‘কী পরিস্থিতি বুঝছ না!’ লাইভ বৈঠকে DM-দের করোনা-পাঠ মুখ্যমন্ত্রীর
করোনা মোকাবিলায় সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সক্রিয়তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। জনবহুল এলাকায় হাজির হয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) যেভাবে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তার প্রশংসা হচ্ছে বিভিন্ন মহলেই।
EiSamay.Com 30 Mar 2020, 4:49 pm
হাইলাইটস
- জেলাশাসকদের শ্রমিক-স্বার্থে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে কোনও রাজ্যের শ্রমিকের যেন সমস্যা না হয়, তা নজর দিতে বলেছেন তিনি।
- আশাকর্মীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাতে নজর দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা-মোকাবিলায় (Coronavirus in Bengal) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার সব জেলার জেলাশাসক, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং হাসপাতাল সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকে ছিলেন চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতিনিধিও। মারণ-ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি সক্রিয়তায় যাতে কোনও কমতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে আজ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা প্রতি হাসপাতালে কোয়ারানটিন পরিকাঠামো সম্পর্কেও খোঁজ নেন তিনি। আবার ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে লাইভ বৈঠকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সময়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন জেলাশাসকদের। জরুরি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের পদস্থ কর্তারাও। লকডাউন মুহূর্তে পুলিশকে আরও একবার 'মানবিক' হওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ারের কোনও এক পুলিশকর্তার ব্যবহার নিয়ে সেখানকার জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে সতর্ক করে দেন তিনি। ওই পুলিশকর্তা যাতে 'বাড়াবাড়ি' না করে তা নিশ্চিত করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওষুধের সরবরাহে যেন কোনওভাবে পুলিশি বাধা না হয়, তা নজর রাখতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য, ২২ জেলায় তৈরি ২২ হাসপাতাল!
বৈঠকে বিভিন্ন জেলায় আইসোলেশন প্রস্তুতি এবং কোয়ারানটিন সেন্টার সম্পর্কে খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজে থেকে কথা বলেন প্রত্যেক জেলাশাসকের সঙ্গে। কোয়ারানটিন সেন্টার প্রস্তুতিতে কমতি থাকলে, দ্রুত তা ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে জেলাশাসকদের আগামীকাল সকালের মধ্যে তাঁকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ₹২০০ কোটির তহবিল তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও করোনা-আক্রান্তদের চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রত্যেকের জন্য স্বাস্থ্য বিমার পরিমাণ ₹৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ₹১০ লাখ করা হয়েছে। আজ সেকথা ফের একবার মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও লকডাউনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পাশে থাকতেও বিশেষ উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলার প্রশাসনকে।
রবিবার করোনা বিরোধী যুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ এবং আপৎকালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অন্য সব কর্মীর মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গত সকালে টুইট করে তিনি লিখেছিলেন, 'নিজেদের স্বার্থ ভুলে যাঁরা সমাজের হয়ে কাজ করছেন, তাঁদের প্রতি কোনও কৃতজ্ঞতাই যথেষ্টই নয়।'
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য, ২২ জেলায় তৈরি ২২ হাসপাতাল!
বৈঠকে বিভিন্ন জেলায় আইসোলেশন প্রস্তুতি এবং কোয়ারানটিন সেন্টার সম্পর্কে খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজে থেকে কথা বলেন প্রত্যেক জেলাশাসকের সঙ্গে। কোয়ারানটিন সেন্টার প্রস্তুতিতে কমতি থাকলে, দ্রুত তা ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে জেলাশাসকদের আগামীকাল সকালের মধ্যে তাঁকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ₹২০০ কোটির তহবিল তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও করোনা-আক্রান্তদের চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রত্যেকের জন্য স্বাস্থ্য বিমার পরিমাণ ₹৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ₹১০ লাখ করা হয়েছে। আজ সেকথা ফের একবার মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও লকডাউনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পাশে থাকতেও বিশেষ উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলার প্রশাসনকে।
রবিবার করোনা বিরোধী যুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ এবং আপৎকালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অন্য সব কর্মীর মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গত সকালে টুইট করে তিনি লিখেছিলেন, 'নিজেদের স্বার্থ ভুলে যাঁরা সমাজের হয়ে কাজ করছেন, তাঁদের প্রতি কোনও কৃতজ্ঞতাই যথেষ্টই নয়।'