এই সময়: জাওয়াদের প্রভাবে সেভাবে ঝড় না হলেও শনিবার থেকেই কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। রবিবারও তাতে লাগাম পড়েনি। নিম্নচাপের প্রভাবে এই টানা বৃষ্টির জেরে মশার দাপাদাপি বাড়বে বলে আশঙ্কা পতঙ্গবিদদের। কারণ বৃষ্টির জল অল্প পরিমাণে রাস্তায় পড়ে থাকা ডাবের খোলা, রাস্তার গর্ত বা ফাঁকা জায়গায় জমলেই সেখানে জন্মাবে মশার লার্ভা। এর জেরে কলকাতা, বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম এলাকায় মশাবাহিত রোগ বাড়তে পারে, আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। চলতি বছরে এই তিন পুর এলাকায় অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই পুরসভাগুলিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছে স্বাস্থ্য ভবন।
নিউ টাউনে এখনও মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের খবর না-মিললেও জাওয়াদের জেরে বৃষ্টিতে চিন্তিত এনকেডিএ কর্তারাও। এই ঝিরঝিরে বৃষ্টির জন্য নতুন করে জল জমতে শুরু করেছে মেট্রো করিডর এবং বহুতলগুলিতে। তাই ড্রোনের মাধ্যমে বহুতলগুলিতে নজরদারি শুরু হয়েছে। প্রতিটি আবাসন এবং এলাকার নিকাশি খালগুলিতে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এনকেডিএর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, 'এখনও পর্যন্ত উপনগরীর কোনও বাসিন্দা ডেঙ্গি আক্রান্ত হননি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপের জেরে জল জমেছে বিভিন্ন বহুতলে। সেখান থেকে যাতে রোগ না-ছড়ায়, সে ব্যাপারে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।'