এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু বাঙালি পর্যটক। বেশ কয়েকজন পর্যটক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলেও খবর মিলেছিল। তবে এবার বাংলার এক পর্বতারোহীর মৃত্যুর খবর মিলল। উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েই মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর থানার এক যুবকের।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তনুময় তিওয়ারি (৩০)। হরিদেবপুরের বাসিন্দা তনুময় পুজোর সময় নেপালগঞ্জের একটি গ্রুপের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন জানিয়েছে। তবে এখনও তাঁর দেহ আসেনি। তনুময়ের সঙ্গে ট্রেকিংয়ে যাওয়া তাঁর মামা সুখেন মাঝিও সহ ওই গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের এখনও হদিশ মেলেনি।
জানা গিয়েছে, শিপিংয়ে কর্মরত তনুময় ও তাঁর মামা সুখেন মাঝির বরাবরই ট্রেকিংয়ের নেশা ছিল। সুযোগ পেলেই তাঁরা ট্রেকিংয়ে বেরিয়ে পড়তেন। গত ১২ অক্টোবর, সপ্তমীর দিন তনুময় ও তাঁর মামা নেপালগঞ্জের একটি গ্রুপের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন। পরদিন উত্তরাখণ্ড পৌঁছে তাঁরা বাড়িতে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। কিন্তু তারপর আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। এর মধ্যে উত্তরাখণ্ডে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও তুষারধস শুরু হলে তনুময়ের পরিবারের সকলেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তাঁরা হাজার চেষ্টা করেও তনুময়, তাঁর মামা বা গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। অবশেষে শনিবার সকালে তনুময়ের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছল হরিদেবপুরে।
তরতাজা ছেলের মৃত্যুর খবরে স্বভাবতই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে তনুময়ের পরিবার। এলাকাতেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তনুময়ের দিদি বলেন, 'এই নিয়ে মোট চারবার ট্রেকিংয়ে গিয়েছিল ভাই। ভাবতে পারেনি, এটাই শেষবার হবে!' এখন ছেলেকে শেষবার দেখতে তাঁর দেহ পাঠানোর জন্য উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের কাছে কাতর আবেদন জানাচ্ছেন তনুময়ের পরিবার। রাজ্য সরকারেরও সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন।
তনুময়ের জ্যেঠু মহেন্দ্র তিওয়ারির কথায়, 'ভাইপোকে তো আর দেখতে পাব না। অন্তত শেষবার যেন দেখতে পারি। সরকারের কাছে আবেদন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওর দেহটা পাঠাক। দেহটা যেন সৎকার করতে পারি।'
তনুময়ের মামা সুখেন মাঝির এখনও হদিশ মেলেনি। তিনিও আদৌ বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মহেন্দ্রবাবু।প্রশাসন সূত্রে খবর, কেবল সুখেন মাঝি নন, নেপালগঞ্জের ওই ট্রেকিং গ্রুপে মোট ১১ জন সদস্যের দুজন বাদে বাকি সকলেই এখনও নিখোঁজ। হদিশ পাওয়া দুজনের মধ্যে তনুময়ের মৃত্যুর খবর মিলেছে এবং একজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরাখণ্ডেরই একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গ্রুপের বাকি সদস্যরা কোথায়, কী অবস্থায় রয়েছেন তা তিনিও জানেন না।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তনুময় তিওয়ারি (৩০)। হরিদেবপুরের বাসিন্দা তনুময় পুজোর সময় নেপালগঞ্জের একটি গ্রুপের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন জানিয়েছে। তবে এখনও তাঁর দেহ আসেনি। তনুময়ের সঙ্গে ট্রেকিংয়ে যাওয়া তাঁর মামা সুখেন মাঝিও সহ ওই গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের এখনও হদিশ মেলেনি।
জানা গিয়েছে, শিপিংয়ে কর্মরত তনুময় ও তাঁর মামা সুখেন মাঝির বরাবরই ট্রেকিংয়ের নেশা ছিল। সুযোগ পেলেই তাঁরা ট্রেকিংয়ে বেরিয়ে পড়তেন। গত ১২ অক্টোবর, সপ্তমীর দিন তনুময় ও তাঁর মামা নেপালগঞ্জের একটি গ্রুপের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন। পরদিন উত্তরাখণ্ড পৌঁছে তাঁরা বাড়িতে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। কিন্তু তারপর আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। এর মধ্যে উত্তরাখণ্ডে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও তুষারধস শুরু হলে তনুময়ের পরিবারের সকলেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তাঁরা হাজার চেষ্টা করেও তনুময়, তাঁর মামা বা গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। অবশেষে শনিবার সকালে তনুময়ের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছল হরিদেবপুরে।
তরতাজা ছেলের মৃত্যুর খবরে স্বভাবতই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে তনুময়ের পরিবার। এলাকাতেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তনুময়ের দিদি বলেন, 'এই নিয়ে মোট চারবার ট্রেকিংয়ে গিয়েছিল ভাই। ভাবতে পারেনি, এটাই শেষবার হবে!' এখন ছেলেকে শেষবার দেখতে তাঁর দেহ পাঠানোর জন্য উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের কাছে কাতর আবেদন জানাচ্ছেন তনুময়ের পরিবার। রাজ্য সরকারেরও সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন।
তনুময়ের জ্যেঠু মহেন্দ্র তিওয়ারির কথায়, 'ভাইপোকে তো আর দেখতে পাব না। অন্তত শেষবার যেন দেখতে পারি। সরকারের কাছে আবেদন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওর দেহটা পাঠাক। দেহটা যেন সৎকার করতে পারি।'
তনুময়ের মামা সুখেন মাঝির এখনও হদিশ মেলেনি। তিনিও আদৌ বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মহেন্দ্রবাবু।প্রশাসন সূত্রে খবর, কেবল সুখেন মাঝি নন, নেপালগঞ্জের ওই ট্রেকিং গ্রুপে মোট ১১ জন সদস্যের দুজন বাদে বাকি সকলেই এখনও নিখোঁজ। হদিশ পাওয়া দুজনের মধ্যে তনুময়ের মৃত্যুর খবর মিলেছে এবং একজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরাখণ্ডেরই একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গ্রুপের বাকি সদস্যরা কোথায়, কী অবস্থায় রয়েছেন তা তিনিও জানেন না।