পার্থসারথি সেনগুপ্ত জমির রেকর্ডের ডিজিটাইজেশন বা ই-তথ্যপঞ্জিকরণে সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ উঠে এল দ্বিতীয় স্থানে। গত আর্থিক বছরেও পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান ছিল ছ'নম্বরে। এক বছরের মধ্যে চার ধাপ উঠে এসে সাফল্যের অনন্য নজির গড়ল বাংলা। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চের (এনসিএইআর) সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রথম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। লক্ষণীয়, গত সমীক্ষায় ওডিশা ও মহারাষ্ট্র ছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে। ওই দুই রাজ্য এ বার এক ধাপ করে নেমে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের স্কোর ১০০-র মধ্যে ৭৮.৫, মধ্যপ্রদেশের ৮০.২।
সামগ্রিক ভাবে জমির ই-তথ্যপঞ্জিকরণে রাজ্যের এগিয়ে যাওয়া অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অন্যতম অনুঘটকের কাজ করছে বলে অর্থনীতিবিদদের ধারণা। এনসিএইআরের সমীক্ষা রিপোর্টেও এর ইঙ্গিত মিলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-পরিসংখ্যান বৈজ্ঞানিক ভাবে পঞ্জিকরণ অর্থনৈতিক বিকাশে অত্যন্ত জরুরি। জমি ঠিক ব্যবহার করতে পারা অর্থনৈতিক বিকাশ ও দারিদ্র দূরীকরণে আবশ্যিক শর্ত। সরকার, শিল্প-বাণিজ্য মহল ও সাধারণ মানুষ--সবার ক্ষেত্রেই জমির মতো সম্পদ সদ্ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন সঠিক তথ্য-পরিসংখ্যান এবং স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ নথি।
সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা দেশের মধ্যে যে সাতটি রাজ্যের জমির রেকর্ড ডিজিটাইজেশনে উন্নততর সূচকের নিরিখে দশ পয়েন্টেরও বেশি 'নম্বর' মিলেছে, পশ্চিমবঙ্গ তার অন্যতম। অন্য ছ'টি রাজ্য হল--বিহার, কর্নাটক, ত্রিপুরা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা ও হিমাচল প্রদেশ। ডিজিটাইজেশনের ব্যাপকতা তথা প্রসারের নিরিখে যে রাজ্যগুলি সবচেয়ে এগিয়ে, পশ্চিমবঙ্গ সে তালিকায় দ্বিতীয়। বিহার প্রথম স্থানে, তৃতীয় ও চতুর্থ যথাক্রমে ত্রিপুরা ও কর্নাটক। এই সমীক্ষায় বিভিন্ন রাজ্যের জমির তথ্য-পরিসংখ্যান সংক্রান্ত ই-প্ল্যাটফর্ম সহজে ব্যবহারের বিষয়টি বা কোনটি গ্রাহকদের দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা উন্নতমানের, সেই সূচকও বিচার্য ছিল। এতেও পশ্চিমবঙ্গের সাফল্য নজরকাড়া। তবে কোনও জমির মধ্যে আর্থিক বা আইনি কোনও দায় লুকিয়ে রয়েছে কি না, সেই সংক্রান্ত তথ্যপরিসংখ্যানে রাজ্যের ই-পঞ্জিকরণ আরও জোরদার হওয়া উচিত বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে স্টিস্টার নিবেদিতা গভর্নমেন্ট জেনারেল ডিগ্রি কলেজ ফর গার্লসের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান চন্দ্রকান্ত সাহা বলেন, 'সামগ্রিক ভাবে জমির ই-ডিজিটাইজেশনে পশ্চিমবঙ্গের সাফল্যের খতিয়ান অর্থনীতির আঙিনায় ইতিবাচক দিশা দেয়। এই ধরনের সঠিক তথ্য-ভাণ্ডার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সিঙ্গুর সংক্রান্ত একটি গবেষণায় দেখেছিলাম, সেখানে জমির নথি থাকলেও তথ্য-পরিসংখ্যানে বেশ কিছু খামতি ছিল। ধরা যাক, কোনও জমি এক সময় এক ফসলি থাকলেও পরে জমির মালিক তাতে বিনিয়োগ করে সেটিকে দো-ফসলি বা তিন-ফসলি করেছেন। তথ্য-ভাণ্ডারে সাম্প্রতিকতম তথ্য না থাকলে জমির প্রকৃত মূল্যমান নির্ধারণেও সমস্যা হয়। কম দাম মেলার আশঙ্কা। তা প্রকারান্তরে শিল্পায়নের পথেও কাঁটা।'
