অ্যাপশহর

নেতাদের নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক

দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election 2021)। ভোটের প্রচারে সব পক্ষই এখন কোমর বেধে নেমে পড়েছে। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সুরক্ষা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

Ei Samay 24 Feb 2021, 10:19 am
এই সময়: ভোটের মুখে নেতাদের নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে দু'দলের মধ্যে জোর চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2021) ঠিক আগে বিজেপির জেলা নেতাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টিকে ইতিমধ্যে 'ইস্যু' করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তা নিয়ে নিয়ে জেলায় তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে।
EiSamay.Com election security
ফাইল ফটো। সৌজন্যে- টাইমস অব ইন্ডিয়া।


ইদানিং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বা বিভিন্ন জেলার 'লাইফ রিস্ক' থাকা বিজেপি নেতাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত পুলিশ ও গোয়েন্দা দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী কোন দলের কোন নেতাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে তা স্থির হয়। বিধায়ক বা সাংসদ হলে তাঁরা রাজ্যের নিরাপত্তা পান। সূত্রের খবর, জনপ্রতিনিধি না হয়েও ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির কয়েকজন নেতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা পাওয়ার জন্য চিঠি পাঠান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। দলের তরফে বলা হয়েছে, ঝাড়গ্রামের জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী, জেলার তিন সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ, সঞ্জিত মাহাতো, বিকাশচন্দ্র বেজ ছাড়াও হাড়দার নেতা রাজেশ মণ্ডলের নাম পাঠানো হয়েছে।
ডানলপে আজ পালটা সভা মমতারঝাড়গ্রাম লোকসভায় জয়ী হওয়ার পর বিজেপির সাংসদ কুনার হেমব্রমকে দু'জন সশস্ত্র রক্ষী দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। সেই নিরাপত্তা যথেষ্ট নয় বলে বিজেপি সাংসদকে সদ্য 'ওয়াই ক্যাটাগরি'র কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ বলেন,'কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষার ব্যাপারে জেলা নেতাদের নাম পাঠানো হয়েছিল। নিরাপত্তা দেওয়া হলে নিশ্চয় নেব।' ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুব্রত সাহার কটাক্ষ, 'রাজ্যে বিজেপির এখন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাপোষা নেতাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া। বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা বলছে। আর ভোটের মুখে জেলার নেতাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। যা গটআপ গেম বলে মনে হচ্ছে। এতে নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে।' ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত মাহাতো বলেন,'দু'একদিনের মধ্যে জেলা সভাপতির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আসবে বলে জানতে পেরেছি। আমাদের বিষয়ে এখনও কোন রিপোর্ট নেই।' সঞ্জিত মাহাতোর অভিযোগ, 'জেলা নেতা তো দূরের কথা, তৃণমূলের ব্লক নেতারাও নিরাপত্তা পায়। তাই ওদের মুখে এসব কথা মানায় না।' তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, 'গোয়েন্দা ও পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী নিরাপত্তা পান তৃণমূলের নেতারা। তাঁরা নিরাপত্তা চাইতে যান না।'

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল