শ্যামগোপাল রায় চলতি বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে ১৬০ জনের শরীরে। অথচ একই সময়ে কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ দমদম, বিধাননগর ও বরাহনগর পুর-এলাকায় মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা হাতেগোনা। সব মিলিয়ে এই তিন পুর-এলাকায় ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৩৪ জন। ম্যালেরিয়ার পরজীবী মিলেছে আরও কম, মাত্র ১৩ জনের শরীরে।
অথচ, ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যভবনের চিন্তার কারণ ছিল এই তিন পুরসভাই। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একাধিকবার এ নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করতে শোনা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, 'দমদম, বিধাননগরে কি শুধুই ডেঙ্গি হবে? কাজ হবে না!' এমন তিন 'কুখ্যাত' পুর-এলাকায় মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকায় খুশি স্বাস্থ্যভবনের কর্তারাও। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার জেলা স্বাস্থ্য দফতর আয়োজিত বৈঠকে প্রশংসাও কুড়িয়েছে এই তিন পুরসভা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী মঙ্গলবার বলেন, 'বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, বরাহনগর শুরু থেকেই মশাবাহিত রোগ দমনে ভালো কাজ করছে। এটা তারই সুফল।' তাঁর অবশ্য দাবি, কলকাতাতেও ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। 'তবে, ম্যালেরিয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে অনেক শ্রমিক ম্যালেরিয়ার জীবাণু নিয়ে শহরে ঢোকার কারণেই কলকাতায় এই পরিস্থিতি,' দাবি স্বাস্থ্য অধিকর্তার।
২০১৭ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার অধীন দুই এলাকায় (মধুগড় ও পূর্বসিঁথি) ঘরে ঘরে থাবা বসিয়েছিল ডেঙ্গি। মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছিল ১৭। আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০০-র আশপাশে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, সেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ড মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০ জন ডেঙ্গিতে, ৭ জন ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই একই সময়ে বিধাননগরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন, ম্যালেরিয়ার পরজীবী মিলেছে ৬ জনের শরীরে। বরাহনগরে ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। তবে এই পুর এলাকায় এখনও পর্যন্ত ম্যালেরিয়াতে কেউ আক্রান্ত হননি বলে খবর।
কেন এই তিন পুরসভায় সে ভাবে মাথা তুলতে পারেনি মশাবাহিত রোগ?
দক্ষিণ দমদম পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, 'বাড়িতে জল জমিয়ে রাখলেই নোটিস ধরানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিককে। তার ফলে নাগরিক সচেতনতা বেড়েছে।' বরাহনগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপনারায়ণ বসুর বক্তব্য, 'এলাকায় সকাল-বিকেল ছড়ানো হচ্ছে মশা মারার তেল ও ব্লিচিং পাউডার। পুরসভার পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য দফতর, সুডা-র দলও কাজ করছে। তাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।'
অথচ, ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যভবনের চিন্তার কারণ ছিল এই তিন পুরসভাই। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একাধিকবার এ নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করতে শোনা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, 'দমদম, বিধাননগরে কি শুধুই ডেঙ্গি হবে? কাজ হবে না!' এমন তিন 'কুখ্যাত' পুর-এলাকায় মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকায় খুশি স্বাস্থ্যভবনের কর্তারাও। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার জেলা স্বাস্থ্য দফতর আয়োজিত বৈঠকে প্রশংসাও কুড়িয়েছে এই তিন পুরসভা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী মঙ্গলবার বলেন, 'বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, বরাহনগর শুরু থেকেই মশাবাহিত রোগ দমনে ভালো কাজ করছে। এটা তারই সুফল।' তাঁর অবশ্য দাবি, কলকাতাতেও ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। 'তবে, ম্যালেরিয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে অনেক শ্রমিক ম্যালেরিয়ার জীবাণু নিয়ে শহরে ঢোকার কারণেই কলকাতায় এই পরিস্থিতি,' দাবি স্বাস্থ্য অধিকর্তার।
২০১৭ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার অধীন দুই এলাকায় (মধুগড় ও পূর্বসিঁথি) ঘরে ঘরে থাবা বসিয়েছিল ডেঙ্গি। মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছিল ১৭। আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০০-র আশপাশে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, সেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ড মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০ জন ডেঙ্গিতে, ৭ জন ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই একই সময়ে বিধাননগরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন, ম্যালেরিয়ার পরজীবী মিলেছে ৬ জনের শরীরে। বরাহনগরে ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। তবে এই পুর এলাকায় এখনও পর্যন্ত ম্যালেরিয়াতে কেউ আক্রান্ত হননি বলে খবর।
কেন এই তিন পুরসভায় সে ভাবে মাথা তুলতে পারেনি মশাবাহিত রোগ?
দক্ষিণ দমদম পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, 'বাড়িতে জল জমিয়ে রাখলেই নোটিস ধরানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিককে। তার ফলে নাগরিক সচেতনতা বেড়েছে।' বরাহনগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপনারায়ণ বসুর বক্তব্য, 'এলাকায় সকাল-বিকেল ছড়ানো হচ্ছে মশা মারার তেল ও ব্লিচিং পাউডার। পুরসভার পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য দফতর, সুডা-র দলও কাজ করছে। তাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।'