এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার কারণে আপাতত জনসভা সম্ভব নয়। তাই বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকতেও চায় না বিজেপি। এতদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে দলীয় বা সাংবাদিক বৈঠক সারছিলেন গেরুয়া নেতারা। এ বার এক লাফে ভার্চুয়াল জনসভার পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। দলীয়-স্তরে ঠিক হয়েছে, জুনেই ভার্চুয়াল জনসভা করা হবে। যাতে অন্তত এক হাজার মানুষ দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহাদের বক্তব্য সরাসরি বাড়িতে বসে শুনতে পারেন। দিলীপ এবং রাহুল, দু’জনই এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে জনসভা সম্ভব নয়। তাই আমরা ঠিক করেছি সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে লাইভ জনসভা করব। সবাই বাড়িতেই থাকবেন। ভার্চুয়াল জনসভা হবে।’ বিজেপি সূত্রের খবর, সাত দিন আগে থেকে ফেসবুকে এই সভার প্রচার চালানো হবে। জনসভা শোনার নির্দিষ্ট লিঙ্কও সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে এক সঙ্গে এক হাজার মানুষকে নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্স করা যেতেই পারে। সে ভাবেই কিছু একটা হবে। আইটি টিম গোটা বিষয়টি দেখবে।’
বিজেপির এই পরিকল্পনার কথা জেনে তৃণমূলের এক নেতার অবশ্য কটাক্ষ, ‘ওঁরা নানা ধরনের স্বপ্ন দেখেন। এটাও একটা স্বপ্ন। মানুষ এমনিতেই ওঁদের কথা শুনতে চায় না, আবার কিনা ভার্চুয়াল সভা!’
তবে আগামী বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে নিয়মিত এই ধরনের প্রচার, সভা শুরু করে দিতে মরিয়া বিজেপি। কিন্তু করোনা-পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে চিরাচরিত ঢঙে জনসভা করা যে আগামী বেশ কয়েক মাস সম্ভব নয়--তাও বিলক্ষণ বুঝছেন দিলীপরা। তাই বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন ভার্চুয়াল জনসভার রাস্তা। দলের এক শীর্ষ নেতার দাবি, ‘এখনও কোনও দল ভার্চুয়াল জনসভা করার কথা ভাবেনি। আমরাই প্রথম। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যায় এক সঙ্গে এক হাজারের বেশি মানুষকে সভায় সংযুক্ত করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে মহকুমা ধরে ধরে এই ধরনের জনসভা করার কথাও মাথায় রয়েছে।’ তা ছাড়া এখনই রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করলে মানুষও ঠিক ভাবে নেবেন না বলে অভিমত রাজ্য বিজেপির একাংশের। কেননা, লকডাউন, ঘূর্ণিঝড়ে সাধারণ মানুষ জেরবার। তার মধ্যে রাস্তা আটকে জনসভায় মানুষ বিরক্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের অনেকেই।
আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনা, লকডাউন স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে বৈঠকে মোদী-শাহ
তবে দিলীপের দাবি, ‘মানুষ আমাদের কথা শুনতে চাইছেন। তৃণমূল সরকারের বিকল্প চাইছেন। আমাদের দায়িত্ব মানুষের কাছে পৌঁছনো। প্রকাশ্যে জমায়েত সম্ভব না হলে অন্য উপায়ে আমাদের কথা পরিবর্তনকামী বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই হবে।’ পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘অন্যের সরকার ভেঙে দেওয়া, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা বিজেপির সংস্কৃতি নয়। মুখ্যমন্ত্রীকেই নির্দিষ্ট সময় সরকার চালাতে হবে।’
বিজেপির এই পরিকল্পনার কথা জেনে তৃণমূলের এক নেতার অবশ্য কটাক্ষ, ‘ওঁরা নানা ধরনের স্বপ্ন দেখেন। এটাও একটা স্বপ্ন। মানুষ এমনিতেই ওঁদের কথা শুনতে চায় না, আবার কিনা ভার্চুয়াল সভা!’
তবে আগামী বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে নিয়মিত এই ধরনের প্রচার, সভা শুরু করে দিতে মরিয়া বিজেপি। কিন্তু করোনা-পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে চিরাচরিত ঢঙে জনসভা করা যে আগামী বেশ কয়েক মাস সম্ভব নয়--তাও বিলক্ষণ বুঝছেন দিলীপরা। তাই বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন ভার্চুয়াল জনসভার রাস্তা। দলের এক শীর্ষ নেতার দাবি, ‘এখনও কোনও দল ভার্চুয়াল জনসভা করার কথা ভাবেনি। আমরাই প্রথম। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যায় এক সঙ্গে এক হাজারের বেশি মানুষকে সভায় সংযুক্ত করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে মহকুমা ধরে ধরে এই ধরনের জনসভা করার কথাও মাথায় রয়েছে।’ তা ছাড়া এখনই রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করলে মানুষও ঠিক ভাবে নেবেন না বলে অভিমত রাজ্য বিজেপির একাংশের। কেননা, লকডাউন, ঘূর্ণিঝড়ে সাধারণ মানুষ জেরবার। তার মধ্যে রাস্তা আটকে জনসভায় মানুষ বিরক্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের অনেকেই।
আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনা, লকডাউন স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে বৈঠকে মোদী-শাহ
তবে দিলীপের দাবি, ‘মানুষ আমাদের কথা শুনতে চাইছেন। তৃণমূল সরকারের বিকল্প চাইছেন। আমাদের দায়িত্ব মানুষের কাছে পৌঁছনো। প্রকাশ্যে জমায়েত সম্ভব না হলে অন্য উপায়ে আমাদের কথা পরিবর্তনকামী বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই হবে।’ পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘অন্যের সরকার ভেঙে দেওয়া, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা বিজেপির সংস্কৃতি নয়। মুখ্যমন্ত্রীকেই নির্দিষ্ট সময় সরকার চালাতে হবে।’