প্রসেনজিৎ বেরা বিধানসভা নির্বাচনের পর সাতটি বিধানসভার ভোটে তৃণমূল ৭-০তে বিজেপিকে উড়িয়ে দিয়েছে। ভোটের ময়দানে একদিকে যেমন তৃণমূল অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে, তেমন মুকুল রায়ের দলবদল থেকে বিজেপি ছেড়ে যাওয়ার যে প্রবণতা শুরু হয়েছিল, গেরুয়া ব্রিগেড সেই ভাঙনে লাগাম পরাতে পারেনি।
এই মুহূর্তে বিধানসভায় জোড়াফুলের শক্তি ২২২। তৃণমূল নেতৃত্ব আশা করছেন, ভোটের ময়দানে এই জয়ের ধারা এবং বিজেপি ছেড়ে আসার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী সাড়ে চার বছরে বিধানসভায় তৃণমূলের শক্তি ২৩৫ পেরিয়ে যেতে পারে। ২০০৬ সালে রাজ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্ব বামফ্রন্ট ২৩৫ পেয়েছিল। তৃণমূলের প্রথম সারির এক নেতার কথায়, 'তৃণমূল এখন ২২২। আগামী দিনে ২৩৫ পেরিয়ে গেলে অবাক হব না। এমনকী, তৃণমূল ২৪০-এর লক্ষ্যেও পৌঁছে যেতে পারে।'
ছ'মাস আগে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২১৩টি আসনে জয়ী হয়েছিল। চার বিধানসভায় মঙ্গলবার উপনির্বাচনের যে ফল বেরিয়েছে সেখানেও স্পষ্ট, জোড়াফুলের জনসমর্থন ক্রমেই বাড়ছে। তাই আগামী দিনে যদি কোনও কারণে বাংলার যে কোনও আসনে উপনির্বাচন হয়, তাতেও জয় নিয়ে প্রবল আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বিশেষ করে, কোচবিহার এবং শান্তিপুরের জয় তৃণমূল শিবিরের আত্মবিশ্বাস বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
কারণ, ছয় মাস আগের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হলেও উত্তরবঙ্গে এবং জঙ্গলমহল থেকেই বিজেপি বেশির ভাগ বিধায়ককে জেতাতে পেরেছিল। আপাতত রাজ্যে আর কোনও উপনির্বাচন না-থাকলেও, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া পাঁচ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের জন্য আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কয়েক দিন আগেই তিনি বলেছেন, 'এই দলত্যাগীদের বিধায়ক পদ খারিজ হবে, উপনির্বাচনও হবে।'
আইনি লড়াইয়ে একান্তই যদি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ হয়, তা হলেও সাম্প্রতিক উপনির্বাচনের জয়রথই বজায় থাকবে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন।
এই উপনির্বাচনে বিজেপি যে ভাবে নিশ্চিহ্ন হয়েছে এবং রাজ্য বিজেপির মধ্যের প্রতিনিয়ত কোন্দল যে ভাবে সামনে আসছে, তাতে গেরুয়া শিবিরে যে ফের ভাঙন ধরবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক নির্বাচনী জনসভায় দাবি করেছেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি দিলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঢল নামবে। ছ'মাসের মধ্যেই বিজেপির পাঁচ বিধায়কের তৃণমূলে চলে আসা থেকেই সে ইঙ্গিত স্পষ্ট। এই দলত্যাগীদের অনেকেই জানিয়েছেন, বিজেপিতে কাজের পরিবেশ না-থাকা, বিজেপির 'বিদ্বেষের রাজনীতি'র সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না-পারা এবং মমতার নেতৃত্বে উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে সামিল হতেই গেরুয়া শিবির ছেড়েছেন। তাই চার কেন্দ্রের এই ফলের পর দলবদলের প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা বিজেপির একাংশই উড়িয়ে দিতে পারছে না।
তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, 'বিজেপি থেকে অনেকেই যোগ দিতে চাইছেন। কিন্তু কাদের নেওয়া হবে, তা তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন সাপেক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
এই মুহূর্তে বিধানসভায় জোড়াফুলের শক্তি ২২২। তৃণমূল নেতৃত্ব আশা করছেন, ভোটের ময়দানে এই জয়ের ধারা এবং বিজেপি ছেড়ে আসার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী সাড়ে চার বছরে বিধানসভায় তৃণমূলের শক্তি ২৩৫ পেরিয়ে যেতে পারে। ২০০৬ সালে রাজ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্ব বামফ্রন্ট ২৩৫ পেয়েছিল। তৃণমূলের প্রথম সারির এক নেতার কথায়, 'তৃণমূল এখন ২২২। আগামী দিনে ২৩৫ পেরিয়ে গেলে অবাক হব না। এমনকী, তৃণমূল ২৪০-এর লক্ষ্যেও পৌঁছে যেতে পারে।'
ছ'মাস আগে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২১৩টি আসনে জয়ী হয়েছিল। চার বিধানসভায় মঙ্গলবার উপনির্বাচনের যে ফল বেরিয়েছে সেখানেও স্পষ্ট, জোড়াফুলের জনসমর্থন ক্রমেই বাড়ছে। তাই আগামী দিনে যদি কোনও কারণে বাংলার যে কোনও আসনে উপনির্বাচন হয়, তাতেও জয় নিয়ে প্রবল আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বিশেষ করে, কোচবিহার এবং শান্তিপুরের জয় তৃণমূল শিবিরের আত্মবিশ্বাস বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
কারণ, ছয় মাস আগের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হলেও উত্তরবঙ্গে এবং জঙ্গলমহল থেকেই বিজেপি বেশির ভাগ বিধায়ককে জেতাতে পেরেছিল। আপাতত রাজ্যে আর কোনও উপনির্বাচন না-থাকলেও, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া পাঁচ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের জন্য আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কয়েক দিন আগেই তিনি বলেছেন, 'এই দলত্যাগীদের বিধায়ক পদ খারিজ হবে, উপনির্বাচনও হবে।'
আইনি লড়াইয়ে একান্তই যদি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ হয়, তা হলেও সাম্প্রতিক উপনির্বাচনের জয়রথই বজায় থাকবে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন।
এই উপনির্বাচনে বিজেপি যে ভাবে নিশ্চিহ্ন হয়েছে এবং রাজ্য বিজেপির মধ্যের প্রতিনিয়ত কোন্দল যে ভাবে সামনে আসছে, তাতে গেরুয়া শিবিরে যে ফের ভাঙন ধরবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক নির্বাচনী জনসভায় দাবি করেছেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি দিলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঢল নামবে। ছ'মাসের মধ্যেই বিজেপির পাঁচ বিধায়কের তৃণমূলে চলে আসা থেকেই সে ইঙ্গিত স্পষ্ট। এই দলত্যাগীদের অনেকেই জানিয়েছেন, বিজেপিতে কাজের পরিবেশ না-থাকা, বিজেপির 'বিদ্বেষের রাজনীতি'র সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না-পারা এবং মমতার নেতৃত্বে উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে সামিল হতেই গেরুয়া শিবির ছেড়েছেন। তাই চার কেন্দ্রের এই ফলের পর দলবদলের প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা বিজেপির একাংশই উড়িয়ে দিতে পারছে না।
তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, 'বিজেপি থেকে অনেকেই যোগ দিতে চাইছেন। কিন্তু কাদের নেওয়া হবে, তা তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন সাপেক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'