছে। যদিও ইসলামাবাদকে খানিকটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানেও আমেরিকা সরকারে সীমিত ক্ষমতার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।