সামগ্রিক ভাবে জমির ই-তথ্যপঞ্জিকরণে রাজ্যের এগিয়ে যাওয়া অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অন্যতম অনুঘটকের কাজ করছে বলে অর্থনীতিবিদদের ধারণা। এনসিএইআরের সমীক্ষা রিপোর্টেও এর ইঙ্গিত মিলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-পরিসংখ্যান বৈজ্ঞানিক ভাবে পঞ্জিকরণ অর্থনৈতিক বিকাশে অত্যন্ত জরুরি। জমি ঠিক ব্যবহার করতে পারা অর্থনৈতিক বিকাশ ও দারিদ্র দূরীকরণে আবশ্যিক শর্ত। সরকার, শিল্প-বাণিজ্য মহল ও সাধারণ মানুষ--সবার ক্ষেত্রেই জমির মতো সম্পদ সদ্ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন সঠিক তথ্য-পরিসংখ্যান এবং স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ নথি।
সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা দেশের মধ্যে যে সাতটি রাজ্যের জমির রেকর্ড ডিজিটাইজেশনে উন্নততর সূচকের নিরিখে দশ পয়েন্টেরও বেশি 'নম্বর' মিলেছে, পশ্চিমবঙ্গ তার অন্যতম। অন্য ছ'টি রাজ্য হল--বিহার, কর্নাটক, ত্রিপুরা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা ও হিমাচল প্রদেশ। ডিজিটাইজেশনের ব্যাপকতা তথা প্রসারের নিরিখে যে রাজ্যগুলি সবচেয়ে এগিয়ে, পশ্চিমবঙ্গ সে তালিকায় দ্বিতীয়। বিহার প্রথম স্থানে, তৃতীয় ও চতুর্থ যথাক্রমে ত্রিপুরা ও কর্নাটক। এই সমীক্ষায় বিভিন্ন রাজ্যের জমির তথ্য-পরিসংখ্যান সংক্রান্ত ই-প্ল্যাটফর্ম সহজে ব্যবহারের বিষয়টি বা কোনটি গ্রাহকদের দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা উন্নতমানের, সেই সূচকও বিচার্য ছিল। এতেও পশ্চিমবঙ্গের সাফল্য নজরকাড়া। তবে কোনও জমির মধ্যে আর্থিক বা আইনি কোনও দায় লুকিয়ে রয়েছে কি না, সেই সংক্রান্ত তথ্যপরিসংখ্যানে রাজ্যের ই-পঞ্জিকরণ আরও জোরদার হওয়া উচিত বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে স্টিস্টার নিবেদিতা গভর্নমেন্ট জেনারেল ডিগ্রি কলেজ ফর গার্লসের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান চন্দ্রকান্ত সাহা বলেন, 'সামগ্রিক ভাবে জমির ই-ডিজিটাইজেশনে পশ্চিমবঙ্গের সাফল্যের খতিয়ান অর্থনীতির আঙিনায় ইতিবাচক দিশা দেয়। এই ধরনের সঠিক তথ্য-ভাণ্ডার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সিঙ্গুর সংক্রান্ত একটি গবেষণায় দেখেছিলাম, সেখানে জমির নথি থাকলেও তথ্য-পরিসংখ্যানে বেশ কিছু খামতি ছিল। ধরা যাক, কোনও জমি এক সময় এক ফসলি থাকলেও পরে জমির মালিক তাতে বিনিয়োগ করে সেটিকে দো-ফসলি বা তিন-ফসলি করেছেন। তথ্য-ভাণ্ডারে সাম্প্রতিকতম তথ্য না থাকলে জমির প্রকৃত মূল্যমান নির্ধারণেও সমস্যা হয়। কম দাম মেলার আশঙ্কা। তা প্রকারান্তরে শিল্পায়নের পথেও কাঁটা।'