চিত্রদীপ চক্রবর্তী
অনলাইনে আজকাল যেখানে ঘুঁটেও জোটে, শব্দবাজি তো সেখানে নস্যি!
কালীপুজোর আগে ঘরে বসেই দিব্যি ‘বুক’ করা গিয়েছে শব্দবাজি৷ বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দেদার শব্দবাজির ব্যবহার দেখে কলকাতা পুলিশের কর্তাদেরও সন্দেহ, ফোন করে তো বটেই, সম্ভবত অনলাইনের মাধ্যমেও বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি ঢুকেছে শহরে৷ কলকাতা পুলিশের ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স) বিশ্বজিত্ ঘোষের অবশ্য দাবি, ‘আমরা শব্দবাজি বিক্রি বন্ধে তল্লাশি চালিয়েছি৷ নজর রাখা হয়েছে সর্বত্র৷’
পুলিশকর্তারা এ কথা বললেও শব্দবাজি যে অন্য বারের মতোই এ বারও যথেচ্ছ ঢুকেছে শহরে, তা বোঝা গিয়েছে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই৷ বিভিন্ন আবাসন এবং বহুতলে প্রচুর বাজি ফেটেছে৷ যত রাত বেড়েছে, ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অভিযোগ৷ কিন্ত্ত এত শব্দবাজি শহরে ঢুকল কী করে? পুলিশকর্তাদের ধারণা, এ বার নজরদারি অন্য বারের চেয়ে অনেক আগে শুরু করা হয়েছিল৷ সঙ্গে ছিল সারপ্রাইজ চেকিং৷ সন্দেহজনক মনে হলেই সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করার কাজও বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শুরু করেছিলেন পুলিশকর্তারা৷ এত কিছুর পরেও বাজির দাপট কমানো যায়নি৷ এর পিছনে যুক্তি হিসেবে বেশ কিছু তত্ত্ব খাঁড়া করছেন তাঁরা৷ যার মধ্যে অন্যতম বাজির অনলাইন বুকিং৷ বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে, গুগলে গিয়ে সার্চ করলে অনেকগুলি সাইট খুলছে ঠিকই, তবে সবগুলি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাজির বুকিং নেওয়া হচ্ছে না৷ অনেকগুলিকে ক্লোজও করে দেওয়া হয়েছে৷ বাকি কয়েকটি সাইট রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে তিন হাজার টাকার বেশি বাজি কিনলে তবেই অনলাইনে বুক করা যাবে৷ এখানেই কয়েকটি সাইটে দেওয়া হয়েছে শব্দবাজির বিভিন্ন দর৷ যেমন, বুলেট বোমের দাম দশটা ২৫ টাকা৷ অ্যাটম বোম ৩৩ টাকা, হাইড্রো বোম ৩৯ টাকা, রেড বিজলি একশোটির দাম ৩০ টাকা৷ এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘আপাত ভাবে কলকাতা থেকে বুকিং নেওয়া হয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে না৷ কিন্ত্ত যারা এই শব্দবাজির ব্যবসা করেন, তারা অন্য রাজ্যে বুক করিয়ে তা ক্যুরিয়ারেও আনতে পারেন৷ প্রচুর ছোটখাট ক্যুরিয়ার সংস্থা রয়েছে শহরে৷’ বৃহস্পতিবার অবশ্য বিভিন্ন অনলাইন সাইটে গিয়ে দেখা গিয়েছে, বুকিং করার ক্ষেত্রে খদ্দেরকে ফোন নম্বর দিতে হয়েছে কিছু জায়গায়৷ সেই নম্বর দেওয়ার পর তাতে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) এসেছে৷ তা ব্যবহার করে তবেই অর্ডার দেওয়ার দরজা খুলেছে৷ পুলিশকর্তাদের বক্তব্য, যদি এই সব সাইটের মাধ্যমে অর্ডার দেওয়া হয়েও থাকে, তবে এখনই তা টেকনিক্যালি ধরা সম্ভব নয়৷ পরবর্তীতে খোঁজখবর নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
অনলাইনে আজকাল যেখানে ঘুঁটেও জোটে, শব্দবাজি তো সেখানে নস্যি!
