এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের আসন্ন পুরভোট কি ইভিএমে হবে? নাকি ফিরবে ব্যালট? রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্নটাই। লোকসভা ভোটে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি-বিরোধী দলগুলি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যে ভোটগ্রহণ এ বার থেকে ব্যালটেই হবে। কিন্তু আসন্ন পুরভোট ইভিএমে নাকি পেপার ব্যালটে হবে-সে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। গত দেড় দশকে পুরভোট হয়ে এসেছে অবশ্য ইভিএমেই। নবান্নের কর্তারা এ নিয়ে নীরব। তবে এপ্রিলে প্রথম দফায় কলকাতার সঙ্গে হাওড়া পুরসভার নির্বাচনের প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে। এক বছরেরও বেশি আগে হাওড়া পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। হাওড়া পুর-এলাকার মধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর 'নবান্ন'। দীর্ঘ সময় এই পুরনিগমে নির্বাচিত বোর্ড না থাকায় পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রাক্তন কাউন্সিলররা ইতিমধ্যেই ওয়ার্ডের দৈনন্দিন পরিষেবা দেখভালে অসুবিধার কথা দলীয়স্তরে পুরমন্ত্রীর নজরে এনেছেন। অনেকের অভিযোগ, মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে বহু কাউন্সিলরের কথা পুর-প্রশাসন শুনছে না। একশো দিনের শহুরে কর্মসংস্থান প্রকল্পের কাজও প্রায় থমকে গিয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে নির্বাচন কমিশনকে এ নিয়ে কিছু জানায়নি নবান্ন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা নানা ভাবে নবান্নকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, ভোট যবেই হোক, ব্যালট যাতে আর না ফেরে। যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা অনেকটাই নির্ঝঞ্ঝাট। ব্যালট ফেরালে নির্বাচন-কর্মী অনেক বেশি লাগবে। সময় ও খরচ, দুই-ই বেশি লাগবে। নিরাপত্তার প্রশ্নও রয়েছে। জানা গিয়েছে, ১১০টি পুরসভার ভোটে বুথের সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। কলকাতা পুরসভাতেই বুথের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০। হাওড়ায় ১২০০। কমিশনের হাতে ২১ হাজার ইভিএম রয়েছে। এর মধ্যে কিছু বাতিল করতেও যদি হয়, সমস্যা হবে না। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বা প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও ভাড়া নেওয়া যাবে। রাজ্য কমিশনের হাতে তুলনায় আধুনিক এম-টু মডেলের ইভিএম রয়েছে প্রায় ১১ হাজার। যা ব্যবহার করা নিয়ে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। লোকসভা ভোটে এই মডেলটির বদলে এম-থ্রি মডেলের ইভিএম ব্যবহার হয়েছিল। কমিশনের বাকি ইভিএমগুলি প্রথম যুগের।
কমিশনের কর্তারা নবান্নে মৌখিক ভাবে বার্তা পাঠিয়েছেন, সব পুরসভায় ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি যদি থাকেও অন্তত কলকাতা, হাওড়া, সল্টলেকের জন্য তা বহাল রাখা হোক। বাকিগুলির ক্ষেত্রে ব্যালট ব্যবহার করা যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু এক সময় ঘোষণা করেছিলেন, তাই নবান্নের কর্তারা কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি কমিশনকে। তাঁরা শেষ কথা বলতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত জেনেই।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা নানা ভাবে নবান্নকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, ভোট যবেই হোক, ব্যালট যাতে আর না ফেরে। যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা অনেকটাই নির্ঝঞ্ঝাট। ব্যালট ফেরালে নির্বাচন-কর্মী অনেক বেশি লাগবে। সময় ও খরচ, দুই-ই বেশি লাগবে। নিরাপত্তার প্রশ্নও রয়েছে। জানা গিয়েছে, ১১০টি পুরসভার ভোটে বুথের সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। কলকাতা পুরসভাতেই বুথের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০। হাওড়ায় ১২০০। কমিশনের হাতে ২১ হাজার ইভিএম রয়েছে। এর মধ্যে কিছু বাতিল করতেও যদি হয়, সমস্যা হবে না। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বা প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও ভাড়া নেওয়া যাবে। রাজ্য কমিশনের হাতে তুলনায় আধুনিক এম-টু মডেলের ইভিএম রয়েছে প্রায় ১১ হাজার। যা ব্যবহার করা নিয়ে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। লোকসভা ভোটে এই মডেলটির বদলে এম-থ্রি মডেলের ইভিএম ব্যবহার হয়েছিল। কমিশনের বাকি ইভিএমগুলি প্রথম যুগের।
কমিশনের কর্তারা নবান্নে মৌখিক ভাবে বার্তা পাঠিয়েছেন, সব পুরসভায় ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি যদি থাকেও অন্তত কলকাতা, হাওড়া, সল্টলেকের জন্য তা বহাল রাখা হোক। বাকিগুলির ক্ষেত্রে ব্যালট ব্যবহার করা যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু এক সময় ঘোষণা করেছিলেন, তাই নবান্নের কর্তারা কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি কমিশনকে। তাঁরা শেষ কথা বলতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত জেনেই।