পিয়ালী চক্রবর্তী
রাজ্য সরকারের নতুন পেনশন স্কিমের প্রস্তাব খারিজ করে দিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার ও স্পোর্টস সোসাইটি৷ রাজ্য পুলিশের আওতাধীন পুলিশ ও অ -পুলিশকর্মীদের পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রস্তাব ঘিরে পুলিশ -সহ রাজ্য সরকারি কর্মীমহলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল , রাজ্য সরকারও বুঝি আগামী দিনে সরকারি কর্মচারীদের পেনশনের দায় থেকে হাত গুটিয়ে নিতে চলেছে৷ সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ ওয়েলফেয়ার বিভাগের প্রস্তাব খারিজ করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার ও স্পোর্টস সোসাইটি৷
সূত্রের খবর , গত ১৫ সেপ্টেম্বর সোসাইটির বৈঠকে ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের প্রস্তাব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর সেটি খারিজ করে দেন সোসাইটির গভর্নিং বডির সদস্যরা৷ এক পুলিশকর্তার কথায় , ‘পুরোনো নিয়মে এ রাজ্যে সরকারি কর্মীদের জন্য এখনও পেনশন ব্যবস্থা বলবত্ রয়েছে৷ তাই এখনই আলাদা পেনশন স্কিমের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়েছে৷ ’ঘটনা হল , গত অগস্টে রাজ্য পুলিশের ওয়েলফেয়ার বিভাগের তরফে পুলিশ সুপার -সহ পদস্থ কর্তাদের কাছে পাঠানো এই সংক্রান্ত প্রস্তাবে বলা হয় , এলআইসির সঙ্গে রাজ্য পুলিশের যৌথ উদ্যোগে একটি পেনশন স্কিম চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ যাতে প্রতি মাসে কর্মচারীরা কম পক্ষে এক হাজার টাকা পেনশন তহবিলে জমা রাখতে পারবেন৷ তাঁদের বেতন থেকে প্রতি মাসে কেটে পেনশন খাতে ওই টাকা জমা হবে৷ গচ্ছিত টাকা থেকে একটি অংশ অবসরের পর এককালীন এবং বাকি অংশ থেকে প্রতি মাসে পেনশন পাবেন সংশ্লিষ্ট কর্মী৷ যদিও প্রস্তাবটিতে একই সঙ্গে বলা হয় , ওই স্কিমে অংশ নেওয়াটা বাধ্যতামূলক নয়৷ পুলিশকর্মীরা তাঁদের ইচ্ছানুযায়ী পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারেন৷
গচ্ছিত অর্থের উপর নির্ভর করবে পেনশনের অঙ্ক৷ এখানেই শেষ নয় , প্রস্তাবিত স্কিম অনুযায়ী যদি কোনও পুলিশকর্মীর অবসরের আগেই মৃত্যু হয় , তা হলে গচ্ছিত অর্থের উপর পেনশন বাবদ প্রাপ্য টাকা ছাড়াও সেই টাকার অনুপাতে মৃতের পরিবার একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের ক্ষতিপূরণও পাবেন৷ আপাত ‘নিরীহ ’ এই প্রস্তাব ঘিরে কর্মচারী মহলে আশঙ্কা তৈরি হয়৷ কারণ , ওই পেনশন স্কিমের প্রস্তাবের সঙ্গে অনেকটাই মিল ছিল কেন্দ্রীয় সরকারে চালু করা নয়া পেনশন স্কিমের৷ ২০০৪ -এর ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি দন্তরে নিয়োগ হওয়া কর্মীদের ক্ষেত্রে নয়া পেনশন স্কিমই বলবত্ হয়েছে৷ যেখানে সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা কাটা হয় পেনশন বাবদ৷ যদিও সরকারের তরফেও সমপরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে স্কিমে৷ তবে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে আগে পেনশনের পুরো দায়ই সরকার বহন করত৷
একই সঙ্গে ওই সময় রাজ্যগুলিকেও কেন্দ্র জানিয়ে দেয় , সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে অনুদান না নেওয়া হলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য পেনশন খাতে কেন্দ্র কোনও আর্থিক অনুদান দেবে না৷ কেন্দ্র হাত তুলে নেওয়ার পর পেনশন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া পেনশন স্কিমই দেশের বেশি ভাগ রাজ্যে বলবত্ হয়েছে৷ এমনকি , বামশাসিত ত্রিপুরাতেও৷ একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারই আপত্তি জানিয়ে আসছিল৷ সেই রাজ্যের প্রস্তাব ঘিরে কর্মচারীদের অনেকে আশঙ্কা করতে শুরু করেন , অদূর ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও একই পথে হাঁটতে চলেছে৷ পুলিশের প্রস্তাবটিতে অন্যান্যদের সঙ্গে বিশেষ করে ২০০৪ সালের পর যাঁরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন , তাঁদের মধ্যে এই স্কিম সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার চালানোর কথায় সংশয় আরও বাড়ে৷ পুলিশের একাংশের মতে , নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে আশঙ্কার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে প্রস্তাবটি খারিজ করা হয়েছে৷
রাজ্য সরকারের নতুন পেনশন স্কিমের প্রস্তাব খারিজ করে দিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার ও স্পোর্টস সোসাইটি৷ রাজ্য পুলিশের আওতাধীন পুলিশ ও অ -পুলিশকর্মীদের পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রস্তাব ঘিরে পুলিশ -সহ রাজ্য সরকারি কর্মীমহলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল , রাজ্য সরকারও বুঝি আগামী দিনে সরকারি কর্মচারীদের পেনশনের দায় থেকে হাত গুটিয়ে নিতে চলেছে৷ সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ ওয়েলফেয়ার বিভাগের প্রস্তাব খারিজ করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার ও স্পোর্টস সোসাইটি৷
সূত্রের খবর , গত ১৫ সেপ্টেম্বর সোসাইটির বৈঠকে ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের প্রস্তাব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর সেটি খারিজ করে দেন সোসাইটির গভর্নিং বডির সদস্যরা৷ এক পুলিশকর্তার কথায় , ‘পুরোনো নিয়মে এ রাজ্যে সরকারি কর্মীদের জন্য এখনও পেনশন ব্যবস্থা বলবত্ রয়েছে৷ তাই এখনই আলাদা পেনশন স্কিমের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়েছে৷ ’ঘটনা হল , গত অগস্টে রাজ্য পুলিশের ওয়েলফেয়ার বিভাগের তরফে পুলিশ সুপার -সহ পদস্থ কর্তাদের কাছে পাঠানো এই সংক্রান্ত প্রস্তাবে বলা হয় , এলআইসির সঙ্গে রাজ্য পুলিশের যৌথ উদ্যোগে একটি পেনশন স্কিম চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ যাতে প্রতি মাসে কর্মচারীরা কম পক্ষে এক হাজার টাকা পেনশন তহবিলে জমা রাখতে পারবেন৷ তাঁদের বেতন থেকে প্রতি মাসে কেটে পেনশন খাতে ওই টাকা জমা হবে৷ গচ্ছিত টাকা থেকে একটি অংশ অবসরের পর এককালীন এবং বাকি অংশ থেকে প্রতি মাসে পেনশন পাবেন সংশ্লিষ্ট কর্মী৷ যদিও প্রস্তাবটিতে একই সঙ্গে বলা হয় , ওই স্কিমে অংশ নেওয়াটা বাধ্যতামূলক নয়৷ পুলিশকর্মীরা তাঁদের ইচ্ছানুযায়ী পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারেন৷
গচ্ছিত অর্থের উপর নির্ভর করবে পেনশনের অঙ্ক৷ এখানেই শেষ নয় , প্রস্তাবিত স্কিম অনুযায়ী যদি কোনও পুলিশকর্মীর অবসরের আগেই মৃত্যু হয় , তা হলে গচ্ছিত অর্থের উপর পেনশন বাবদ প্রাপ্য টাকা ছাড়াও সেই টাকার অনুপাতে মৃতের পরিবার একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের ক্ষতিপূরণও পাবেন৷ আপাত ‘নিরীহ ’ এই প্রস্তাব ঘিরে কর্মচারী মহলে আশঙ্কা তৈরি হয়৷ কারণ , ওই পেনশন স্কিমের প্রস্তাবের সঙ্গে অনেকটাই মিল ছিল কেন্দ্রীয় সরকারে চালু করা নয়া পেনশন স্কিমের৷ ২০০৪ -এর ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি দন্তরে নিয়োগ হওয়া কর্মীদের ক্ষেত্রে নয়া পেনশন স্কিমই বলবত্ হয়েছে৷ যেখানে সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা কাটা হয় পেনশন বাবদ৷ যদিও সরকারের তরফেও সমপরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে স্কিমে৷ তবে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে আগে পেনশনের পুরো দায়ই সরকার বহন করত৷
একই সঙ্গে ওই সময় রাজ্যগুলিকেও কেন্দ্র জানিয়ে দেয় , সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে অনুদান না নেওয়া হলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য পেনশন খাতে কেন্দ্র কোনও আর্থিক অনুদান দেবে না৷ কেন্দ্র হাত তুলে নেওয়ার পর পেনশন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া পেনশন স্কিমই দেশের বেশি ভাগ রাজ্যে বলবত্ হয়েছে৷ এমনকি , বামশাসিত ত্রিপুরাতেও৷ একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারই আপত্তি জানিয়ে আসছিল৷ সেই রাজ্যের প্রস্তাব ঘিরে কর্মচারীদের অনেকে আশঙ্কা করতে শুরু করেন , অদূর ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও একই পথে হাঁটতে চলেছে৷ পুলিশের প্রস্তাবটিতে অন্যান্যদের সঙ্গে বিশেষ করে ২০০৪ সালের পর যাঁরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন , তাঁদের মধ্যে এই স্কিম সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার চালানোর কথায় সংশয় আরও বাড়ে৷ পুলিশের একাংশের মতে , নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে আশঙ্কার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে প্রস্তাবটি খারিজ করা হয়েছে৷