কালীপুজোর আগে ঘরে বসেই দিব্যি ‘বুক’ করা গিয়েছে শব্দবাজি৷ বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দেদার শব্দবাজির ব্যবহার দেখে কলকাতা পুলিশের কর্তাদেরও সন্দেহ, ফোন করে তো বটেই, সম্ভবত অনলাইনের মাধ্যমেও বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি ঢুকেছে শহরে৷ কলকাতা পুলিশের ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স) বিশ্বজিত্ ঘোষের অবশ্য দাবি, ‘আমরা শব্দবাজি বিক্রি বন্ধে তল্লাশি চালিয়েছি৷ নজর রাখা হয়েছে সর্বত্র৷’
পুলিশকর্তারা এ কথা বললেও শব্দবাজি যে অন্য বারের মতোই এ বারও যথেচ্ছ ঢুকেছে শহরে, তা বোঝা গিয়েছে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই৷ বিভিন্ন আবাসন এবং বহুতলে প্রচুর বাজি ফেটেছে৷ যত রাত বেড়েছে, ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অভিযোগ৷ কিন্ত্ত এত শব্দবাজি শহরে ঢুকল কী করে? পুলিশকর্তাদের ধারণা, এ বার নজরদারি অন্য বারের চেয়ে অনেক আগে শুরু করা হয়েছিল৷ সঙ্গে ছিল সারপ্রাইজ চেকিং৷ সন্দেহজনক মনে হলেই সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করার কাজও বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শুরু করেছিলেন পুলিশকর্তারা৷ এত কিছুর পরেও বাজির দাপট কমানো যায়নি৷ এর পিছনে যুক্তি হিসেবে বেশ কিছু তত্ত্ব খাঁড়া করছেন তাঁরা৷ যার মধ্যে অন্যতম বাজির অনলাইন বুকিং৷ বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে, গুগলে গিয়ে সার্চ করলে অনেকগুলি সাইট খুলছে ঠিকই, তবে সবগুলি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাজির বুকিং নেওয়া হচ্ছে না৷ অনেকগুলিকে ক্লোজও করে দেওয়া হয়েছে৷ বাকি কয়েকটি সাইট রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে তিন হাজার টাকার বেশি বাজি কিনলে তবেই অনলাইনে বুক করা যাবে৷ এখানেই কয়েকটি সাইটে দেওয়া হয়েছে শব্দবাজির বিভিন্ন দর৷ যেমন, বুলেট বোমের দাম দশটা ২৫ টাকা৷ অ্যাটম বোম ৩৩ টাকা, হাইড্রো বোম ৩৯ টাকা, রেড বিজলি একশোটির দাম ৩০ টাকা৷ এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘আপাত ভাবে কলকাতা থেকে বুকিং নেওয়া হয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে না৷ কিন্ত্ত যারা এই শব্দবাজির ব্যবসা করেন, তারা অন্য রাজ্যে বুক করিয়ে তা ক্যুরিয়ারেও আনতে পারেন৷ প্রচুর ছোটখাট ক্যুরিয়ার সংস্থা রয়েছে শহরে৷’ বৃহস্পতিবার অবশ্য বিভিন্ন অনলাইন সাইটে গিয়ে দেখা গিয়েছে, বুকিং করার ক্ষেত্রে খদ্দেরকে ফোন নম্বর দিতে হয়েছে কিছু জায়গায়৷ সেই নম্বর দেওয়ার পর তাতে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) এসেছে৷ তা ব্যবহার করে তবেই অর্ডার দেওয়ার দরজা খুলেছে৷ পুলিশকর্তাদের বক্তব্য, যদি এই সব সাইটের মাধ্যমে অর্ডার দেওয়া হয়েও থাকে, তবে এখনই তা টেকনিক্যালি ধরা সম্ভব নয়৷ পরবর্তীতে খোঁজখবর নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