এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহ খানেক হল পরিষেবা শুরু হয়েছে লোকাল ট্রেনে। লোকাল ট্রেনের কামরায় স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ব্যাপক আকারে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে আগে থেকেই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে লোকাল চালু হওয়ার ৭ দিনের মাথায় আপাতত আশায় বুক বাঁধতেই পারেন বাংলার মানুষ। কারণ লোকাল ট্রেন শুরুর পর সংক্রমণ বাড়া তো দূর, হঠাৎ করেই একধাক্কায় বেশ কিছুটা কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। সেইসঙ্গে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে সুস্থতার হারও, স্বাভাবিক কারণেই দ্রুত গতিতে কমছে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাও। সব মিলিয়ে হাজারো আশঙ্কার মাঝেও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্যভবনের বুলেটিনে। মঙ্গলবার রাজ্যে ডিসচার্জ রেট অর্থাৎ সুস্থতার হার পৌঁছল ৯২.০৪ শতাংশে। এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত দু-তিন দিনের তুলনায় রাজ্যে নতুন করোনা-আক্রান্তর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও মোটের উপর তা নিয়ন্ত্রণেই আপাতত। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩৬৫৪ জন নতুন করোনা-আক্রান্তর খোঁজ মিলেছে, একইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, রাজ্যের বর্তমান অ্যাক্টিভ করোনা-রোগীর সংখ্যাও একধাক্কায় কমে হয়েছে ২৭ হাজার ১১১ জনে। সার্বিক ভাবে রাজ্যের অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা কমলেও রাজ্যের 'হাই বার্ডেন' দুই জেলা, কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা এখনও মাথা ব্যথার কারণ। ওই দু'টি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় যথাক্রমে ৭৫২ এবং ৭১০ জন করোনা-আক্রান্তর খোঁজ মিলেছে। ফলে, কলকাতার মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ৫০৪। মোট আক্রান্তের সংখ্যায় অবশ্য বেশি পিছিয়ে নেই কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলাও। সেখানে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ১৯৩ জন।
স্বাস্থ্যভবনের আশঙ্কা ছিল, লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার কয়েকদিন পর পরিস্থিতি কী হবে, কে জানে! এখনও আশঙ্কাজনক কোনও পরিস্থিতি আসেনি বলেই আশাতে বুক বাঁধছেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, পুজোর দিন কয়েক আগে থেকে শুরু করে পুজোর দিনগুলি-বাংলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ হচ্ছিল প্রায় সাড়ে চার হাজার করে। বর্তমানে দৈনিক করোনা সংক্রমণ একধাক্কায় কমে এসেছে সাড়ে ৩ হাজারের দোরগোড়ায়। রাজ্যে আশা জাগিয়ে ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করেছে সুস্থতার হারও। করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলা যে ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করলেই তার খানিকটা আভাস মেলে।
আরও পড়ুন: ভয়ংকর উত্তরপ্রদেশ, গণধর্ষণের পর ফুসফুস উপড়ানো হল ছয়ের শিশুকন্যার!
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ হাজার ৩৮৮ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনামুক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ০৩ হাজার ৩৪০ জন। মঙ্গলবারও সারাদিনে ৪৪ হাজারের উপর কোভিড নমুনা টেস্ট হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে এদিন সবমিলিয়ে ৪৪ হাজার ২৩৮টি নমুনার কোভিড টেস্ট হয়েছে। পজিটিভিটির হার ৯ শতাংশের অনেক নীচে (৮.২৭ শতাংশ) নেমে এসেছে। রাজ্যে এ পর্যন্ত ৫৩ লক্ষ ০১ হাজার ১৬২টি নমুনার কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যা-পিছু ইতিমধ্যে ৫৮,৯০২ জনের কোভিড টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে।
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।
স্বাস্থ্যভবনের আশঙ্কা ছিল, লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার কয়েকদিন পর পরিস্থিতি কী হবে, কে জানে! এখনও আশঙ্কাজনক কোনও পরিস্থিতি আসেনি বলেই আশাতে বুক বাঁধছেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, পুজোর দিন কয়েক আগে থেকে শুরু করে পুজোর দিনগুলি-বাংলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ হচ্ছিল প্রায় সাড়ে চার হাজার করে। বর্তমানে দৈনিক করোনা সংক্রমণ একধাক্কায় কমে এসেছে সাড়ে ৩ হাজারের দোরগোড়ায়। রাজ্যে আশা জাগিয়ে ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করেছে সুস্থতার হারও। করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলা যে ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করলেই তার খানিকটা আভাস মেলে।
আরও পড়ুন: ভয়ংকর উত্তরপ্রদেশ, গণধর্ষণের পর ফুসফুস উপড়ানো হল ছয়ের শিশুকন্যার!
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ হাজার ৩৮৮ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনামুক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ০৩ হাজার ৩৪০ জন। মঙ্গলবারও সারাদিনে ৪৪ হাজারের উপর কোভিড নমুনা টেস্ট হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে এদিন সবমিলিয়ে ৪৪ হাজার ২৩৮টি নমুনার কোভিড টেস্ট হয়েছে। পজিটিভিটির হার ৯ শতাংশের অনেক নীচে (৮.২৭ শতাংশ) নেমে এসেছে। রাজ্যে এ পর্যন্ত ৫৩ লক্ষ ০১ হাজার ১৬২টি নমুনার কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যা-পিছু ইতিমধ্যে ৫৮,৯০২ জনের কোভিড টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে।
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।