অ্যাপশহর

টালা ব্রিজে আজ থেকে অগ্নিপরীক্ষা পুলিশের

রবিবার থেকেই টালা ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রবিবার এমনিতেই বড় ও ভারী যান সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর তুলনায় অনেকটাই কম চলে। তার উপর সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি।

EiSamay.Com 30 Sep 2019, 3:47 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার থেকেই টালা ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রবিবার এমনিতেই বড় ও ভারী যান সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর তুলনায় অনেকটাই কম চলে। তার উপর সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি। এই দুই কারণের জন্যই ট্র্যাফিকের চাপ সে ভাবে সামলাতে হয়নি পুলিশকে। কিন্তু আজ থেকে কী হবে? সপ্তাহের প্রথম তিনটে দিন পার করে তবেই পুজোর ছুটি। তাই, এই তিন দিন কী করে ওই দিকের যান চলাচল সামাল দিতে পারবে পুলিশ, সেই দিকেই তাকিয়ে শহরবাসী।
EiSamay.Com Traffic in worry after Tala bridge restriction
বাস বন্ধ।


এরই মাঝে রবিবার বড়িশা ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে গিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন, ‘বলছে যে টালা ব্রিজ যে কোনও দিন ভেঙে যাবে। ৫০ বছর ৬০ বছর ৭০ বছর আগে এক-একটা করেছে। তার পরে কোনও পরীক্ষা করেনি, রক্ষণাবেক্ষণ করেনি। কোনও কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। যখন ইঞ্জিনিয়ারদের বলছি কী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখো, তখন ওরা বলছে কাগজই তো নেই, ওপর থেকে কিছু বোঝা যাবে না কতটা ক্ষতি হয়েছে ভিতরে। এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকিও নেওয়া যাচ্ছে না, হুট করে যদি বিপদ হয়ে যায়।

বন্ধও করে দেওয়া যাচ্ছে না, মানুষ তা হলে কোথায় যাবে? এত লক্ষ লক্ষ মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ট্র্যাফিক বিপর্যস্ত হবে। সবকিছু ভেবেচিন্তে মানুষের পক্ষে যেটা হবে, সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।’

রবিবার সকালেই রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তাঁর দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে টালা ব্রিজ পরিদর্শনে যান। ব্রিজের স্বাস্থ্য, কবে নাগাদ ব্রিজ সংস্কারের কাজ শুরু করা সম্ভব --- এই জাতীয় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টালা ব্রিজের পরিবর্তে শহরের উত্তরতম প্রান্তে যান চলাচলের জন্য দমদম রোড ও নর্দার্ন অ্যাভিনিউকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এই দু’টি রাস্তা তুলনায় সঙ্কীর্ণ। এ ছাড়া এই দু’টি রাস্তা দিয়ে বর্তমানে খুবই কম বাসের রুট রয়েছে। হঠাৎ করে এই রাস্তায় বাসের সংখ্যা বেড়ে গেলে যানজট অবশ্যম্ভাবী।

কী করে যানজট এড়িয়ে মসৃণ ভাবে যান চলাচল বজায় রাখা যায়, আপাতত সেই পরিকল্পনাতেই ব্যস্ত পুলিশ। খাতায়-কলমে অনেক হিসেব করা হলেও বাস্তবে কী হতে চলেছে, আজ সকালের আগে সেটা স্পষ্ট হবে না। চিড়িয়ামোড়, দমদম রোডের বাজার এলাকা এবং নর্দার্ন অ্যাভিনিউয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। গ্যালিফ স্ট্রিট থেকে শোভাবাজার স্ট্রিটের দিক বরাবর রবীন্দ্র সরণি বন্ধ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। বিধান সরণি ধরে আসা বাস ও মিনিবাস শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে ভূপেন বসু অ্যাভিনিউ ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।

বেহালায় পুজো উদ্বোধনে গিয়ে মাঝেরহাট ব্রিজের জন্য মানুষ দুর্ভোগের শিকার হওয়ায় বেহালাবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন মমতা। তিনি বলেন, ‘মাঝেরহাট ব্রিজ তাড়াতাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য আমরা বিদেশ থেকে সরঞ্জাম এনে রেখেছিলাম। সেটাও ৬ মাস ধরে পড়ে আছে। কিন্তু, রেলের অনুমতি পেতে এক বছর সময় লেগে গেল আমাদের। নীচে রেল লাইন আছে। তাই ওরা অনুমতি না-দিলে কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। দু’-তিনদিন হল রেল থেকে অনুমতি পেয়েছি। নির্দেশ দিয়েছি, যত দ্রুত সম্ভব, প্রয়োজনে বেশি লোক লাগিয়ে মাঝেরহাটের কাজ করতে হবে।’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল