অ্যাপশহর

কাজের প্রচার হবে কী ভাবে, ভিন্নমত সাংসদরা

বাসস্ট্যান্ডের ছাউনি অথবা অ্যাম্বুল্যান্সের গায়ে হামেশাই চোখে পড়ে ‘সাংসদের অর্থানুকূল্যে তৈরি ’ কথাটা৷

EiSamay.Com 7 Jun 2017, 12:24 pm
এই সময় : বাসস্ট্যান্ডের ছাউনি অথবা অ্যাম্বুল্যান্সের গায়ে হামেশাই চোখে পড়ে ‘সাংসদের অর্থানুকূল্যে তৈরি ’ কথাটা৷ সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমার যুগে ফেসবুক-টুইটারে প্রকল্প উদ্বোধন বা শিলান্যাসের ছবি আপলোড করার প্রবণতাও নানা জনপ্রতিনিধি ও সরকারের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এরই মধ্যে পুস্তিকা বা বই আকারে এলাকার মানুষকে উন্নয়নের খতিয়ান দেওয়ার রেওয়াজ তৈরি করে ফেলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০১৫ -য় অভিষেক ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত আমতলায় প্রথম প্রকাশ করেছিলেন ‘নিঃশব্দ বিপ্লব ’৷ ২০১৬-র ৫ জুন বজবজে এই বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেছিলেন তিনি৷ এ বারও ওই একই তারিখে বইটির তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেছেন তিনি৷ ২০১৪ -র পাঁচ জুন সাংসদ হিসেবে প্রথম শপথ নিয়েছিলেন তিনি৷ তাই মানুষকে উন্নয়নের খতিয়ান দেওয়ার প্রশ্নে ওই দিনটিকেই নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক৷ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হিসেবে এলাকায় বই বিলি করার রেওয়াজ তৃণমূলে একটি ‘ব্যতিক্রমী ’ পদক্ষেপ৷ এলাকার মানুষকে কাজের খতিয়ান দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন সাংসদের দৃষ্টিভঙ্গিতে তফাত আছে৷ বহরমপুরের দীর্ঘ দিনের কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী বলছেন , ‘কাজ করলে এলাকার মানুষকে কাজের খতিয়ান জানাতে লাগে নাকি ? আমার কাজের কথা এলাকার মানুষ এমনিতেই জেনে যায়৷ ’
EiSamay.Com trinamool mp abhishek banerjee has made rules for promotion of work
কাজের প্রচার হবে কী ভাবে, ভিন্নমত সাংসদরা


তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকার মানুষকে কাজের খতিয়ান দেওয়ার প্রশ্নে অন্য রুটিন মেনে চলেন৷ তিনি প্রতি শনিবার ও রবিবার শ্রীরামপুর লোকসভা এলাকার বাইরে কোথাও যান না৷ তাঁর কাজের খতিয়ান দেওয়ার কায়দাটা কেমন ? কল্যাণ বলছেন , ‘আমি এলাকায় হাজির থাকার ব্যাপারে বাড়তি গুরুত্ব দিই৷ এলাকা উন্নয়নের যে কোনও কাজে আমি সশরীরে হাজির থাকি৷ উদ্বোধন হোক বা শিলান্যাস-এলাকার মানুষ আমাকে চোখে দেখতে পায়৷ আর মেয়াদ ফুরোনোর সময় এলাকাবাসী তো কাজের মূল্যায়ন করবেনই৷ যা বলেছিলাম তা করেছি কি না , সেটা ভোটাররা ঠিক মিলিয়ে নেবেন৷ ’ উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গত কয়েক মাস সরাসরি এলাকায় ‘জনসংযোগ ’-এর সুযোগ পাননি৷ তাঁর স্ত্রী বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য , সারা বছর এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়েই উন্নয়নের কর্মসূচি রূপায়ণ করেন সুদীপ৷

নয়নার কথায় , ‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের খতিয়ান উত্তর কলকাতার মানুষ জানে৷ উনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেলে নিশ্চয়ই কোনও প্রোগ্রাম করবেন এলাকায়৷ দলও নিশ্চয়ই গাইডলাইন দেবে৷ তবে আমরা যেটুকু উত্তর কলকাতার মানুষের ধাত বুঝি , তাতে বলতে পারি উন্নয়নের প্রশ্নে এলাকার মানুষ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই আছেন৷ ’ লোকসভার সাংসদদের নির্দিষ্ট এলাকা থাকে৷ তাই তাঁরা তাঁদের এলাকায় উন্নয়ন খতিয়ান পেশ করতে পারেন৷ কিন্ত্ত রাজ্যসভার সাংসদদের নির্বাচনী কেন্দ্র বলতে গোটা রাজ্যটাই৷ এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন , ‘রাজ্যসভার সাংসদের আলাদা করে কোনও কেন্দ্র থাকে না৷ ফলে আমরা কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় খতিয়ান দিতে পারব না৷ তবে মানুষ এখন প্রতিনিয়ত জানতে চান , তাঁর এলাকার জনপ্রতিনিধিরা যে উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করছেন , তাতে তিনি সামিল কি না৷ অংশিদারিত্বমূলক গণতন্ত্রে এই শুভ প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে৷ তাই কাজের খতিয়ান নিয়মিতই পেশ করা উচিত৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল