অ্যাপশহর

ভিড় টানতে মডেল ইকো পার্ক

বড়দিন হোক বা নিউ ইয়ার, যে কোনও বিশেষ দিনেই ভিড়ে চিড়িয়াখানা, মিলেনিয়াম পার্ক, সায়েন্স সিটি, জাদুঘর, ভিক্টোরিয়াকে গোল দিচ্ছে ইকো পার্ক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি সেখানে পা রেখেছেন ১,২৭,২৫৮ জন। সে দিন চিড়িয়াখানা সেদিন ঘুরে দেখেছেন ৮৩ হাজার মানুষ। এই অবস্থায় আগামী দিনে বিশেষ দিনগুলিতে দর্শক টানার প্রতিযোগিতায় ইকো পার্কের মোকাবিলায় এখন থেকেই নানা পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে বাকিরা।

EiSamay 4 Jan 2019, 10:51 am
শ্যামগোপাল রায়
EiSamay.Com 31330c37267491c6d468a9ba3c8e3388


বড়দিন হোক বা নিউ ইয়ার, যে কোনও বিশেষ দিনেই ভিড়ে চিড়িয়াখানা, মিলেনিয়াম পার্ক, সায়েন্স সিটি, জাদুঘর, ভিক্টোরিয়াকে গোল দিচ্ছে ইকো পার্ক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি সেখানে পা রেখেছেন ১,২৭,২৫৮ জন। সে দিন চিড়িয়াখানা সেদিন ঘুরে দেখেছেন ৮৩ হাজার মানুষ। এই অবস্থায় আগামী দিনে বিশেষ দিনগুলিতে দর্শক টানার প্রতিযোগিতায় ইকো পার্কের মোকাবিলায় এখন থেকেই নানা পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে বাকিরা। কোন পথে ইকো পার্কের এই সাফল্য, তা খতিয়ে দেখাও শুরু হয়েছে। বাকিদের পর্যবক্ষণ, ইকো পার্কের জনপ্রিয়তার পিছনে শুধু এটির অভিনবত্বের আকর্ষণই নয়, রয়েছে হিডকোর বিপণন কৌশলও। তাতে বড় ভূমিকা নিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন। নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইকো পার্ক নিয়ে তথ্য, ছবি দেন তিনি।

শহরবাসীর বিনোদনের অন্যতম জায়গা সায়েন্স সিটি। দর্শকের সংখ্যা বাড়াতে সেখানে নতুন বছরে বিজ্ঞানকেন্দ্রিক সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বসছে আরও দু'টি টাইম মেশিন। যেখানে বসে দর্শকরা মরুভূমি থেকে মহাকাশের অনুভূতি পাবেন। এর উপর ভর করেই আগামী দিনে দর্শকের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে। এমনটাই আশা করছেন সায়েন্স সিটির অধিকর্তা শুভব্রত চৌধুরী। কয়েক বছর ধরে ভিড় কিছুটা কমেছে ভিক্টোরিয়াতেও। দর্শক টানার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন বছরে দর্শকদের ঢোকার সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি একটি গ্যালারিও চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি নানা বিষয়ের প্রদর্শনীর পরিকল্পনা রয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন নির্দেশক জয়ন্ত সেনগুপ্ত। সল্টলেকের নিকো পার্কের দর্শকদের একটা বড় অংশ টেনে নিচ্ছে ইকো পার্ক। নিকো পার্কের এক আধিকারিক জানান, দর্শক ধরে রাখতে তাঁরা নতুন বছরে বেশ কিছু রাইড চালু করছেন।

বছর পাঁচেক আগেও শহরবাসীর অন্যতম গন্তব্য ছিল মিলেনিয়াম পার্ক। তবে এখন এই পার্কে দর্শকের সংখ্যা বিশেষ দিনেও তলানিতে। যে সংস্থা ওই পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে, সেই কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ (কেএমডিএ)-র এক কর্তা বলছেন, 'এখানে তো তেমন কোনও রাইড নেই। মানুষ তো সেখানেই যাবে যেখানে বিনোদনের জিনিস বেশি। সে-কারণেই দর্শক কমছে এখানে।' তবে তবে ঘুরে দাঁড়াতে মিলেনিয়াম পার্ক কর্তৃপক্ষরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। দীর্ঘদিনই ভিড়ের নিরিখে শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও বছর দুয়েক বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে চিড়িয়াখানা। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সেখানে জীবজন্তু বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। পশুশালার এক আধিকারিক বলেন, 'পশুপাখির টানেই তো মানুষ এখানে আসেন। তাদের সংখ্যা বাড়ানো এবং নতুন কিছু জীবজন্তু এনেই আমরা দর্শকের সংখ্যা বাড়াতে চাইছি।'

সর্বত্র যেখানে দর্শক কমছে সেখানে ইকো পার্কের দর্শক ধরে রাখার রহস্যটা কী? পার্ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকা সংস্থা হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলছেন, 'পরীক্ষায় যে ছাত্রটি প্রথম হয় তার চাপ সব থেকে বেশি। কেন না, ওই স্থানটি ধরে রাখার জন্য যেমন তাঁকে নিয়মিত লড়াইয়ের ময়দানে থাকতে হয়, তেমনই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন কিছুও করতে হয়।' তাঁর দাবি, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রতি বছর নতুন কিছু চালু এবং নিয়মিত দর্শকদের পার্ক সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ দিয়েই এই সাফল্য। আগামী দিনে এই পন্থাতেই তাঁরা অন্যদের গোল দেবেন, আশাবাদী হিডকো চেয়ারম্যান।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল